West Bengal Board Class 9 Bengali Radharani Solution
Radharani : Bengali Class 9 Question and Answers. West Bengal Board Class 9 students can solve their Bengali textbook Question answers from this page.
Board |
Westbengal Board |
School |
High School |
Subject |
Bengali |
Class |
9 |
Chapter |
Radharani (রাধারাণী) |
Topic |
Solution |
Mcq type question
১) রাধারানী মাহেশে
বাজার করতে/ মেলা ঘুরতে/ রথ দেখতে গিয়েছিল
উঃ রথ দেখতে গিয়েছিল।
২)রাধারানীদের পূর্বের সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ৫ লক্ষ /১০ লক্ষ /১৫ লক্ষ
উঃ দশ লক্ষ।
৩) রাধারানী শিউলি ফুল/ কদম ফুল /বনফুলের মালা গাথিল
উঃ বনফুলের মালা
৪)রাধারানীর বনফুলের মালা গাথার অভিপ্রায় ছিল
মেলা ঘোরা/, জিলিপি খাওয়া/ মায়ের পথ্যের জন্য অর্থ সংগ্রহ করা
উঃ মায়ের পথ্যের জন্য অর্থ সংগ্রহ করা।
৫) রাধারানীর বাড়ি কোথায়?
মহেশ /শ্রীরামপুর /হরিহরপুর
উঃ শ্রীরামপুর ।
৬)”আমি দুঃখী লোকের মেয়ে”, উক্তিটি কার
এক নববধূর /রাধারানীর/ রাধারানীর মায়ের
উঃ রাধা রানীর
৭) রাধারানীর বয়স সাত আট/ নয় দশ/দশ এগারো
উঃ দশ এগারো
৮)রাধারানী ঘরে এসে কিভাবে আগুন জ্বালালো? মোমবাতি দিয়ে /খড় দিয়ে/ চকমকি ঠুকে ।
উঃ চকমকি ঠুকে ।
৯) অচেনা মানুষ রাধারানীকে পয়সা /মোহর/ টাকা দিয়েছিল।
১০) কুটুম্ব কথার অর্থ
বন্ধু /শত্রু /আত্মীয়
উঃ আত্মীয়।
Very short type question
১) কাপড়ের দোকানের মালিকের নাম কি?
উঃ পদ্মলোচন সাহা
২)পদ্মলোচনের হাতে কি ছিল?
উঃ কুঞ্জদার শান্তিপুরের একজোড়া নতুন শাড়ি।
৩) উঠানে পড়ে থাকা নোটে রাধারানী ব্যতীত আর কার নাম লেখা ছিল?
উঃ রুক্মিণী কুমার রায়ের
৪) রাধারানী গল্পটি কার লেখা?
উঃ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ।
৫) রাধারানীর বাড়ি কোথায়?
উঃ শ্রীরামপুরে
৬)”কে গা তুমি কাঁদো” উক্তিটি কার ?
উঃ উপরিউক্ত উক্তিটি রুক্মিণী কুমার রায়ের
৭) তুমি দাঁড়াও আমি আলো জালি ।উক্তিটি কার ?
উঃ উক্তিটি রাধা রানীর।
৮)পদ্মলোচন সাহা কে?
উঃ উদ্ধৃত পাঠ্যে পদ্মলোচন সাহা একজন মুনাফা লোভী শাড়ি বিক্রেতা।
৯) গল্পে রাধারানী বনফুলের মালা বেচতে কোথায় গিয়েছিল ?
উঃ মাহেশের রথের মেলায়।
১০) রাধারানী বনফুলের মালা কোন অভিপ্রায় রথের মেলায় বিক্রি করতে গিয়েছিল?
উঃ রাধারানী বনফুলের মালা রথের মেলায় বিক্রি করে যা, পয়সা হবে তা দিয়ে মায়ের পথ্য কেনার অভিপ্রায়ে গিয়েছিল।
Short type question
১) “তুমি ছেলেমানুষ একেলা রথ দেখতে গিয়েছিলে কেন” উক্তিটি কার রাধারানীকে ছেলেমানুষ বলে বর্ণনা করার কারণ কি?
উঃ উপরি উক্ত উক্তিটি রুক্মিণী কুমার রায়ের। পাঠ্যে আমরা পরিচিতি পাই রাধারানী চরিত্রটির ।যে মায়ের পথ্য জোগানের তাগিদে নিজের হাতে বনফুলের মালা গেঁথে মেলায় গিয়েছিল বিক্রি করতে। বৃষ্টিতে সেই মালা বেচতে না পেরে নিরুপায় হয়ে বাড়ি ফেরার উদ্যোগ নেয় সে। অন্ধকারে দিক ভ্রান্ত হয়। ঘটনাচক্রে তার পথে রুক্মিণী কুমার রায়ের সাথে পরিচয় ঘটে, এবং রাধারানীকে বাড়ি অব্দি তিনি পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। তখন অন্ধকারে গলার স্বর শুনে হস্ত স্পর্শে অনুভব করে রাধারানীর বয়স সে অনুমান করে। এবং বুঝতে পারে তার বয়স বেশি নয় ।তাই রুক্মিণী কুমার রায় তাকে ছেলে মানুষ বলে সম্বোধন করেছেন।
২) “তুমি আগে ভিজা কাপড় ছাড়ো” উক্তিটি কার ? কার প্রতি এই উক্তি? কেন এই উক্তি করা হয়েছে?
উঃ উপরি উক্ত উক্তিটি রুক্মিণী কুমার রায়ের।
রুক্মিণী কুমার রায় রাধা রানীর প্রতি এই উক্তিটি করেছিলেন।
মাহেশের রথে বনফুলের মালা বেচতে গিয়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হয় রাধারানী, বৃষ্টিস্নাত হয়ে সে দিকভ্রান্ত হয়ে পড়ে । রুকমিনি কুমার তাকে পরম যত্নে বাড়ি অবধি পৌঁছে দিয়ে যায়। বাড়ি ফিরে বিক্রি না হওয়া বনফুলের মালা রুক্মিণী কুমার কিনে নিতে চায় ।সেমত অবস্থায় রাধারানীকে অন্ধকারে মূল্য দিলে, রাধারানী বোধ করে সেটি পয়সা নয় হয়তো টাকা। আর তা সচেতনভাবে নিরীক্ষণ করার তাগিদে ঘরের ভিতর গিয়ে প্রদীপের আলোতে দেখতে চায় ।আর তখনই রুক্মিণী কুমার রায় উক্তিটি করেছিলেন যে ,সে যেন আগে ভেজা কাপড় ছেড়ে তারপরে প্রদীপ জ্বালায়।
৩) “আগুন জ্বালাইতে কাজে কাজেই একটু বিলম্ব হইল” উপরিউক্ত উক্ত উক্তিটি কোন পাঠ্যাংশের অংশ? আগুন জ্বালাইতে বিলম্ব হওয়ার কারণ কি?
উঃ উপরিউক্ত অংশটি সংগ্রহ করা হয়েছে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় লেখা রাধারানী পাঠ্য অংশ থেকে।
রাধা রানী গরীব ঘরের মেয়ে। মায়ের পথ্যের অভিপ্রায়ে সে বনফুলের মালা গেঁথে তা বিক্রি করতে উদ্যত হয় । আর সেখানে ঘরের অন্ধকার ঘোচাতে তেলের প্রদীপ জ্বালানোর মতো অবস্থা তার কল্পনার অতীত। আগুন জ্বালানোর জন্য তাকে চকমকি ঠুকতে হলো। চালের থেকে খড় পেড়ে চকমকি ঠুকে আগুনে তা জ্বালাতে হলো সেই কারণেই তার আগুন জ্বালাতে দেরি হল।
৪) “আমরাও ভিখারি হইয়াছি দান গ্রহণ করিয়া খরচ করি” উপরিউক্ত উক্ত উক্তিটি কার? কেনই বা সে এরূপ মন্তব্য করেছে?
উঃ উপরিউক্ত উক্তিটি রাধা রানীর রোগগ্রস্থ নিরুপায় মায়ের।
রাধারানীদের পূর্ব অবস্থায় এরূপ সংকটময় ছিল না। সে যথেষ্ট অবস্থা সম্পন্ন ঘরের মেয়ে ।পরিস্থিতির শিকার হয়ে তাদের অবস্থা আজ সংকটময় ও শোচনীয় হয়ে পড়েছে ।রাধারানীর বাড়ি এসে তাদের অবস্থা প্রত্যক্ষ করার পর অনুভব করে তাদেরকে যৎসামান্য সাহায্য করা উচিত। আর সেহেতু সে রাধা রানী কে বনফুলের মূল্য স্বরূপ পয়সা না দিয়ে বরং টাকা দিয়েছে। আর সে টাকা ফেরত না নিয়েই সে চলে গেছে রাধারানী অভিজ্ঞতা অনুযায়ী রুক্মিণী কুমার জেনেশুনে এই কাজ করেছে আর বর্তমানে যেহেতু তাদের এমন দুরাবস্থা তাই তারা সেই দান গ্রহণ করবে। আর ঠিক এই কারণেই আক্ষেপ করে তিনি এই উক্তিটি করেছিলেন।
‘তুমি মালা বেচোতো আমি কিনি’ কার উক্তি? কার প্রতি এই উক্তি?উক্তিটির কারণ কি?
উঃ উপরই উক্ত উক্তিটি রুক্মিণী কুমার রায়ের। রুক্মিণী কুমার রায় রাধারানীর প্রতি এই উক্তিটি করেছেন।
রাধারানী যে বনফুলের মেলায় বিক্রি করতে পারেনি তারা তার হাতেই ছিল ।ছোট্ট বালিকার হৃদয় রক্ষার তাগিদে রুক্মিণী রায় ঈশ্বরকে উৎসর্গ করার সদিচ্ছা প্রকাশ করে রাধারানীর থেকে তা যথার্থ মূল্য দিয়ে কিনে নিতে চায়। আর সেই কারণেই সে বলে যে রাধা রানী মালা বিক্রি করতে চাইলে সেটা কিনতে চায়।
Long Answer Type Questions
১)”আঁচলটা নিংড়ে নিয়ে পড়িব এখন “কে আঁচলটা নিংড়ে নিয়ে পড়বে? কার প্রতি এই উক্তি ? আঁচলটা নিংড়ে নিয়ে পড়ার কথা বলা হয়েছে কেন? সবিস্তার বর্ণনা কর।
উপরিউক্ত অংশটি গ্রহণ করা হয়েছে বঙ্কিমচন্দ্র রচিত রাধা রানী পাঠ্যাংশ থেকে। উপরিউক্ত উক্তিটি গল্পে বর্ণিত রাধারানী চরিত্র টির। রাধারানী ১০/১১ বছরের এক বালিকা, পূর্বে তারা বেশ অবস্থা সম্পন্ন পরিবার থাকলেও বর্তমানে তারা যথেষ্ট গরীব। পরিস্থিতির শিকার হয়ে তারা তাদের সমস্ত সম্বল হারিয়েছেন। রাধারানী বর্তমানে তার মায়ের সঙ্গে শ্রীরামপুরে থাকেন। তার মায়ের প্রচন্ড শরীর অসুস্থ ,কিন্তু ঔষধ কেনার মত সাধ্য তাদের ছিল না ।রাধারানী বেশ কিছু বনফুল সংগ্রহ করে তা দিয়ে মালা বানিয়ে মাহেশের রথে বিক্রি করতে গিয়েছিল। ছোট হলেও সে অসাধারণ বাস্তবিক। আর তাই পরিস্থিতির প্রতিকূলে গিয়েও সে হার মানেনি। বিক্রিত মালার মূল্য দিয়ে মায়ের জন্য পথ্য কিনবে এ হেন চিন্তায় মেলায় উপস্থিত হলেও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সে অপারগ হয়ে ওঠে। বৃষ্টির কারণে মেলার আসর পন্ড হয় ।তার মালা বেচাও বন্ধ হয়। এদিকে অন্ধকার হলে সে দিকভ্রান্ত হয়ে পড়ে। রুক্মিণী কুমার রায় নামক কোন এক শুভ চিন্তক তাকে তার বাড়ি অবধি নিয়ে আসে। ছোট মেয়েটি তার মালা মেলায় বিক্রি করতে পারেনি দেখে রুক্মিণী কুমারের মানবিক বোধ জাগ্রত হয়। সে রাধা রানীর মালা যথার্থ মূল্য দিয়ে কিনে নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে। রাধারানী বিষয়টি শুনে খুশি হলেও মনে মনে ভাবে দাম নিলে উপকারীর সাথে স্বার্থপরতার ব্যবহার করা হবে। কিন্তু দারিদ্রতার কাছে মহানতা হার মানল। মূল্য গ্রহণ করে রাধারানী মালাটি বিক্রয় করল রুক্মিণী কুমার যথার্থ মূল্যের চাইতে অনেক বেশি টাকা দিয়ে মালাটি কিনে নিল। অন্ধকারে কুমারের দেওয়া মূল্যের পরিমাণ না দেখেই রাধারানী মুল্যটি হাতে নেয় তার সঙ্গে সন্দেহ হয় মূল্যটি পয়সা নাকি টাকা। আর সেই সন্দেহবশত সে মূল্যটি পরীক্ষা করার তাগিদে ঘরের ভেতরে গিয়ে আলো জ্বালিয়ে দেখতে চায়। রুক্মিণী কুমার সাবধান করে সে যেন ভেজা কাপড় আগে পরিবর্তন করে। কিন্তু রাধারানীর আর কোন কাপড় নেই। এই একখানা কাপড়ই ভিজে গেলে সে নিংড়ে নিয়ে পড়ে। গল্পে আমরা জানতে পারি রাধারানীরা এতটাই গরিব যে দ্বিতীয় কোন কাপড় কেনার মত সামর্থ্য ও তাদের নেই। পরনের কাপড় ভিজে গেলে সেটা নিংড়ে নিয়ে এসে পরিধান করে।।
২) “তাহারা দরিদ্র কিন্তু লোভী নহে “অর্থটির যথার্থতা নিরূপণ কর।
উঃ উপরিউক্ত অংশটি বঙ্কিমচন্দ্র বিরচিত রাধারাণী পাঠ্যাংশ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। গল্পে রাধারানী আর তার মা যথেষ্ট গরীব। আর তাদের এরূপ দুর্দশার সাক্ষী হয়েছিল রুক্মিণী কুমার রায়। মেলায় নিরুপায় রাধারানী তার বনফুল মালা বেঁচতে না পারায় খুব দুঃখিত ছিল। সে তার বনফুলের মালা বেঁচে মায়ের পথ্য কিনতে চেয়েছিল। যা তার পক্ষে আর হলো না। একথা জানতে পেরে রুক্মিণী কুমার রায় রাধারানীর ফুলের মালা কিনতে আগ্রহী হয়, যথার্থ দামের চাইতে অধিক মূল্য রাধা রানীকে সে দিয়েছিল। রাধারানীর পরনের কাপড় একটা বই দুইটা নেই। একথা জানার পর শাড়ির দোকানদারকে বলে এক জোড়া পরনের শাড়ি পাঠিয়েছিল রাধারানীর জন্য। রুক্মিণী কুমার রাধারানীর উঠোনে একখানি নোট ফেলে রেখে যায়। তাতে লেখা রুক্মিণী কুমার এর নাম। সকালে উঠোন ঝাড়ু দিতে গিয়ে রাধারানী সেই নোট কুড়িয়ে পেয়েছিল। কিন্তু ওই নোটটি কুড়িয়ে পাওয়ার পরেও প্রচন্ড প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও সেটিকে তারা ব্যবহার করেনি। কারণ যে মানুষটি তাদের জন্য এত উপকার করে গেছে তা অস্বীকার করা হবে। রাধারানীরা যথেষ্ট মানবিক গুণী সম্পন্ন ।তারা মানুষের উপকার গ্রহণ করলেও লোভী নয়। চাল চুলোহীন হলেও অকৃতঘ্ন নয়। পরিশ্রম ছাড়া কোন প্রকার পারিশ্রমিক গ্রহণ করতে তারা নারাজ।