West Bengal Class 5 Amader poribesh Chapter 4 পরিবেশ ও সম্পদ Question Answer
West Bengal Class 5 Amader poribesh Chapter 4 Question Answers are given below.
(ক) এক কথায় উত্তর দাও। (১)
Class 5 Amader poribesh Chapter 4
(১.) কোন এলাকার জমিতে খুব ভালো ধান চাষ হয়?
উঃ যে সমস্ত এলাকার জমিতে খুব ভালোভাবে জল দাঁড়ায় সেখানে ধান চাষ খুব ভালো হয়।।
(২.) লাল মাটি অঞ্চলের পাথর কি কাজে লাগে?
উঃ পাকা বাড়ি তৈরির কাজে লাগে।
(৩.) কোন এলাকার জমিতে খুব ভালো চা চাষ হয়?
উঃ যে সমস্ত এলাকার জমিতে ভালো জল দাঁড়ায় না বিশেষ করে পাহাড়ে ঢালু জমিতে চা চাষ খুব ভালো হয়।
(৪.) তাপবিদ্যুৎ তৈরি করতে কি লাগে?
উঃ তাপ বিদ্যুৎ তৈরি করতে কয়লা লাগে।
(৫.) ইট পোড়ানোর জন্য কি প্রয়োজন হয়?
উঃ ইট পোড়ানোর জন্য কয়লার প্রয়োজন হয়।
(৬.) মানুষের প্রধান দুটি নিজস্ব সম্পদ কি কি?
উ: স্বাস্থ্য ও বুদ্ধি।
(৭.) ইট কি দিয়ে তৈরি হয়?
উঃ মাটি এবং কয়লা দিয়ে।
(৮.) মানুষ মাটির পাত্র কিভাবে শক্ত করে?
উঃ আগুনে পুড়িয়ে শক্ত করে।
(৯.) আগেকার দিনে হাত পা কেটে গেলে কি ওষুধ লাগানো হতো?
উঃ বিভিন্ন ঔষধি গাছের পাতার রস বেটে লাগানো হতো।
(১০.) কয়েকটি পারিবারিক সম্পদের উদাহরণ লেখ।
উঃ বাড়ি বানানো, নকশা কাটা কথা বানানো, ঝুড়ি তৈরি করা, মাটির প্রতিমা তৈরি করা প্রভৃতি।
(১১.) মানুষের কতগুলি জ্ঞান এর উৎস লেখ যা উৎসব তৈরি করতে কাজে লাগে?
উঃ নাচ, গান, আবৃত্তি, অভিনয় প্রভৃতি।
(১২.) দেশের মানুষকে হাতে কলমে শিক্ষার কথা কে বলেছিলেন?
উঃ স্বামী বিবেকানন্দ।
(১৩.) স্বামী বিবেকানন্দকার শিষ্য ছিলেন?
উঃ শ্রী রামকৃষ্ণদেবের।
(১৪.) ভগিনী নিবেদিতা কার শিষ্য ছিলেন?
উঃ স্বামী বিবেকানন্দের।
(১৫.) কয়েকজন স্বাধীনতা সংগ্রামীর নাম লেখ।
উঃ মহাত্মা গান্ধী, সুভাষচন্দ্র বসু, সূর্যসেন, ক্ষুদিরাম বসু, ভগৎ সিং, বিনয়- বাদল- দীনেশ প্রমূখ।
(১৬.) অস্ত্র হাতে স্বাধীনতা সংগ্রামে লড়েছেন এমন দুজন মহিলা বিপ্লবীর নাম লেখ।
উঃ প্রীতিলতা ওয় এবং কল্পনা দত্ত।
(১৭.) ইংরেজি বিরুদ্ধে লড়াই করতে আজাধীন ফৌজ কে বানিয়ে ছিলেন?
উঃ নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু।
(১৮.) তাদের জন্মদিনে আমরা জাতীয় পতাকা তুলে শ্রদ্ধা জানাই?
উঃ নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, মহাত্মা গান্ধী প্রমুখ।
(১৯.) গান্ধী বুড়ি নামে কে পরিচিত ছিলেন?
উঃ মাতঙ্গিনী হাজরা।
(২০.) মাস্টারদা নামে কি পরিচিত ছিলেন?
উঃ সূর্যসেন।
(২১.) কয়জন মনীষীর নাম লেখ।
উঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, রাজা রামমোহন রায়, বিদ্যাসাগর প্রমূখ
(২২.) কয়জন বিজ্ঞানীর নাম লেখ।
উঃ জগদীশচন্দ্র বসু, প্রফুল্ল চন্দ্র রায়, মেঘনাথ সাহা প্রমূখ।
(২৩.) সতীদাহ প্রথা নিবারনের জন্য লড়াই করেছিলেন কে?
উঃ রাজা রামমোহন রায়।
(২৪.) ভারতের প্রথম মহিলা শহীদ কে হন?
উঃ প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার।
(২৫.) ভারতের প্রথম আধুনিক মানুষ কে ছিলেন?
উঃ রাজা রামমোহন রায়।
(২৬.) রামমোহন রায়কে ভারত পথিক উপাধি কে দিয়েছিলেন?
উঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
(২৭.) কার জন্মদিনে আমরা শিক্ষক দিবস পালন করি?
উঃ ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ।
(২৮.) কার জন্মদিনে আমরা শিশু দিবস পালন করি?
উঃ জহরলাল নেহেরুর জন্মদিনে।
(২৯.) কোন দিনটি আমরা সাধারণতন্ত্র দিবস হিসেবে পালন করি?
উঃ ২৬ শে জানুয়ারি।
(৩০.) সাধারণতন্ত্র কথাটির অর্থ কি?
উঃ সাধারণতন্ত্র কথাটির অর্থ হলো সাধারন মানুষী দেশ চালাবে।
(৩১.) বাঁশের কেল্লা কে বানিয়ে ছিলেন?
উঃ তিতুমীর।
(৩২.) তিতুমীর কোন জেলার বাসিন্দা ছিলেন?
উঃ উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বাসিন্দা ছিলেন।
(৩৩.) টেরাকোটার কাজ কোথায় হয়?
উঃ বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুরে।
(৩৪.) সাঁওতাল বিদ্রোহের দুজন নেতার নাম লেখ।
উঃ সিধু ও কানু।
(খ) অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর লেখ। (২)
Class 5 Amader poribesh Chapter 4
(১.) পাহাড়ে অঞ্চলের লাল মাটিতে ভালো চাষ হয় না কেন?
উঃ পাহাড়ি অঞ্চলে জমির ঢাল খুব বেশি হয়, তাই জল দাঁড়াতে পারে না, এছাড়াও লাল মাটি বেশি জল ধরে রাখতে পারে না তাই এখানে ভালো চাষ হয় না।
(২.) বিভিন্ন প্রকার প্রাকৃতিক সম্পদের উদাহরণ লেখ
উঃ কৃষিতে সম্পদ- ধান, চা প্রভৃতি। বনজ সম্পদ- মধু, মোম, কাঠ প্রভৃতি। খনিজ সম্পদ- কয়লা, খনিজ তেল, আকরিক লোহা প্রভৃতি।
(৩.) ঔষধি গাছ কাকে বলে?
উঃ যে সমস্ত গাছের বিভিন্ন অংশ ব্যবহার করে রোগ সারানো হয়, তাকে ঔষধি গাছ বলে। যেমন- কালোমেঘ, বাসক, ঘৃতকুমারী, তুলসী প্রভৃতি।
(৪.) স্বামী বিবেকানন্দ দেশের মানুষকে কি কি বলতেন?
উঃ স্বামী বিবেকানন্দ দেশের মানুষকে হাতে-কলমে শিক্ষা নেওয়ার কথা বলতেন। এছাড়াও বইতে মুখ ডুবিয়ে বসে না থেকে ফুটবল খেলতে বলেছিলেন যাতে শরীর ও মন ভালো থাকে।
(৫.) ভগিনী নিবেদিতা কি মহান কাজ করেছিলেন?
উঃ ভগিনী নিবেদিতা ভারতে এসে স্বামী বিবেকানন্দের শীষ্যত্ব গ্রহণ করেন। তিনি নিজের জীবনের পরোয়া না করে প্লেগ রোগীদের জন্য সেবা করেছিলেন।
(৬.) তিতুমীর ও তার সঙ্গীরা কাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন এবং কেন?
উঃ ইংরেজদের বিরুদ্ধে এবং তাদের সঙ্গী কিছু দেশীয় জমিদারের অন্যায় ও জুলুমের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন তিতুমীর ও তার সঙ্গীরা।
(৭.) আঞ্চলিক ঐতিহ্য কাকে বলে?
উঃ একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলে যে নির্দিষ্ট বিষয়ের জন্য বিখ্যাত তাকে সেই অঞ্চলের আঞ্চলিক ঐতিহ্য বলা হয়।
(৮.) কয়েকটি আঞ্চলিক ঐতিহ্যের নাম লেখ।
উঃ বিষ্ণুপুরে টেরাকোটা শিল্প, পুরুলিয়ার ছৌ নাচ, কৃষ্ণনগরের মাটির পুতুল, জয়নগরের মোয়া, বর্ধমানের মিহিদানা প্রভৃতি।
(৯.) মনীষী কাদের বলা হয়?
উঃ যেসব মহান ব্যক্তিরা দেশের মানুষের ভালোর জন্য ভেবেছেন, ভালোর জন্য কাজ করেছেন, দুঃখ দারিদ্র্য মোচনের চেষ্টা করেছেন, তাদের মনীষী বলা হয়
(১০.) মনীষীদের আমরা কিভাবে শ্রদ্ধা জানাই?
উঃ মনীষীদের জন্মদিন ও মৃত্যুদিনে আমার তাদের স্মরণ করি। তাদের কাজ ও ভাবনা অনুসরণ করে আমরা তাদের শ্রদ্ধা জানাই।
(গ.) সংক্ষেপে উত্তর লেখ। (৩)
(১.) স্বাস্থ্যকে সম্পদ বলা হয় কেন?
উঃ স্বাস্থ্য ভালো থাকলে আমরা ভালোভাবে পরিশ্রম করতে পারি। এছাড়া বুদ্ধি মানুষের আরো একটি সম্পদ। এই স্বাস্থ্য ও বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে মানুষ আরো অনেক নতুন সম্পদ তৈরি করতে পারে। তাই স্বাস্থ্যকে সম্পদ বলা হয়।
(২.) রাজা রামমোহন রায়ের স্মরণীয় কেন?
উঃ উনিশ শতকের সমাজ সংস্কার আন্দোলনের একজন উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি ছিলেন রাজা রামমোহন রায়। দেশের মানুষকে ইংরেজি শিক্ষার শিক্ষিত করে তুলতে তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। তিনি নারী শিক্ষার ব্যবস্থা করেন। এছাড়াও রাজা রামমোহন রায়ের আন্দোলনের প্রভাবেই ১৮২৯ খ্রিস্টাব্দে লর্ড উইলিয়াম বেন্টিং সতীদাহ প্রথাকে নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করেছেন।
(৩.) বিদ্যাসাগর স্মরণীয় কেন?
উঃ মেয়েদের শিক্ষার জন্য বিদ্যাসাগর ৩৫ টি বিদ্যালয় স্থাপন করেন। তিনি শিশুদের জন্য বর্ণপরিচয়, বোধোদয়, কথা মেলা প্রভৃতি বই লেখেন। এছাড়াও বিদ্যাসাগরের আন্দোলনের ফলেই সরকার ১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দে বিধবা আইন পাশ করে এবং বহুবিবাহ রদ করেন।
(৪.) গান্ধীজী স্মরণীয় কেন?
উঃ গান্ধীজী দক্ষিণ আফ্রিকায় বসবাসকারী ভারতীয়দের অধিকার রক্ষার জন্য সেখানকার সরকারের বিরুদ্ধে সত্যাগ্রহ আন্দোলন করেন। এছাড়াও ভারতবর্ষে ও সাধারণ মানুষকে একজোট করে তিনি ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। তিনি আইন অমান্য আন্দোলন, অসহযোগ আন্দোলন, ভারত ছাড়ো আন্দোলন প্রভৃতির নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ‘কারেঙ্গে ইয়ে মরেঙ্গে’ মন্ত্রে তিনি ভারতবাসীকে দীক্ষিত করেছিলেন।
(৫.) নেতাজি স্মরণীয় কেন?
উঃ নেতাজি অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র হয়েও ব্রিটিশদের সেবা করবেন না বলে সরকারি চাকরি প্রত্যাখ্যান করে দেশ সেবার কাজে যোগ দেন। ফরওয়ার্ড ব্লক নামে একটি দল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এছাড়াও তিনি আজাদ হিন্দ সরকার প্রতিষ্ঠা করে ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। তিনি ‘দিল্লি চলো’ ডাক দেন এবং ভারতবাসীদের বলেন ‘তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব’।
Also See: Chapter 3 পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ পরিচিতি