West Bengal Class 5 Amader poribesh Chapter 3 পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ পরিচিতি Question Answer
ক.) এক কথায় উত্তর দাও (১ নম্বর করে.)
১.) পশ্চিমবঙ্গের ভূমির ঢাল কোনদিক থেকে কোনদিকে বিস্তৃত হয়েছে?
উঃ উত্তর থেকে দক্ষিণে এবং পশ্চিম থেকে পূর্বে।
২.) দামোদর নদের দক্ষিনে গিয়ে কোথায় মিশিছে?
উঃ গঙ্গায় মিশেছে।
৩.) দামোদর যেখানে গঙ্গার সাথে মিশেছে সেখানে গঙ্গার কি নাম?
উঃ হুগলি নদী।
৪.) পশ্চিমবঙ্গের মালভূমি অঞ্চল কোন মালভূমি অংশ?
উঃ ছোটনাগপুর মালভূমি অঞ্চল।
৫.) মালভূমি অঞ্চলের মাটির রং লালচে কেন?
উঃ লোহার অক্সাইড মিশে থাকে বলে মাটির রং লালচে হয়।
৬.) মালভূমি অঞ্চলের মাটিতে কি কি মেশানো থাকে?
উঃ পাথর, কাঁকর প্রভৃতি।
৭.) মালভূমি অঞ্চলে কি কি গাছ দেখা যায়?
উঃ শাল, সেগুন, পলাশ, মেহগনি প্রভৃতি।
৮.) পশ্চিমবঙ্গের মালভূমি অঞ্চলের প্রধান নদী কোনটি?
উঃ দামোদর।
৮.) রাঢ় কথার অর্থ কি?
উঃ পাথুরে জমি।
৯.) বাঁকুড়া জেলার পশ্চিমদিক থেকে পূর্বে বয়ে গেছে কোন নদী?
উঃ দ্বারকেশ্বর নদ।
১০.) দ্বারকেশ্বর ও শিলাবতী নদীর মিলিত প্রবাহের নাম কি?
উঃ রূপনারায়ণ নদী।
১১.) বীরভূম জেলায় অবস্থিত দুটি নদনদীর নাম লেখ।
উঃ অজয় নদ ও ময়ূরাক্ষী নদী।
১২.) রাঢ় অঞ্চলের বেশিরভাগ জায়গায় কোন মাটি দেখা যায়?
উঃ দোআঁশ মাটি।
১৩.) রাঢ় অঞ্চলে কি কি গাছ দেখা যায়?
উঃ শাল, শিশু, সেগুন, মেহগনি প্রভৃতি।
১৪.) রাঢ় অঞ্চলে অবস্থিত দুটি শিল্পাঞ্চলের নাম লেখ।
উঃ হলদিয়া শিল্পাঞ্চল ও খড়গপুর শিল্পাঞ্চল |
১৫.) কয়েকটি বরফগলা জলে পুষ্ট নদীর নাম লেখ।
উঃ গঙ্গা, তিস্তা, তোর্ষা, জলঙ্গী, ইছামতি প্রভৃতি।
১৬.) গঙ্গা নদী কোথায় উৎপত্তি লাভ করেছে?
উত্তরাখণ্ড রাজ্যের গাঙ্গোত্রী হিমবাহের গোমুখ গুহা থেকে।
১৭.) গঙ্গা নদী কোন সাগরে মিশেছে?
উঃ বঙ্গোপসাগরে।
১৮.) গঙ্গা নদী পশ্চিমবঙ্গের প্রবেশ করেছে কোন জেলায়?
উঃ মুর্শিদাবাদ জেলায়।
১৯.) গঙ্গার প্রধান শাখানদী গুলো কি কি?
উঃ পদ্মা ও ভাগীরথী।
২০.) বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত কোনটি?
উঃ আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি।
২১.) ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি‘ গানটি কে কত সালে লেখেন?
উঃ ১৯০৫ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
২২.) কত সালে বঙ্গভঙ্গ হয়েছিল?
উঃ ১৯০৫ সালে।
২৩.) একটি নদী মাতৃক সভ্যতার নাম লেখ।
উঃ হরপ্পা সভ্যতা।
২৪.) পারমাদান বনখন্ডের বর্তমান নাম কি?
উঃ বিভূতিভূষণ অভয়ারণ্য।
২৫.) সুন্দরবন কোথায় অবস্থিত?
উঃ গাঙ্গেয় সমভূমির দক্ষিণ অংশে অবস্থিত।
২৬.) সুন্দরবনের বিখ্যাত পশু কি?
উঃ রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার।
২৭.) সুন্দরবনের কয়েকটি নদীর নাম লেখ।
উঃ মাতালা, বিদ্যাধরী, কালিন্দী, রায়মঙ্গল প্রভৃতি।
২৮.) সুন্দরবন অঞ্চলে মোট কতগুলো দ্বীপ আছে?
উঃ ১০২টি।
২৯.) সুন্দরবন অঞ্চলের গাছ গুলোতে কয়েকটি মূল দেখা যায়?
উঃ শ্বাসমূল ও ঠেসমূল।
৩০.) উত্তরবঙ্গের কয়েকটি নদীর নাম লেখ|
উঃ তিস্তা, জলঢাকা, মহানন্দা, রায়ডাক প্রভৃতি।
৩১.) পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে উঁচু পর্বতশৃঙ্গ কোনটি?
উঃ সান্দাকফু। উচ্চতা ৩৬৩০ মিটার।
৩২.) সুন্দরবন অঞ্চলে কি কি গাছ দেখা যায়?
উঃ সুন্দরী, গরান, গেওয়া, হেতাল প্রভৃতি।
খ.) অতিসংক্ষেপে উওর লেখো: (২.)
১.) পশ্চিমবঙ্গের নদী গুলো কোনদিক থেকে কোনদিকে প্রবাহিত হয়েছে?
উঃ বেশিরভাগ নদী উত্তর থেকে দক্ষিণে প্রবাহিত হয়েছে। তবে দামোদর পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়েছে। এরপর দক্ষিণে গিয়ে গঙ্গায় মিশেছে।
২.) পশ্চিমবঙ্গের মালভূমি অঞ্চলে অবস্থিত কয়েকটি পাহাড়ের নাম লেখ।
উঃ বীরভূম জেলার মামা ভাগ্নে পাহাড়, বাঁকুড়া জেলার শুশুনিয়া পাহাড়, পুরুলিয়া জেলার অযোধ্যা পাহাড় প্রভৃতি।
৩.) রাঢ় অঞ্চল কাকে বলে?
উঃ পশ্চিমবঙ্গের মালভূমি অঞ্চলের পূর্ব দিকে এবং ভাগীরথী নদীর পশ্চিম দিকে যে সামান্য ঢেউ খেলানো রুক্ষ সমভূমি দেখা যায়, তাকেই রাঢ় অঞ্চল বলে।
৪.) নিত্যবহ নদী কাকে বলে?
উঃ যে সমস্ত নদী বরফগলা জলে পুষ্ট, সারাবছর নদীতে জল থাকে এবং নৌ পরিবহন যোগ্য, সেই সমস্ত নদীকে নিত্যবহ নদী বলে। যেমন গঙ্গা, তিস্তা, জলঙ্গী প্রভৃতি।
৫.) বঙ্গভঙ্গ কি?
উঃ ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে ইংরেজরা বাংলাকে দুই ভাগে ভাগ করে দেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করে। এই ঘটনা বঙ্গভঙ্গ নামে পরিচিত।
৬.) সভ্যতা কাকে বলে?
উঃ পৃথিবীতে সভ্য সম্প্রদায়ের মানুষজন পারস্পরিক বিভিন্ন কাজকর্মের মধ্যে দিয়ে যে সমাজ গড়ে তোলে, তাকে সভ্যতা বলে।
৭.) নদীমাতৃক সভ্যতা কাকে বলে?
উঃ নদীকে কেন্দ্র করে যে সভ্যতা গড়ে ওঠে, তাকে নদীমাতৃক সভ্যতা বলে। পৃথিবীর প্রাচীন সভ্যতাগুলি বেশিরভাগই নদীর তীরে গড়ে উঠেছিল।
৮.) ম্যানগ্রোভ জাতীয় গাছ কাকে বলে?
উঃ সুন্দরবন অঞ্চলের নোনা জল ও কাদায় এক এক ধরণের গাছ জন্মায় যাদের দুই প্রকার মূল দেখা যায়, সেগুলো হলো শ্বাসমূল ও ঠেসমূল। এদের ম্যানগ্রোভ জাতীয় গাছ বলে।
৯.) পাহাড়ি নদী কিভাবে সৃষ্টি হয়?
উঃ পাহাড়, পর্বতের বরফগলা জল অথবা বৃষ্টির জলে সৃষ্ট একাধিক ছোট ছোট জলধারা পরস্পর পরস্পরের সঙ্গে মিশে পাহাড়ি নদী সৃষ্টি হয়।
১০.) আরামবাগ ও কাটোয়া শহর দুটি কোন নদীর তীরে অবস্থিত?
উঃ আরামবাগ- দ্বারকেশ্বর
কাটোয়া – গঙ্গা
১১.) বোলপুর কোথায় অবস্থিত এবং কিসের জন্য বিখ্যাত?
উঃ বোলপুর বীরভূম জেলায় অবস্থিত। বোলপুর শান্তিনিকেতন একটি বিখ্যাত শিক্ষাকেন্দ্র। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এখানে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিল।
১২.) কোন কোন জেলা নিয়ে তরাই অঞ্চল গঠিত?
উঃ দার্জিলিং ও জলপাইগুড়ি জেলার দক্ষিণ অংশ, কোচবিহার এবং উত্তর দিনাজপুর জেলার উত্তর অংশ নিয়ে তরাই অঞ্চল গঠিত।
গ.) সংক্ষেপে উত্তর লেখ: (৩.)
১.) পশ্চিমবঙ্গের মালভূমি অঞ্চলে কয়েকটি বৈশিষ্ট্য লেখ।
উঃ পশ্চিমবঙ্গের মালভূমি অঞ্চল ঢেউ খেলানো হয়। এখানকার গড় উচ্চতা 300 মিটারের কম।
- মালভূমির মাঝে মাঝে উঁচু টিলা বা পাহাড় দেখা যায়।
- মালভূমি পাথর ও কাঁকর যুক্ত অনুর্বর লাল মাটি দিয়ে আবৃত।
২.) পর্বতের মাথায় বরফ জমে কেন?
উঃ পুকুর, নদী, হ্রদ, সমুদ্র প্রভৃতি জলাশয়ের জল সূর্যের তাপে বাষ্প হয়ে প্রতিনিয়ত ওপরের দিকে উঠে যাচ্ছে। ওপরের ঠান্ডা বাতাসের সংস্পর্শে এসে এই বাষ্প জলকণায় পরিণত হয়। পর্বতের মাথায় ঠান্ডা আরো বেশি বলে সেখানে তুষারপাত হয়। এই তুষার জমির পর্বতের মাথায় বরফ হিসেবে অবস্থান করে।
৩.) গঙ্গা নদীর গতিপথ আলোচনা কর।
উঃ গঙ্গা নদী উত্তরাখন্ড রাজ্যে হিমালয়ের গঙ্গোত্রী হিমবাহের গোমুখ গুহা থেকে উৎপন্ন হয়ে উত্তর প্রদেশ ও বিহারের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার পর পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে প্রবেশ করেছে। এরপর এই নদী দুটি শাখায় বিভক্ত হয়ে একটি শাখা পদ্মা নামে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে এবং অপর শাখাটি ভাগীরথী ও হুগলি নামে পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে।
৪.) মানুষ কিভাবে বঙ্গভঙ্গি প্রতিবাদ করেছিল?
উঃ বঙ্গভঙ্গকে কেন্দ্র করে স্বদেশী ও বয়কট আন্দোলন শুরু হয়। বয়কটের মধ্যে দিয়ে ভারতবর্ষের মানুষ বিদেশী জিনিসপত্র বর্জন করে এবং স্বদেশী পর্ণ গ্রহণ করা শুরু করে। বিদেশী পোশাক বর্জন করে চরকা কেটে সুতো বানিয়ে তা দিয়ে নিজের জামা কাপড় বানিয়ে ইংরেজদের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানায়। বঙ্গভঙ্গের প্রতিবাদে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রাখি বন্ধন উৎসব চালু করেছিলেন।
৫.) সুন্দরবন অঞ্চলের মাটির বৈশিষ্ট্য লেখ।
উঃ সুন্দরবন অঞ্চলের মাটির বৈশিষ্ট্য গুলি হল নিম্নেরূপ-
সুন্দরবন অঞ্চলের বেশিরভাগ জায়গা জুড়ে রয়েছে পলি যুক্ত দোআঁশ মাটি।
সুন্দরবন অঞ্চলে মাটিতে লবণের পরিমাণ বেশি থাকে।
সুন্দরবন অঞ্চলে মাটিতে অক্সিজেনের পরিমাণও খুব কম থাকে।
৬.) তরাই অঞ্চল সৃষ্টিতে উত্তরবঙ্গের নদীগুলোর ভূমিকা আলোচনা কর।
উ: তরাই অঞ্চল হলো দার্জিলিং ও জলপাইগুড়ি জেলার দক্ষিণ অংশ, কোচবিহার ও উত্তর দিনাজপুর জেলার উত্তর অংশ। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন নদীগুলি যেমন তিস্তা, তোর্সা, জলঢাকা, মহানন্দা, রায়ডাক প্রভৃতি পাহাড় থেকে প্রচুর পলি বালি, নুড়ি, পাথর প্রভৃতি এই তরাই অঞ্চলে বয়ে নিয়ে আসে। তাই এখানকার মাটিতে পলি, নুড়ি, পাথরের পরিমাণ বেশি ও মাটি স্যাঁতস্যাঁতে প্রকৃতির হয়ে থাকে।
Also See: