West Bengal Class 5 Amader poribesh Chapter 10 পরিবেশ ও আকাশ Question Answer
Class 5 Amader poribesh Chapter 10
(ক.) এক কথায় উত্তর লেখ (১)
(১.) পৃথিবীতে আলোর প্রধান উৎস কি?
উঃ সূর্য।
(২.) ছায়া কিভাবে সৃষ্টি হয়?
উঃ কোন আলোক উৎসের পথে বাধার সৃষ্টি হলে ছায়া সৃষ্টি হয়।
(৩.) সূর্য কি?
উঃ সূর্য হলো একটি জ্বলন্ত গ্যাসীয় পিন্ডের নক্ষত্র।
(৪.) পৃথিবীর মোট কতগুলো উপগ্রহ রয়েছে?
উঃ একটি।
(৫.) পৃথিবীর উপগ্রহ টির নাম কি?
উঃ চাঁদ।
(৬.) সূর্য গ্রহণের জন্য কে দায়ী?
উঃ চাঁদ।
(৭.) সূর্য গ্রহনের সময় সূর্য কার দ্বারা ঢাকা পড়ে?
উঃ চাঁদের দ্বারা।
(৮.) সূর্যগ্রহণ সাধারণত কোন তিথিতে হয়?
উঃ অমাবস্যা তিথিতে।
(৯.) চন্দ্রগ্রহণ সাধারণত কোন তিথিতে হয়?
উঃ পূর্ণিমা তিথিতে।
(১০.) সূর্য থেকে নির্গত কোন রশ্মি চোখের ক্ষতি করে?
উঃ অতিবেগুনি রশ্মি।
(১১.) সূর্যগ্রহণ কত ধরনের হয়?
উঃ তিন ধরনের।
(১২.) পৃথিবীর চারপাশে একবার ঘুরতে চাঁদের কত সময় লাগে?
উঃ ২৯ দিন ১২ ঘন্টা।
(১৩.) চন্দ্রগ্রহণ কখন হয়?
উঃ রাতের বেলায়।
(১৪.) চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদ কার দ্বারা ঢাকা পড়ে যায়?
উঃ পৃথিবীর দ্বারা।
(১৫.) পৃথিবীর কক্ষপথ কাকে বলে?
উঃ পৃথিবীতে নির্দিষ্ট পথে সূর্যের চারিদিকে আবর্তন করে তাকে পৃথিবীর কক্ষপথ বলে।
(১৬.) পৃথিবীর কক্ষপথের আকৃতি কিরূপ?
উঃ উপবৃত্তাকার।
(১৭.) আহ্নিক গতির অপর নাম কি?
উঃ আবর্তন গতি।
(১৮.) বার্ষিক গতির অপর নাম কি?
উঃ পরিক্রমণ গতি।
(১৯.) নিজ কক্ষপথে পৃথিবীর সূর্যের চারদিকে একবার ঘুরতে কত সময় লাগে?
উঃ বারো মাস বা ৩৬৫ দিন।
(২০.) পৃথিবীর নিজ অক্ষে চারিদিকে একবার ঘুরতে কত সময় লাগে?
উঃ ৩০ ঘন্টা ৫৬ মিনিট ৪ সেকেন্ড অর্থাৎ ২৪ ঘন্টা বা ১দিন।
(২১.) পৃথিবীর চারিদিকে চাঁদের এক পাক ঘোরার সময় পৃথিবী যক্ষের কয়টি পাক খায়?
উঃ ২৯ টি।
(২২.) দিনরাত্রি কিভাবে হয়?
উঃ পৃথিবীর আহ্নিক গতি বা আবর্তন গতির কারণে দিনরাত্রি হয়ে থাকে।
(২৩.) দিনে ঠিক কতবার জোয়ার ভাটা হয়?
উঃ দুবার।
(২৪.) জোয়ার ভাটার মূল কারণ কি?
উঃ চাঁদের আকর্ষণ বল।
(২৫.) জোয়ারের জল কখন সবচেয়ে বেশি বাড়ে?
উঃ পূর্ণিমা ও অমাবস্যা তিথিতে।
(২৬.) দুটি মুখ্য জোয়ারের মধ্যে সময়ের পার্থক্য কত হয়?
উঃ ২৪ ঘন্টা ৫২ মিনিট।
(২৭.) গৌণ জোয়ারের মূল কারণ কি?
উঃ পৃথিবীর ঘূর্ণন।
(২৮.) জোয়ার ভাটা হয় এমন কয়েকটি নদীর নাম লেখ।
উঃ দামোদর, তিস্তা, গঙ্গা, ইছামতি, রূপনারায়ণ ইত্যাদি।
(২৯.) সপ্তমী অষ্টমীর জোয়ার কে কি বলে?
উঃ মরা কোটাল।
(৩০.) চাঁদের আকর্ষণে শ্রেষ্ঠ জোয়ার কি বলে?
উঃ মুখ্য জোয়ার।
(৩১.) জোয়ার ভাটা হয় না এমন দুটি নদীর নাম লেখ।
উঃ জলঙ্গি ও চূর্ণী।
(৩২.) যখন অমাবস্যা পূর্ণিমা তিথিতে জোয়ারের জল বেশি হয় তাকে কি বলে?
উঃ ভরা কোটাল।
(৩৩.) সূর্য থেকে পৃথিবীতে আলো আসতে কত সময় লাগে?
উঃ প্রায় ৮ মিনিট।
(৩৪.) কত কোটি বছর আগে সূর্যের জন্ম হয়েছিল?
উঃ প্রায় ৫০০ কোটি বছর আগে।
(৩৫.) সূর্যের পর পৃথিবীর সবচেয়ে কাছের নক্ষত্র কোনটি?
উঃ প্রক্সিমা সেনটাউরি।
(৩৬.) কত খ্রিস্টাব্দে বৃহস্পতি গ্রহে ধুমকেতু পাত হয়েছিল?
উঃ ১৯৯৪ সালে।
(খ.) অতি সংক্ষেপে উত্তর লেখ। (২)
(১.) খণ্ডগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ কাকে বলে?
উঃ যে চন্দ্রগ্রহণে চাঁদ পৃথিবীর ছায়ায় কিছুটা ঢেকে যায় তাকে খন্ডগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ বলা হয়।
(২.) পৃথিবীর কক্ষপথ কাকে বলে?
উঃ পৃথিবী যে নির্দিষ্ট কক্ষপথে সূর্যের চারিদিকে ঘোরে থাকে পৃথিবীর কক্ষপথ বলে।
(৩.) যদি আজ দুপুর একটাই মুখ্য জোয়ার হয় তবে কাল ঠিক কটার সময় মুখ্য জোয়ার হবে?
উঃ আমরা জানি দুটি মুখ্য জোয়ারের মধ্যে সময়ের পার্থক্য বা ব্যবধান ২৪ ঘন্টা ৫২ মিনিট সুতরাং আজ দুপুর একটাই মুখ্য জোয়ার হলে পরের দিন দুপুর ১টা ৫২ মিনিটে মুখ্য জোয়ার হবে।
(৪.) বৃহস্পতি গ্রহে বড় গর্ত সৃষ্টি হওয়ার কারণ কি?
উঃ কারণ ১৯ ৯৪ সালে বৃহস্পতি গ্রহে ধূমকেতু পড়েছিল, সেই ধুমকেতু পরার কারণে বৃহস্পতি গ্রহে একটি বড় গর্তে সৃষ্টি হয়।
(৫.) চাঁদের আকাশ কালো কেন?
উঃ চাঁদে বায়ুমণ্ডল না থাকার কারণে সূর্যের আলো বিচ্ছুরণ হয় না তাই চাঁদের আকাশ কালো হয়।
(৬.) ছায়া কিভাবে সৃষ্টি হয়?
উঃ কোন আলোক উৎসের পথে বাধা সৃষ্টি হলে ছায়া সৃষ্টি হয়।
(৭.) চান্দ্র মাস কাকে বলে?
উঃ একটি পূর্ণিমা থেকে আরেকটি পূর্ণিমা পর্যন্ত সময়কালকে চন্দ্র মাস বলে।
(৮.) সূর্যগ্রহণ কয় প্রকার ও কি কি?
উঃ সূর্যগ্রহণ মূলত তিন প্রকার যথা- ক. পূর্ণগ্রাস, খ. খণ্ডগ্রাস, গ. বলয় গ্রাস।
(৯.) খণ্ড গ্রাস সূর্যগ্রহণ কাকে বলে?
উঃ সূর্যগ্রহণের সময় পৃথিবীর কোন কোন অংশ থেকে সূর্যের খানিকটা অংশ দেখা যায় না একে খণ্ডগ্রাস সূর্যগ্রহণ বলে।
(১০.) বলয়গ্রার সূর্যগ্রহণ কাকে বলে?
উঃ সূর্যগ্রহণের সময় চাঁদের প্রান্তিক অংশ থেকে সূর্যকে জ্বলন্ত অংশটির মতো দেখতে লাগলে তাকে বলো একগ্রাস সূর্যগ্রহণ বলে।
(১১.) পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ কাকে বলে?
উঃ যে চন্দ্রগ্রহণের চাঁদ সম্পূর্ণ পৃথিবীর ছায়ায় থেকে যায় তাকে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ বলে।
(গ.) সংক্ষেপে উত্তর লেখ (৩)
(১) সূর্যগ্রহণ কাকে বলে?
উঃ কোন অমাবস্যার দিন যখন সূর্য ও পৃথিবীর মাঝে চাঁদ এক সরলরেখায় আসে তখন কিছুক্ষণের জন্য চাঁদের ছায়া পৃথিবীর উপর এসে পড়ে পৃথিবীর যে অংশে যাদের ছায়া পড়ে, সেই অংশ থেকে সূর্যকে আর দেখা যায় না একেই সূর্য গ্রহণ বলে।
(২.) কেন সমস্ত অমাবস্যা তিথিতে সূর্যগ্রহণ ঘটে না?
উঃ পৃথিবীর কক্ষতল ও চাঁদের কক্ষদল সমান না হওয়ার কারণে সমস্ত অমাবস্যা তিথিতে সূর্য, চাঁদ ও পৃথিবীর একই সরলরেখায় আসে না ফলে সূর্য গ্রহণ ঘটে না।
(৩.) চন্দ্রগ্রহণ কাকে বলে?
উঃ কোন কোন পূর্ণিমার রাতে পৃথিবী যখন সূর্য ও চাঁদের মাঝখানে একই সরলরেখায় চলে আসে, তখন পৃথিবীর ছায়া চাঁদের ওপর এসে পড়ে ফলে চাঁদকে আর তখন দেখা যায় না এই ঘটনাকেই চন্দ্রগ্রহণ বলা হয়।
(৪.) কেন ১২ ঘন্টা ২৬ মিনিট পর গৌণ জোয়ার থেকে মুখ্য জোয়ার বা মুখ্য জোয়ার থেকে গৌণ জোয়ার হয়ে থাকে?
উঃ চাঁদ ও পৃথিবীর একই দিকে ঘোরে। পৃথিবীর ১২ ঘন্টায় আজ পাক ঘরে ততক্ষণে চাঁদও কিছু দূর এগিয়ে যায় তাই চাঁদের সামনে যেতে পৃথিবীর আরও ২৬ মিনিট সময় লাগে তাই গৌণ জোয়ারের ১২ ঘন্টা ২৬ মিনিট পরে মুখ্য জোয়ার হয়।
(৫.) প্রত্যেক অমাবস্যা বা পূর্ণিমায় গ্রহণ হয় না কেন?
উঃ প্রত্যেক অমাবস্যা পূর্ণিমায় গ্রহণ হয় না তার কারণ হলো সৌরজগতের সূর্য, পৃথিবী ও চাঁদ একই সরলরেখায় এলে সূর্য বা চন্দ্রগ্রহণ হয় কিন্তু প্রত্যেক অমাবস্যা বা পূর্ণিমায় সূর্য, চাঁদ ও পৃথিবী একই সরলরেখায় আসে না তাই গ্রহণ হয় না।
Also See: