On this post we have given Vab Somprosaron ‘বিদ্যার সাধনা শিষ্যকে নিজে অর্জন করতে হয় গুরু উত্তর সাধক মাত্র।’ for our students of Bengali medium. For any problems to understand during the time of learning or reading please comment us. Our Bengali Teacher will assist You.
মূলভাব : বিদ্যা হল সাধনার বিষয়। যেকোনো বিষয়ে সঠিক জ্ঞান লাভ করতে হলে অন্তর থেকে উদ্যম না আসলে তা কখনোই সম্ভব নয়।
সম্প্রসারিত ভাব: বিদ্যা অর্জন ও শিক্ষার্জন এমন এক বিষয় যা শুধুমাত্র আভ্যন্তরীণ চাহিদা ছাড়া কখনই সফল হওয়া সম্ভব নয়। জন্মের পর পরিণত হওয়ার পরবর্তীতে প্রত্যেক ব্যক্তি বিদ্যা অর্জন এর জন্য তৎপর হন ।বাড়িতে বাবা-মা গুরুজন এর প্রচেষ্টায় শিশুরা বিদ্যাভ্যাসে মনোনিবেশ করে। একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বাবা-মা এর তত্ত্বাবধানে শিশুরা বিদ্যা অর্জন করে থাকে ।কিন্তু সময় অতিবাহিত হওয়ার সাথে সাথে প্রত্যেকে ই বড় হয়। তখন বাবা-মা বা গুরুজনের কথায় নয় বরং শিক্ষা অর্জন এক মানসিক চাহিদা হয়ে দাঁড়ায়। যতক্ষণ না হৃদয়াঙ্গম হতে সেই চাহিদা উৎসারিত হচ্ছে ততক্ষণ মানুষ অজ্ঞ। শিক্ষার্জন সাধনার বিষয়বস্তু। তাকে পেতে হলে তার প্রতি শ্রদ্ধা সম্মান এবং ভালোবাসা থাকতে হবে। গুরু শুধুমাত্র সঠিক পথের সন্ধান দিতে পারেন ।কিন্তু সেই পথকে অনুসরণ করে সম্মুখপানে এগিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব একমাত্র শিষ্যের। গুরু তার অভিজ্ঞতা দ্বারা শিষ্যকে সঠিক পথ নির্বাচনের উপায় বলে দিতে পারেন। কিন্তু সেই পথ নির্বাচন করে এগিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব তার। শিষ্য গুরু নির্বাচিত প্রদর্শিত পথ এর যথাযথ বিশ্লেষণ করে ,ভালো মন্দ -ন্যায় অন্যায়ের পার্থক্যকে যাচাই করে সঠিক পথ নির্বাচন করবে কিভাবে এটা একমাত্র শিষ্য বিচার করবে। আর এই ক্ষেত্রে তার শিক্ষা বিদ্যা জ্ঞান এ সমস্ত কিছু পাথেয় হবে।। যথেষ্ট অনুশীলন অধ্যাবসায় এর দ্বারা নিজের সফলতার সোপান নির্মাণ করার দায়িত্ব একমাত্র শিষ্যের। গুরু শিষ্যের সম্পর্কের পরিধি বিশাল। শিষ্যের সাধনার পথে গুরু এক উজ্জ্বল জ্যোতি স্বরূপ।
সাধনার পথে শিষ্যের যাতে কোন বাধা সৃষ্টি না হয় তা রোধ করবার দায়িত্ব গুরুর। কিন্তু সেই শিক্ষা বিদ্যা অর্জন করতে হবে নিজের দক্ষতায়। সঠিক মাপের শিক্ষিত হতে গেলে চরম অধ্যাবসায় পরিশ্রম এর সব কিছু হবে তার পাথেয় ।তবেই একজন শিষ্য সঠিক অর্থে শিষ্য হয়ে উঠবে এবং গুরু শিষ্যের সম্পর্ক অটুট রাখতে সক্ষম হবে।
Important Link: