West Bengal Class 5 Amader poribesh Chapter 7 পরিবেশ, খনিজ ও শক্তি সম্পদ Question Answer
Class 5 Amader poribesh Chapter 7
(ক.) এক কথায় উত্তর লেখ। (১)
(১.) পশ্চিমবঙ্গের প্রধান খনিজ সম্পদের নাম লেখ?
উঃ কয়লা।
(২.) কয়লার বেশিরভাগ অংশকে কি বলা হয়?
উঃ কার্বন।
(৩.) কয়লা কিভাবে তৈরি হয়?
উঃ গাছ অনেক হাজার বছর ধরে চাপা পড়ে কয়লা তৈরি হয়।
(৪.) পশুপাখি গাছপালা সবকিছুর একটি প্রধান উপাদান কি?
উঃ কার্বন।
(৫.) একটি বিষাক্ত গ্যাসের নাম লেখ।
উঃ কার্বন মনোক্সাইড।
(৬.) অ্যাসিড বৃষ্টি কোন গ্যাস গুলির জন্য হয়ে থাকে?
উঃ কার্বন অক্সাইড, নাইট্রোজেন অক্সাইড।
(৭.) কোন কয়লার আগুন রান্নার কাজে লাগে?
উঃ কম কার্বনের কয়লা।
(৮.) পেট্রোলিয়াম থেকে কি তৈরি হয়?
উঃ পেট্রোল, ডিজেল, কেরোসিন ইত্যাদি তৈরি হয়।
(৯.) কয়লা কে কি বলা হয়?
উঃ জীবাশ্ম জ্বালানি।
(১০.) পেট্রোলিয়াম কোথা থেকে পাওয়া গেছে?
উঃ প্রাণীর দেহ থেকে।
(১১.) ভুটানের কাছে যে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি আছে তার নাম লেখ।
উঃ ঝালং।
(১২.) সোলার প্যানেল দিয়ে কি তৈরি করা হয়?
উঃ বিদ্যুৎ শক্তি।
(১৩.) কয়েকটি প্রচলিত শক্তির উদাহরণ লেখো।
উঃ জলবিদ্যুৎ, পেট্রোলিয়াম ও কয়লা ব্যবহার করা শক্তি।
(১৪.) অপ্রচলিত শক্তি কোনটি?
উঃ সৌর বিদ্যুৎ।
(১৫.) রোদের ব্যবহার করে রান্না করার যন্ত্র কে কি বলা হয়?
উঃ সোলার কুকার।
(১৬.) জৈব গ্যাস?
উঃ উদ্ভিদ ও প্রাণীদের পচা, আধ-পচা বর্জ্য দিয়ে তৈরি জৈব গ্যাস তৈরি হয়।
(১৭.) একটি কয়লা খনি অঞ্চলের নাম লেখ।
উঃ রানীগঞ্জ।
(১৮.) আসানসোল সমুদ্রে পৃষ্ঠ থেকে কত উঁচুতে?
উঃ প্রায় ১০০ মিটার উঁচুতে।
(১৯.) জলন্ত কাঠ জল দিয়ে নেভালে কি তৈরি হয়?
উঃ কাঠ কয়লা।
(২০.) কাঠ কয়লা দিয়ে কি বানানো হয়?
উঃ তুবড়ি।
(২১.) কালো হীরে কাকে বলা হয়?
উঃ কয়লাকে।
(২২.) কয়লার ধোয়াতে শরীরের কোন অঙ্গ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়?
উঃ চোখ।
(২৩.) খনি অঞ্চলে প্রায় কি প্রকার দুর্যোগ দেখা যায়?
উঃ ধস।
(২৪.) কয়লা তোলার পর খুনের ফাঁকা জায়গাগুলো কি দিয়ে ভরাট করা হয়?
উঃ বাড়ি দিয়ে।
(২৫.) গুল কিভাবে তৈরি করা হয়?
উঃ কয়লার গুড়োর সাথে মাটি মিশিয়ে।
(২৬.) পেট্রোলিয়াম এর বাংলা অর্থ কি?
উঃ খনিজ তেল।
(২৭.) কয়লা চারটি উপজাত দ্রব্যের নাম লেখ।
উঃ আলকাতরা, ন্যাপথলিন, স্যাকারিন, পিচ।
(২৮.) পেট্রোলিয়াম কেমন দেখতে হয়?
উঃ থকথকে কাদার মত।
(২৯.) সাদা কয়লা কাকে বলে?
উঃ জলবিদ্যুৎ কে।
(৩০.) বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মস্ত পাখার মত দেখতে যন্ত্রটির নাম কি?
উঃ টারবাইন।
(৩১.) পৃথিবীতে সকল শক্তির উৎস কি?
উঃ সূর্য।
(৩২.) সোলার লাইট কি?
উঃ সৌরশক্তি থেকে তৈরি বিদ্যুৎ দিয়ে যে লাইট জ্বালানো হয় তাকে সোলার লাইট বলে।
(৩৩.) সোলার কুকার কাকে বলে?
উঃ যে যন্ত্রের সাহায্যে সৌরভ দাপ ধরে রেখে তার তীব্রতা বাড়িয়ে রান্না করা হয় তাকে সোলার কুকার বলে।
(৩৪.) জৈব গ্যাস শক্তি কি?
উঃ উদ্ভিদ ও প্রাণীর পচা বজ্র থেকে যে গ্যাস শক্তি উৎপাদন করা হয় তাকে জৈব গ্যাস শক্তি বলে।
(৩৫.) পেট্রোলিয়ামে চারটি উপজাত দ্রব্যের নাম লেখ।
উঃ পেট্রোল, ডিজেল, কেরোসিন ও ভ্যাসলিন।
(খ.) অতি সংক্ষেপে উত্তর লেখ (২)
(১.) কয়লা খনির মধ্যে আলোর যদি কম হয় কেন?
উঃ কালো রং আলোকে শোষণ করে নেয়। কয়লা খনির মধ্যে মেঝে, দেওয়াল, ছাদ সব দিকেই থাকে কালো কয়লা। তাই খনির মধ্যে ইলেকট্রনিকের আলো কয়লার কালো রঙ দ্বারা শোষিত হয়, ফলে আলো যদি কম হয়।
(২.) খনি অঞ্চলে ধস নামার কারণ কি?
উঃ খনি থেকে অধিক পরিমাণে খনিজ সম্পদ তোলা হলে নিচের অংশ ফাঁকা হয়ে যায়। ফলে উপরের দিকে মাটি কোন প্রকার অবলম্বন না পেয়ে ধসে পড়ে।
(৩.) খনি অঞ্চলে গাছ লাগানো উচিত কেন?
উঃ উনি অঞ্চলে গাছ লাগানো উচিত যাতে গাছের শিকড় গুলো মাটির নিচে জালের মতো ছড়িয়ে পড়ে এবং মাটিকে শক্তভাবে ধরে রেখে ভূমিধস থেকে আটকায়।
(৪.) কয়লার দুটি ব্যবহার লেখো।
উঃ (ক) রান্নার কাজে কয়লা ব্যবহার করা হয়।
(খ) লৌহ ইস্পাত শিল্পে লোহা গলাতে কয়লা কাজে লাগে।
(৫.) জলবিদ্যুৎ কিভাবে তৈরি হয়?
উঃ পাহাড়ি নদীর জলের স্রোত তীব্র হওয়ায় সেই স্রোতের মুখে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বড় পাখা বা টারবাইন ঘুরানো হয়, এর ফলে জলবিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়।
(৬.) সৌর বিদ্যুৎ কাকে বলে?
উঃ সোলার প্যানেলের মাধ্যমে সূর্য রশ্মি কি কাজে লাগিয়েছে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা হয় তাকে সৌর বিদ্যুৎ বলা হয়।
(৭.) সৌর বিদ্যুৎ কি কি কাজে ব্যবহার করা হয়?
উঃ (ক) সোলার লাইট জ্বালাতে ব্যবহৃত হয়।
(খ) ছোলার কুকার এর সাহায্যে রান্না করা হয়
(গ) শীতের সময় ঘর গরম রাখতে সোলার হিটার ব্যবহার করা হয়।
(৮.) প্রচলিত শক্তি কাকে বলে? উদাহরণ লেখ।
উঃ শক্তি উৎপাদনে যে সকল উৎসগুলো মানুষ বহুকাল ধরে ব্যবহার করে আসছে এবং বর্তমানে যে গুলির ব্যবহার খুব বেশি সেগুলোকে প্রচলিত শক্তি বলে। যেমন- কয়লা, খনিজ তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস প্রভৃতি।
(৯.) প্রচলিত শক্তি দুটি সুবিধা লেখ।
উঃ (ক) প্রচলিত শক্তির উৎপাদন ক্ষমতা অনেক বেশি।
(খ) প্রচলিত শক্তির উৎপাদনের প্রাথমিক ব্যয় কম।
(১০) অপ্রচলিত শক্তি কাকে বলে? উদাহরণ লেখ।
উঃ শক্তি উৎপাদনে যে সকল উৎস গুলি বহুকাল ধরে প্রচলিত নয় এবং বর্তমানে অল্প পরিমাণে ব্যবহার হয় সেগুলোকে অপ্রচলিত শক্তি বলে। যেমন- সৌরশক্তি, বায়ু শক্তি প্রভৃতি।
(গ.) সংক্ষেপে উত্তর লেখ (৩)
Class 5 Amader poribesh Chapter 7
(১.) কয়লা বা পেট্রোলিয়াম কিভাবে সৃষ্টি হয়?
উঃ কোন স্থানে ভূমিকম্পের ফলে সেখানকার উদ্ভিদ ও প্রাণীর দেহাবসাস মাটির তলায় চাপা পড়ে যায়। হাজার হাজার বছর ধরে মাটির তলায় চাপ ও তাপের ফলে এগুলো পরিবর্তিত হয়ে থাকে। অবশেষে উদ্ভিদ প্রাণীর দেহের কার্বন অংশগুলি জমাট বেঁধে কয়লায় পরিণত হয় এবং পচে যাওয়া অংশগুলো তরল হয়ে পেট্রোলের পরিণত হয়।
(২.) কয়লার ধোয়া থেকে কিভাবে অ্যাসিড বৃষ্টি সৃষ্টি হয়?
উঃ কয়লার ধোঁয়ায় থাকে সালফার ডাই অক্সাইড, নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড, কার্বন ডাই-অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড প্রভৃতি বিষাক্ত গ্যাস। এই গ্যাস গুলো বাতাসে জলীয় বাষ্পের সাথে বা জলের সাথে মিশে সারফিউরিক অ্যাসিড, নাইট্রিক অ্যাসিড, কার্বনিক অ্যাসিড সৃষ্টি করে। আবার এইসব অ্যাসিডই বৃষ্টির জলের সাথে মিশে ভূপৃষ্ঠে ঝরে পড়ে তাকে অ্যাসিড বৃষ্টি বলা হয়।
(৩.) জলচক্র কাকে বলে?
উঃ সূর্যের তাপে বিভিন্ন জলাশয় থেকে জল ক্রমাগত বাষ্পীভূত হয়ে ওপরে উঠে মেঘ রূপে ভেসে বেড়ায়। এরপর মেঘের মধ্যে ভাসমান জলকণাসমূহ ঘনীভূত হয়ে বৃষ্টি বা তুষার রূপে পৃথিবীতে নেমে আসে। শেষে এই বৃষ্টি বা তুষার গলা জলের বেশিরভাগ অংশ নদ নদীর মাধ্যমে সমুদ্রে ফিরে যায় এবং পুনরায় সূর্যের তাপে বাষ্পীভূত হয়ে উপরের দিকে উঠে যায়। এইভাবে জল কখনো বাষ্প, আবার কখনো মেঘ, আবার কখনো তুষার রূপে পৃথিবীতে আবর্তিত হয়ে যে চক্র সৃষ্টি করে, তাকেই জলচক্র বলা হয়।
(৪.) প্রচলিত শক্তি তিনটি অসুবিধা লেখ।
উঃ (ক.) প্রচলিত শক্তির ব্যবহারে পরিবেশ দূষণ ঘটে।
(খ.) প্রাথমিক ব্যয় কম হলেও প্রচলিত শক্তির উৎপাদন ব্যয় অনেক বেশি।
(গ.) প্রচলিত শক্তির সঞ্চয়ে যেহেতু সীমিত তাই ক্রমাগত ব্যবহারের মাধ্যমে প্রচলিত শক্তি একদিন ফুরিয়ে যাবে।
(৫.) অপ্রচলিত শক্তির তিনটি অসুবিধা লেখ।
উঃ (ক.) অপ্রচলিত শক্তি উৎপাদনের জন্য উন্নত প্রযুক্তির প্রয়োজন হয়।
(খ.) অপ্রচলিত শক্তির উৎপাদন ক্ষমতা অনেক কম।
(গ.) অপ্রচলিত শক্তি উৎপাদনের প্রাথমিক ব্যয় অনেক বেশি।
Also See: