Odisha Board Class 6 Science Chapter 3 খাদ্য পদার্থের পরিষ্করণ
Odisha Board Class VI (6) Bengali Medium Science Chapter 3 খাদ্য পদার্থের পরিষ্করণ Question Answer Solution. Students under Odisha State Board, who are searching for খাদ্য পদার্থের পরিষ্করণ chapter’s exercise question will find all answers.
তৃতীয় অধ্যায়
———————-
খাদ্য পদার্থের পরিষ্করণ
——————————–
১.) কিভাবে পৃথক ও পরিষ্কার করবো : –
(ক) আরহর ডালে সুজি মিশে গেলে :- ছোট চালুনিতে ছোট ছোট ছিদ্র থাকে। এতে ডাল চালিয়ে দিলে সরু সুজি গুলো নিচে পরে যাবে। চালুনিতে পরিষ্কার ডাল রয়ে যাবে।
(খ) চালে ভুষি থাকলে :- বাড়িতে চালুনিতে ছোট ছোট ছিদ্র থাকে। এতে চাল চালিয়ে দিলে ভুষি ছিদ্র দিয়ে নিচে পরে যাবে। পরিষ্কার ডাল চালুনিতে রয়ে যাবে। এছাড়া বাড়িতে কুলোর সাহায্যে চাল পাছড়ালেও চাল থেকে ভুষি আলাদা হয়ে যাবে।
(গ) গমে ভুষি থাকলে :- বাড়িতে কুলোর সাহায্যে গম পাছড়ালে গম থেকে ভুষি আলাদা হয়ে যায়। কারণ এখানে হালকা পদার্থ ভারী পদার্থ থেকে আলাদা হয়ে যায়।
(ঘ) খইতে ধানের খোসা লেগে থাকলে – প্রথমে আমরা বড়ো চালুনির সাহায্যে খইকে চেলে নেবো। পরে দু একটা ধানের খোসা আমরা হাতেই বেঁচে নেবোএই পদ্ধতিকে বলা হয় (Hand picking ) ।
(ঙ) গোলমরিচের সঙ্গে পাকা পেঁপের বীজ মিশে থাকলে – একটি কাঁচের গ্লাসে জল নিলাম।এবং সেই গোলমরিচ ও পেঁপের বীজ জালে ছেড়ে দিলাম। এরপর দেখা যাবে গোল মরিচ জলের নিচে পরে যাবে আর পেঁপের বীজ জলে ভেসে থাকবে।
২.) পার্থক্য লিখি :-
(ক) ওড়ানো :- কুলোতে ধান নিয়ে ওপর থেকে নিচে ধীরে ধীরে ঢাললে হাওয়ায় হালকা খোসা ,কাঠি পাতা ধান থেকে উড়ে যায়। একে বলা হয় ওড়ানো ।
পাছড়ানো :- কুলোতে খাওয়ার জিনিস পাছড়ালে হালকা পদার্থ ভারী পদার্থ থেকে আলাদা হয়ে যায়। চাল পাছড়ালে তুষ ও হালকা কাঠি আলাদা হয়ে যায়।
(খ) ধান পিটা :- জমি থেকে শস্য আটি বেঁধে কেটে আনার পর ,সেই আটিকে ভারী কিছুর ওপর পেটালে শিষ থেকে শস্য আলাদা হয়ে যায় আর খড় আলাদা আলাদা হয়ে যায়। একে বলে ধান পিটা।
ধান মাড়া :- খড়ে ধান থাকলে খামারে এনে খড়ের আটি বলদের সাহায্যে মাড়াই করা হয়। একে বলে ধান মাড়া। মুগ,বিড়ি ইত্যাদি শস্যও মাড়াই করা হয়।
(গ) অবক্ষেপণ :- একটি পাত্রে জল নিয়ে তার মধ্যে কিছু চাল ছেড়ে দিলে কিছুক্ষন পরে দেখা যাবে চাল গুলি জলের নিচে বসে গেছে। নিচে কঠিন ভারি পদার্থ বসে যাওয়ার প্রণালীকে অবক্ষেপণ বলে।
পরিস্রাবন :- একটি প্লাস্টিক বোতলে একটি ফানেল বসাই ,তারপর ফানেলের ভিতরে একটি ফিল্টার পেপার ভাঁজ করে রাখি। তারপর সংগৃহিত জল আস্তে আস্তে ফিল্টার পেপারের ওপর ঢেলে দিলে দেখা যাবে বোতলের ভিতরে যে জল পড়ছে তা পরিষ্কার মনে হচ্ছে। এই প্রণালীকে বলা হয় পরিস্রাবন। এই প্রণালীতে তরল পদার্থে থাকা অদ্রবণীয় কঠিন পদার্থ তরল পদার্থ থেকে আলাদা করা যায়।
৩.) (ক) কুলা :- কুলা ,পাছড়ানো ও ওড়ানো প্রণালীতে ব্যবহার করা হয়।
(খ) চালুনি :- চালানো প্রণালীতে চালুনি ব্যবহার করা হয়।
(গ) ফিল্টার পেপার :- পরিস্রাবন প্রণালীতে ফিল্টার পেপার ব্যবহার করা হয়।
৪.) (ক) ভুসি মেশানো চাল পাছড়ে পরিষ্কার করা হয় কারণ ,চাল থেকে ভুসি পরিষ্কার না করলে সেই ভুসি পেটে চলে যাবে আর ভুসি পেটে গেলে হজম হবে না।
(খ) রান্নার আগে চাল ভালোভাবে ধোয়া হয় কারণ ,ধান জমির থেকে শুরু করে চাল হওয়া পর্যন্ত
অনেক ধুলো ময়লা নোংরা চালের গায়ে লেগে যায়।
(গ)ব্যসন ও ময়দার মিশ্রণ চালুনি দিয়ে চেলে আলাদা করা যায়না কারণ, ব্যসন ও ময়দা একদম একই রকমের পাউডার তাই এদেরকে আলাদা করা যায়না।
(ঘ) সর্ষেকে পরিস্রাবন প্রণালীতে পরিষ্কার করা যায়না কারণ ,পরিস্রাবন প্রণালীতে ফানেলে সর্ষে ও ধুলো ময়লা দুটোই ফিল্টার পেপারে আটকে থাকবে, তাই সর্ষে পরিষ্কার হবে না ময়লা মেশানো থাকবে ।
৫.) গোটা বিউরি ,সর্ষে ও ছোলা মিশে গেলে আমরা প্রথমে হাতে একটা একটা ছোলা আগে আলাদা করবো তার পর চালুনি দিয়ে চেলে বিউরি থেকে সর্ষে আলাদা করবো।
Other Chapters: