নদীর এপার কহে ছাড়িয়া নিঃশ্বাস ওপারেতে সর্ব সুখ আমার বিশ্বাস | Vab Somprosaron
In this post we have given Vab Somprosaron ‘ নদীর এপার কহে ছাড়িয়া নিঃশ্বাস ওপারেতে সর্ব সুখ আমার বিশ্বাস ‘ for our students of Bengali medium. For any problems to understand during the time of learning or reading please comment us. Our Bengali Teacher will assist You.
মূলভাব: নিজের কাছে যতটুকু সঞ্চিত আছে বা যতোটুকু নিজের ক্ষমতায় হাসিল করার যোগ্যতা মানুষ রাখে তাকে সেটুকু নিয়ে খুশি থাকতে হয়। অতিরিক্ত চাহিদা মানুষকে চরম ভোগান্তির পথে তাড়িত করে।
সম্প্রসারিত ভাব: মানব আত্মা মাত্রই লোভ মোহ ইচ্ছা আকাঙ্ক্ষা এই সমস্ত কিছুর সমাবেশে সংগঠিত। কিছু কিছু মানুষ পরশ্রীকাতর হয়ে থাকেন। নিজের সুখ এর চাইতে অপরের সুখকে অত্যাধিক মাত্রায় বড় করে দেখেন। এই সুন্দর পৃথিবীতে প্রত্যেকে নিজের নিজের জায়গায় শ্রেষ্ঠ। একটি বৃক্ষের ফুলের কাজ যেমন শোভা বর্ধন করা আর তাই প্রত্যেকের দৃষ্টিগোচর হওয়ার দরুন তাকে বৃক্ষের উপরিভাগে রাখা হয়েছে। তার রংবেরঙের পাপড়ি আকর্ষিত করছে গোটা প্রকৃতিকে। আবার মূল তার কাজ খুব দায়িত্বসম্পন্ন ভাবে সে পালন করছে। মাটির গভীরে নিজেকে বিস্তৃত করে গাছকে বল প্রদান করে বাঁচিয়ে রেখেছে। তাই পুষ্প পুষ্পের কাজ করছে আর মূল মূলের কাজ করছে। এক্ষেত্রে উভয়ই বৃক্ষের প্রয়োজনীয় অঙ্গ। অর্থাৎ প্রত্যেকেই নিজে নিজে ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠ।তাই কখনোই নিজেকে খাটো করে দেখা উচিত নয়। অন্যের উন্নতি দেখে নিজেকে ক্ষুদ্র ভাবা হীনমন্যতার লক্ষণ। এতে মানুষ মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়। এরূপ ঈর্ষা প্রকাশ করে মানুষ নিজের মানবিক গুণগুলির অপমান করে। এই পৃথিবীতে বহু কামনা বাসনার ভোগ্য বস্তু রয়েছে এক জীবনে তার সমস্ত কিছুর আকাঙ্ক্ষা করা বোকামির পরিচয়।
তাই ব্যক্তিকে যতটুকু রয়েছে ততটুকুর মধ্যেই খুশি থাকা উচিত। অতিরিক্ত চাওয়া পাওয়া মানুষকে অন্ধকার পথে ধাবিত করে। ইন্দ্রিয় সংযম সর্বোপরি জীবনের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত তাহলেই মানবজীবনে শান্তির বাতাবরণ সৃষ্টি হবে। অন্যের হিত যদি মানব মনে ঈর্ষা সৃষ্টি করে এর চাইতে বড় অভিশাপ হয় না।
তাই সর্বদা মানুষকে নিজের সাধ্যের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকতে হয়। মানব জীবনে সাধের অন্ত নেই।সাধ্যের কথা ভুলে গিয়ে সেই সাধের পেছনে ধাবিত হলে চলবে না। সাধ এবং সাধ্যকে বরাবর রাখতে হবে। সেই সাধকেই প্রাধান্য দেওয়া উচিত যা মানব সাধ্যের মধ্যে বিরাজ করে। নতুবা মানুষ নিরর্থক ভাবে হতাশায় জর্জরিত হবে। নিজের ভাগ্যকে দোষারোপ করতে করতে অমূল্য সময়কে নষ্ট করবে। তাই নিজের কর্মের উপর বিশ্বাস রেখে নিজের ইচ্ছা গুলিকে সঠিক মর্যাদায় সুসজ্জিত করতে হবে।
Important Link: