West Bengal Board Class 9 Bengali Chapter 29 চন্দ্রনাথ Solution
চন্দ্রনাথ : Bengali Class 9 Chapter 29 Question and Answers. West Bengal Board Class 9 students can solve their Bengali textbook Question answers from this page.
Board |
Westbengal Board |
School |
High School |
Subject |
Bengali |
Class |
9 |
Chapter |
চন্দ্রনাথ |
Topic |
Solution |
MCQ type question answer
1.) লেখক খরগধারী ভীমকায় নক্ষত্রের সাথে তুলনা করেছেন- হিরু /কাশীনাথ/ চন্দ্রনাথ এর আকৃতির সাথে ।
উ:চন্দ্রনাথ এর সাথে।
2.) চন্দ্র নাথের দাদার নাম –হীরাকান্তবাবু/ মনীষলাল বাবু/ নিশানাথ বাবু
উ:নিশানাথ বাবু।
3.) চন্দ্রনাথ- প্রথম পুরস্কার /দ্বিতীয় পুরস্কার/ তৃতীয় পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেছিল।
উ: দ্বিতীয় পুরস্কার ।
4.)”সেকেন্ড প্রাইজ নেওয়া আমি বিনিথ মাই ডিগনিটি বলে মনে করি” উক্তিটি হিরু/ চন্দ্রনাথ/ নিশানাথ এর।
উ:চন্দ্রনাথের।
5.) স্কুলে হিরু কার নাম- স্কুলের সেক্রেটারির ভাইপো/ হেডমাস্টারমশাইয়ের ছেলে/ ম্যানেজিং কমিটির প্রধান।
উ: স্কুলের সেক্রেটারির ভাইপো।
6.) চন্দ্রনাথ তার অংকের খাতা থেকে পাঁচটা /সাতটা /তিনটে অংক টুকতে দিয়েছিল ।
উ:তিনটে অংক।
7.) চন্দ্রনাথের দাদা ক্ষোভে অপমানে চন্দ্রনাথ কে- প্রহার করেছিল /অপমান করেছিল /পৃথক করেছিল ।
উ:পৃথক করেছিল।
8.) চন্দ্রনাথের দাদা জানালার ভেতর দিয়ে কোন দিকে তাকিয়ে ছিলেন?
আম গাছের দিকে/ জাম গাছের দিকে/ তমাল গাছের দিকে।
উ: তমাল গাছের দিকে।
9.) লেখক কটার ট্রেনে মামা বাড়ি থেকে ফিরে এসেছিল –তিনটা /চারটা /পাঁচটা উ:পাঁচটা ।
10.) হিরু কোথা থেকে চিঠি পাঠিয়ে সমস্ত ফলাফল জানিয়েছে?
উ: মুম্বাই/ কলকাতা /মাদ্রাজ।
উ: কলকাতা।
Very short type question
1.) তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় এর জন্ম কোথায় ?
উ:বীরভূমের লাভপুরে ।
2.) তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় কর্মসূত্রে কোথায় ছিলেন?
উ: কলকাতা, ও কানপুরে ।
3.) তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাহিত্য সাধনার সূত্রপাত ঘটেছিল কিভাবে?
উ: ১৩৩৩ বঙ্গাব্দে ত্রিপত্র কবিতা সংকলন প্রকাশের মধ্য দিয়ে।
4.) তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিখ্যাত কয়েকটি উপন্যাসের নাম বল
উ: গণদেবতা ,কালিন্দী, মন্বন্তর, হাঁসুলী বাঁকের উপকথা ।
5.) তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় কোন কোন পুরস্কার পেয়েছিলেন ?
উ:পদ্মশ্রী ,পদ্মভূষণ, জ্ঞানপীঠ, সাহিত্য একাডেমী ও আরো অন্যান্য অনেক পুরস্কার তিনি লাভ করেছিলেন।
6.) লেখক কার সাথে কার তুলনা করেছিলেন?
উ:লেখক কালপুরুষ নক্ষত্রের সাথে চন্দ্রনাথের তুলনা করেছিলেন।
7.) চন্দ্রনাথের দাদার নাম কি ছিল?
উ:কাশীনাথ বাবু
8.) this is mathematics উক্তিটি কার
উ:চন্দ্রনাথের।
9.) লেখক কোথা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন?
উ:সার্কুলার রোডের সমাধি ক্ষেত্র থেকে।
10.) লেখকের সহপাঠীদের নাম কি?
উ:চন্দ্রনাথ এবং হীরু।
Short type question answer
1.)”তাহার কথা শুনিয়া আশ্চর্য হইয়া গেলাম “উক্তিটি কার? কে কার কথা শুনিয়া আশ্চর্য হইয়া গিয়াছিল ?আশ্চর্যের কারণ বর্ণনা কর।
উ:উপরিউক্ত উক্তিটি গল্পকথকের। গল্পকথক তার বন্ধু চন্দ্রনাথের কথা শুনে আশ্চর্য হয়ে গিয়েছিল। কারণ চন্দ্রনাথ নিজেই ইউনিভার্সিটি এক্সামিনের রেজাল্ট এর একটা খসড়া তৈরি করছিল । সেখানে সে নিজের ফলাফলের উপর নির্ভর করে বাকি ছাত্ররা কত নাম্বার বা ডিভিশন পেয়ে পাস করবে এবং কে কে ফেল করবে তার হিসাব করছিল। আর তার এই কান্ড কীর্তি দেখে গল্পকথক আশ্চর্য হয়ে গিয়েছিল।
2.) “তুই তাহলে থার্ড ডিভিশনে যাবি” কার উক্তি ?বক্তার এমন ধরনের উক্তির কারণ কি? এবং এই উক্তির ফলাফল কি হয়েছিল?
উ: উপরি উক্ত উক্তিটি গল্প কথাকের বন্ধু চন্দ্রনাথের। চন্দ্রনাথ ইউনিভার্সিটি এক্সামিনেশন এর রেজাল্ট এর খসরা বাড়িতে তৈরি করার পর সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে সে যদি পরীক্ষায় সাড়ে পাঁচশো বা তার বেশি পায় তবে স্কুলের দুজন ফেল করবে আর পাঁশো পঁচিশ এর নিচে পেলে তাহলে দশ জন ফেল করবে। আর নরেশ থার্ড ডিভিশনে পাশ করবে। এ হলো চন্দ্রনাথ এর অনুপাতের আঙ্কিক নিয়ম অনুসারে নির্ধারিত করা রেজাল্টের খসড়া।
এমন ধরনের উক্তি শোনার পর গল্পকথক প্রচন্ড রেগে গিয়ে মনে মনে কামনা করেছিল যেন চন্দ্রনাথের এমন দাম্ভিকতার ফলাফল সে পায় এবং সে যেন পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ হয়।
3.) “দুর্দান্ত চন্দ্রনাথের আঘাতে সমস্ত স্কুল টা চঞ্চল বিক্ষুব্ধ হইয়া উঠেছে।” চন্দ্রনাথ কি আঘাত করেছিল?
উ: চন্দ্রনাথ পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে। আর স্কুলের সেক্রেটারির ভাইপো ফার্স্ট হয়েছে। এই ভয়ংকর সত্যটাকে সে কিছুতেই মেনে নিতে পারেনি। কারণ চন্দ্রনাথ বরাবরই প্রথম হয়ে এসেছে ।আর তাই প্রাইজ ডিস্ট্রিবিউশনের সময় চন্দ্রনাথ প্রাইজ প্রত্যাখ্যান করেছিল। কারণ দ্বিতীয় পুরস্কার গ্রহণ করার মত মানসিকতা তার নেই। সে কখনোই দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেনি আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই সমস্ত স্কুল চঞ্চল এবং বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছিল।
4.) চন্দ্রনাথ পরীক্ষায় তার দ্বিতীয় অবস্থান মানতে রাজি নয় কেন?
উ: চন্দ্রনাথ স্কুলে তার দ্বিতীয় অবস্থান মানতে রাজি নয় তার কারণ প্রথমত সে কখনোই দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেননি। তাছাড়া সে দাবি করেছে পরীক্ষার সময় সে তিনটি অংক হিরুকে তার খাতা থেকে টুকতে দিয়েছিল ।মাস্টার মশাই পূর্বে বলে দেওয়া সত্ত্বেও সে সময় তার সেই অংক মনে ছিল না। তাছাড়া হিরুর স্কুলের অ্যাসিস্ট্যান্ট টিচার ও প্রাইভেটের মাস্টার প্রশ্নপত্র ছাত্রটির কাছে গোপন রাখেন নি। আর তার ওপর উত্তর বিচার করার সময় ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল করেছেন ,তিনি এবং আরো দুই একজন শিক্ষক ।এই সমস্ত কিছুর জন্য চন্দ্রনাথ কোনমতেই নিজেকে দ্বিতীয় স্থানে দেখতে চায়নি। এত ভুল ভ্রান্তি এবং খামতি থাকা সত্ত্বেও হিরু প্রথম এবং সে দ্বিতীয় তা সে মানতে চায় না।
5.) হিরু গল্পকথককে কলকাতা থেকে পত্র পাঠিয়ে কি জানিয়েছিল?
উ: হিরো গল্পকথককে পত্রের মাধ্যমে জানিয়েছিল যে ইউনিভার্সিটি এক্সামে দশটি ছেলে ফেল করেছে। গল্পকথক তৃতীয় বিভাগে কোনরূপে পাশ করেছে। চন্দ্রনাথ পাঁচশো পঁচিশ পায়নি। আর হিরু স্কলারশিপ পাবে ।চন্দ্রনাথ ইউনিভার্সিটি এক্সামিনেশন এর যে রেজাল্টের খসরা তৈরি করেছিল। তা অক্ষরে অক্ষরে মিলে গেছে। শুধুমাত্র হিরু চন্দ্রনাথ কে পেছনে ফেলে এগিয়ে যাবে, এটাই মেলেনি।
Long type question answer
1.)”চন্দ্রনাথের দাদা যেন বিস্ময়ে অভিভূত হইয়া গেলেন এবার” চন্দ্রনাথের দাদার বিস্মিত হওয়ার কারণ কি বিস্তৃত বল।
উ: গল্পে চন্দ্রনাথ গল্পকথক এর বন্ধু। চন্দ্রনাথ একজন ভালো ছাত্র। দীপ্তি এবং পরিধিতে বরাবর উজ্জ্বল। তার অংকের উপর দখল বেশ পোক্ত। কিন্তু স্কুলের পরীক্ষায় সে এবার দ্বিতীয় স্থান অধিকার করাতে মানসিক দিক থেকে একেবারে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ।সে কিছুতেই নিজের দ্বিতীয় স্থানকে মেনে নিতে পারছে না। কারণ সে বরাবর প্রথম হয়েই এসেছে। সে কোনমতেই দ্বিতীয় পুরস্কার গ্রহণ করতে চায় না। তাই প্রাইজ ডিস্ট্রিবিউশনের সময় চন্দ্রনাথ অনায়াসে নির্দ্বিধায় স্কুলের প্রাইজ প্রত্যাখ্যান করে দিয়ে গোটা স্কুলকে চঞ্চল এবং বিক্ষুব্ধ করে তুলেছিল ।বিদ্যালয়ের মাস্টারমশাই চন্দ্রনাথের দাদাকে সম্পূর্ণ ঘটনা জানালে চন্দ্রনাথের দাদা প্রচন্ড রাগান্বিত হয়ে যান। চন্দ্রনাথকে বিদ্যালয় কে ক্ষমা চেয়ে চিঠি লেখার আদেশ দেন কিন্তু চন্দ্রনাথ কোন মতেই সেই আদেশ মান্য করে না। সে কোনো মতেই মেনে নিতে পারে না তার অবস্থান। দৃঢ় প্রত্যয়ে দাদার আদেশ অমান্য করাতে তিনি খুবই রাগান্বিত হন।চন্দ্রনাথের এরূপ আচরণে ক্ষোভে বিস্ময়ে অভিভূত হয়ে গিয়েছিলেন।
2.) চন্দ্রনাথের চেহারা এবং চরিত্রের পরিচয় দাও।
উ: গল্পকথকের কলমে উদ্দীপ্ত চন্দ্রনাথ এক অসাধারণ ব্যক্তিত্ব ।যার তুলনা তিনি কালপুরুষ নক্ষত্রের সঙ্গে করেছেন। কারণ ওই খরগধারী ভীমকায় আকৃতির সঙ্গে চন্দ্রনাথের আকৃতির তিনি যথেষ্ট সাদৃশ্য খুঁজে পেতেন। কালপুরুষ যেমন বৃত্তীয় ভঙ্গিতে নিজের জীবনের লক্ষ্যপথে বৃত্তমান ঠিক তেমনি চন্দ্রনাথ নিজের জীবনের কক্ষপথে দৃঢ় প্রত্যয় যাকে কখনো কুক্ষিগত করা সম্ভব নয়। চন্দ্রনাথ প্রলয়ংকর দাহ্য। তার দেহ দীর্ঘাকৃতি সবল, নির্ভীক দৃষ্টি ,অদ্ভুত মোটা নাকটি সামান্য চাঞ্চল্যতেই স্ফীত হয়ে ওঠে।বড় বড় চোখ। চওড়া কপাল আর সেই কপালের মধ্যস্থলে একটি ত্রিশূল চিহ্ন। রক্তের চাপ সামান্য উত্তেজনায় প্রবল হলেই ওই চিহ্নটি মোটা হয়ে ফুলে ওঠে। তার চেহারার সাথে তার চরিত্রের অদ্ভুত মিল রয়েছে। লেখক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় তার অসাধারণ লেখনি শক্তির সাহায্যে খুব সুন্দর ভাবে চন্দ্রনাথ চরিত্রটি আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন।