West Bengal Board Class 9 Bengali Chapter 11 ঘর Solution
ঘর : Bengali Class 9 Chapter 11 Question and Answers. West Bengal Board Class 9 students can solve their Bengali textbook Question answers from this page.
Board |
Westbengal Board |
School |
High School |
Subject |
Bengali |
Class |
9 |
Chapter |
ঘর |
Topic |
Solution |
Mcq type:
1.) কবির বাড়ির চারিদিকে আম /জাম/ লতা/ জারুলের বেড়া।
উ:জারুলের বেড়া।
2.) কবি চোখের তৃষ্ণায় ঘিরেছেন অনেক ঘর/ রাজ্য/ গ্রাম /দেশ।
উ:দেশ
3.) অনাত্ম সংসার দূরে- কাঁদে /অভিমানে থাকে / গর্জায়।
উ: দূরে গর্জায়।
4.) কবির মনে স্মৃতির ঢিবি/ দুঃখের পাহাড়/ চিন্তার ঝড়।
উ: স্মৃতির ঢিবি।
5.) কবির বাড়ির সামনের রাস্তা- কাঁচা/ পাকা /কাঁকর বিছানো।
উ:কাঁকর বিছানো।
6.) কবি নতুন হতেন প্রণাম/ আপ্যায়ন/আতিথেয়তার মধ্য দিয়ে।
উ: প্রনামের মধ্য দিয়ে।
7.) সিঁড়ির কাছে তিনি বিড়ালের আওয়াজ/ ঘন্টার আওয়াজ/ কচি গলার আওয়াজ শুনতে পেয়েছিলেন।
উ: কচি গলার আওয়াজ।
8.) কবি দীর্ঘদিন পর ফিরে এসেছেন তার আত্মীয়র বাড়ি/ প্রতিবেশীর বাড়ি /নিজের বাড়ি।
উ: নিজের বাড়ি।
9.) কবি নিজের মনে স্মৃতিচারণ করছিলেন নিজের বাড়ির/ বন্ধুর /প্রিয় মানুষের।
উ: নিজের বাড়ির।
10.) ঘর কবিতাটির লেখা সুনির্মল বসু/ সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত/ অমিয় চক্রবর্তীর।
উ: অমিয় চক্রবর্তী।
Very short type
1.) আধুনিক বাংলা কবিতার একজন কবির নাম লেখ ।
উ:অমিয় চক্রবর্তী।
2.) প্রথম জীবনে অমিয় চক্রবর্তী কার ব্যক্তিগত সচিব ছিলেন?
উ:রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ।
3.) অমিয় চক্রবর্তীর লেখা বিখ্যাত কয়েকটি কাব্যগ্রন্থের নাম বল ।
উ:পারাপার ,পালাবদল, এক মুঠো। 4.অমিও চক্রবর্তী কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ছিলেন?
উ:মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ পলস বিশ্ববিদ্যালয়।
5.) অমিয় চক্রবর্তী কত সালে একাডেমী পুরস্কার পান ?
উ:1963 সালে।
6.) কচি গলার আওয়াজ লেখক কোথায় পেয়েছিলেন ?
উ:সিঁড়ির কাছে।
7.) কবি কোথায় ফিরে আসার জন্য ব্যাকুল হয়েছিলেন?
উ:নিজের ঘরে
8.) কবির চোখে তৃষ্ণায় ঘিরে রেখেছিল কোন জিনিস?
উ:অনেক দেশ ভ্রমণ করার ইচ্ছা।
9.) কবি কোথায় নিজেকে আবার নতুন ভাবে ফিরে পেয়েছেন ?
উ:নিজের ঘরের গ্রামে।
10.) কবির পৃথিবী কোথায় এসে শেষ হয়ে যায়?
উ: নিজের বাড়িতে।
Short type:
1.) “জারুলের বেড়া”- এখানে ‘বেড়া’ শব্দটির অন্তর্নিহিত অর্থ বিশ্লেষণ কর।
উ:’জারুলের বেড়া’ এই কথাটি এখানে দ্ব্যর্থবোধক ভাবে ব্যবহৃত হয়েছে। বেড়া সাধারনত ব্যবহার হয়ে থাকে বাড়ির আভ্যন্তরীণ পরিবেশকে বাড়ির বাইরের পরিবেশ থেকে আলাদা করার জন্য অথবা রক্ষা করার জন্য। ঠিক তেমনভাবেই কবি এখানে বোঝাতে চেয়েছেন যে বেড়া হল একটি সীমারেখা যে সীমারেখার এপারে রয়েছে আমাদের দেশের সংস্কৃতি। অর্থাৎ প্রাচ্য কৃষ্টি আর ওপারে রয়েছে পাশ্চাত্য কৃষ্টি। বেড়া মধ্যেখানে থেকে এই দু ধরনের সংস্কৃতি কে, পরম যত্নে ভিন্ন করে রেখেছে। বেড়া এবারের ওপারের অবাঞ্ছিত যাতায়াত আটকে রেখেছে অর্থাৎ সংস্কৃতি যাতে অপসংস্কৃতিতে পরিণত না হয়। তার ব্যবস্থা স্বরূপ এখানে বেড়া শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে।
2.) “কাঁকর পথ থামবে দরজায়” কবি এখানে কাঁকড় পথ বলতে কি বুঝিয়েছেন?
উ: কবি অমিয় চক্রবর্তী লেখা ঘর কবিতায় কবি কাঁকড়পথ কথাটির অর্থ বলতে বুঝিয়েছেন- তিনি জীবনে বহু দেশ বহু রাজ্য ঘুরে এসেছেন ।কিন্তু তিনি জীবনের এই সীমায় এসে বুঝতে পেরেছেন যে , যে পথ তিনি অতিক্রম করে এসেছে তা মোটেও কুসুমাস্তীর্ণ ছিল না। জীবনের নানা ঘাত প্রতিঘাত। চড়াই উতরাই এ সমস্ত কিছু অতিক্রম করে সে আজ নিজে গৃহে এসে উপস্থিত হয়েছে। সেই কাঁকর বিছানো পথ তার গৃহের দরজার সম্মুখে এসে শেষ হয়েছে। আর এখান থেকেই শুরু কবির নিজের ভালোলাগার স্থান। নিজের ঘর যেখানে কবির পরম তৃপ্তি।
3.) “অনাত্ম সংসার”বলতে কবি কি বুঝিয়েছেন?
কবিতায় অনাত্ম সংসার বলতে কবি বুঝিয়েছেন -কবি বহুদিন বিদেশে দিনযাপন করে এসেছেন ।অত:পর তিনি বাংলার একটি মেঠো পথের অন্তিমে তার নিজের ঘরে এসে উপস্থিত হয়েছেন ।এ ঘর তার বড় প্রিয় ।এ ঘরের মায়া আর সে কোন কিছু মূল্যে ত্যাগ করতে পারেন না। তিনি এতদিন যেখানে ছিলেন সেখানে দিন যাপন করার পরেও সেই স্থানের প্রতি তার কোন আত্মার সম্পর্ক গড়ে ওঠেনি। সেখানে আভিজাত্যের ঝা চকচকে চোখের তৃষ্ণা ছিল ,কিন্তু হৃদয়ের ডাক ছিল না। আজ তিনি নিজের ঘরে ফিরে এসেছেন যে ঘর তার নিজের একেবারে আত্মার সাথে সম্পর্কযুক্ত। আর তাই পাশ্চাত্যের সেই সংসার যা অনাত্মক তা কবির সাহচর্য্য পাওয়ার জন্য যেন মরমী হয়ে উঠেছে। আর তাই সে অভিমান কাতর।
4.) “মনের স্মৃতির ঢিবি আজ নেই”- কেন?
উ: দীর্ঘদিন কবি যখন বিদেশে দিনযাপন করেছেন ,সে সময় বাংলার পথ- ঘাট, প্রকৃতি ,পরিবেশ সমস্ত কিছু তার হৃদয়ে অনুরণিত হতো। তিনি তার নিজের জন্মস্থান জন্মভিটায় ফিরে যেতে তৎপর হয়ে ছিলেন। আজ যখন বহুদিন পর তিনি নিজের বাসস্থানে ফিরে এসেছেন এবং নিজের চেনা পরিবেশকে আবার আলিঙ্গন করেছেন। ঠিক সেই মুহূর্তে তার হৃদয়ঙ্গম হতে যে স্মৃতির তিনি কল্পনা করে রেখেছিলেন সেই স্মৃতির পাহাড় গুলি একে একে শেষ হয়ে গেছে কারণ তিনি আজ সেই স্মৃতির সামনে দাঁড়িয়ে। যে স্মৃতিকে আঁকড়ে ধরে তিনি এতদিন বেঁচে ছিলেন সেই স্মৃতির পালাবদল কারণ সে স্মৃতি আজ বাস্তবে রূপায়িত।
5.)” নতুন হতেন প্রণামে এই আপন ঘরের গ্রামে” উক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর।
উ: উপরিউক্ত উক্তির মাধ্যম দিয়ে কবি বোঝাতে চেয়েছেন আমাদের বাংলার অতি পুরাতন একটি সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য যা হল গুরু জনদের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করা। এবং বাড়ি থেকে বেরোনোর আগে ও বাড়িতে ঢোকার পর ঈশ্বরকে স্মরণ করে তাকে প্রণাম করা।
এবং বাড়ি থেকে বেরোনোর আগে ও বাড়িতে ঢোকার পর ঈশ্বরকে স্মরণ করে তাকে প্রণাম করা। কবি দীর্ঘদিন বাড়ির বাইরে থেকে বাড়িতে ফিরেছেন এবং বাড়িতে ফিরে প্রণামের মধ্য দিয়ে যেন তিনি আবার নতুন ভাবে সমস্ত কিছু ফিরে পেয়েছেন তাই তিনি এখানে নতুন হয়েছেন তার প্রণাম এর মধ্য দিয়ে। এই ধারণাটি কবির একান্তই নিজস্ব মনের ভাবনা। এবং সেই ভাবনার ফলস্বরূপ তার লেখনীতে প্রস্ফুটিত হয়েছে এই অনবদ্য উক্তিটি।
Long type
1.) কবি অমিয় চক্রবর্তী বিদেশে থেকেও দেশের প্রতি তিনি যে টান অনুভব করেছেন তা ঘর কবিতা অবলম্বনে নিজের ভাষায় লেখ?
উ: কবি অমিয় চক্রবর্তী একজন ভ্রমণ পিপাসু ব্যক্তি, গোটা পৃথিবীটাকে ঘুরে দেখার নেশায় বারংবার এদিক ওদিক তাকে যেতে দেখা যায়। তিনি বহু দেশ বিদেশ পাড়ি দিয়েছেন এ কথা সত্য। কিন্তু একটি বিষয় তাকে সর্বদাই ব্যাকুল করত আর তা হল গৃহের প্রতি টান। তিনি সর্বদাই গৃহান্মুখ হয়ে থাকতেন। তিনি বিদেশে থেকেও দিনরাত শুধুমাত্র ঘর আর তার চারপাশের ছোট্ট পরিবেশের কথা কখনো ভুলতেন না। তিনি এই সর্বদা একথা অনুভব করতেন যেন তাকে কেউ ডাকছে সেই সুদূর প্রান্ত থেকে তার ঘরে ফেরার জন্য আর হৃদয় অন্তরে স্মৃতির কাটাকুটি চলতো। সেই ছোট্ট ঘরের প্রতি তার যে ভালোবাসা তা বৃহৎ পৃথিবীর মাঝে তিনি খুঁজে পাননি। ওই ঘরই যেন তার পরম আত্মীয় বাকি সব অনাত্মীয়।
2.) কবি অমিয় চক্রবর্তী ঘরে ফেরার পর যে বর্ণনা কবিতায় দিয়েছেন তা বর্ণনা কর।
উ: কবি অমিয় চক্রবর্তী দীর্ঘদিন বাইরে থাকার পর ঘরে ফিরে এসেছেন ।ঘরে ফিরে তিনি উপলব্ধি করতে পেরেছেন তার আসল শান্তি কোথায়। এই যে এত দেশ রাজ্য ঘুরে তিনি চোখের তৃষ্ণাকে নিবারণ করতে চেয়েছেন তা করতে পারলেও আত্মার যে চাহিদা তা তিনি নিবারণ করতে পারেনি। বিদেশে থাকাকালীন অবস্থাতেও তার মনে শুধুমাত্রই স্মৃতির ঢিবি। তার ঘরকে ঘিরে। বারবার ফিরে যেতে চেয়েছিলেন সেই ছোট্ট কুটিরে। তার ছোট্ট আঙিনা তাকে আকর্ষিত করে রেখেছিল যেই আকর্ষণ সে আর কোথাও অনুভব করেনি। বাড়ির কাছে আসতেই সে সিঁড়ির কাছে চেনা আওয়াজ পায়। যে আওয়াজে তার ফিরে আসার লক্ষ্য কারণ খুঁজে পায়। তার প্রতীক্ষায় যেন আলো নিয়ে দাঁড়িয়ে তার পরিচিত। এই পরিচিত পরিবেশ ,আলো ,চেনা ঘর, চেনা আওয়াজ সবকিছুই তার বড় প্রিয়।