Odisha Board Class 6 Science Chapter 2 খাদ্যের শ্রেণী বিভাগ
Odisha Board Class VI (6) Bengali Medium Science Chapter 2 খাদ্যের শ্রেণী বিভাগ Question Answer Solution. Students under Odisha State Board, who are searching for খাদ্যের শ্রেণী বিভাগ chapter’s exercise question will find all answers.
দ্বিতীয় অধ্যায়
——————-
খাদ্যের শ্রেণী বিভাগ
—————————
অভ্যাস : –
উত্তর :-
১.) উল্লিখিত খাদ্যতালিকা থেকে কোনটি কোন জাতীয় খাদ্য তা বেঁচে নিয়ে লিখি –
কুল,ঘি,ছোট মাছ,আমলকী, কাঁকরোল,শুঁটকি মাছ ,বড়মাছ ,শাক ,ডিম্ ,মাড়ুয়া ,ছাতু ,চীনা বাদাম ,মুড়ি ,নারকেল ,সমুদ্রের মাছ ,পেয়ারা ,কামলা ,পালংশাক,পাকা আম ,গাজর,মুলো,আটা।
শ্বেতসার পুষ্টিসার স্নেহসার ভিটামিন খনিজ লবন
মাড়ুয়া ঘি ঘি ছোট মাছ ছোট মাছ
ছাতু ডিম্ চীনা বাদাম পাকা আম সমুদ্রের মাছ
আটা পালংশাক বড় মাছ গাজর শুঁটকি মাছ
মুড়ি পেয়ারা ডিম্ কুল
গাজর নারকেল আমলকী
পালংশাক
মুলো
পেয়ারা
কাঁকরোল
শুঁটকি মাছ
২.) কোনগুলো ঠিক তার পাশে √ চিহ্ন দেই :-
(ক) সূর্যকিরনে ভিটামিন D থাকে। √
(খ) আমলকিতে ভিটামিন C থাকে। √
(গ) শুঁটকি মাছে বেশি স্নেহসার থাকে। √
(ঘ) পুষ্টিকর খাদ্য শরীরের আবশ্যকতা পূরণ করে। √
(ঙ) ‘রক্তাল্পতা ‘ হলে সমুদ্রের মাছ খাওয়া উচিত।
(চ) ভিটামিন ‘k ‘ সজনে ডাঁটাতে পাওয়া যায় না।
(ছ) রাতকানা লোকের গাজর খাওয়া অনুচিত।
(জ) দুধে সবরকমের ভিটামিন থাকে। √
৩.)উত্তর :-
(ক) আহারে তন্তু যুক্ত খাবা থাকা আবশ্যক ,কারণ :-
আমরা যত প্রকার খাবার খাই তা আমাদের শরীরের বিভিন্ন অবশ্যকতা পুরণ করে। শরীর সুস্থ রাখার জন্য আবশ্যকীয় খাবার খাওয়া প্রয়োজন। খাদ্যে থাকা মুখ্য পোষককে কেন্দ্র করে খাদ্যকে বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে তন্তুজাতীয় খাদ্য নিতান্তই আবশ্যক শরীরের পুষ্টি সাধনের জন্য। এই জাতীয় খাদ্য আমাদের পাচনতন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের মতো এটি শরীরের কোষ দ্বারা শোষিত হয় না আর ভেঙেও যায় না। এই জাতীয় খাদ্য খাদ্য শস্য ,বাদাম,সবজি,টাটকা ফলে পাওয়া যায়।
(খ) আমিষ না খাওয়া শিশুর বেশি পরিমাণে দুধ ,ডাল,বাদাম খাওয়া দরকার,কারণ :-
মাছ ,মাংস, ডিমে অনেক বেশি পড়িমানে পুষ্টিগুন্ থাকে। আমিষ না খাওয়া শিশুর শরীরে সেই পুষ্টি গুন্ যাচ্ছে না। তাই শরীর কে সুস্থ রাখার জন্য ,লেখা পাড়ায় মন বাসাতে সেই পুষ্টি গুনের ঘাটতি পূরণ করা প্রয়োজন। তাই বেশি করে দুধ, ডিম ,বাদাম খেলে সেই পুষ্টির অভাব পূরণ হতে পারে।
(গ) রামধনু অন্ধকারে দেখা যায় না, কারণ :-
আলো বিচ্ছুরণের ফলে যে সাতটি আলোর পাটি গঠিত হয় সেটাই রামধনু। কিন্তু অন্ধকারে অর্থাৎ আলোর অনুপস্থিতিতে কোনো প্রকার বিচ্ছুরণ ঘটে না ,তাই রামধনু অন্ধকারে দেখা যায়না। যেমন ,ঘরে খোলা জানালার সামনে করা রোদ আসে পড়লে সেখানে একটি প্রিজম ধরলে
আলো বিচ্ছুরিত হয়ে অনেক আলাদা রঙে ভাগ হয়ে রামধনু দেখায়। কিন্তু জানালা বন্ধ অবস্থায়
আলোর অনুপস্থিতিতে কোনো প্রকার আলোর বিচ্ছুরণ ঘটে না আর রামধনুও দেখা যায় না।
(ঘ) শিশুদের পুষ্টিসার জাতীয় খাদ্যে আবশ্যকতা বেশি, কারণ :-
অপুষ্টির ফলে শিশুর দেহে নানা রকম অপুষ্টি জনিত রোগ দেখা যায়। রোগের মূল কারণ হলো অপুষ্টি।যেমন শিশুদের আয়োডিনের অভাবে হয় গয়টার ও ট্যারা চোখ ,আয়রনের অভাবে হয় এনিমিয়া বা রক্তাল্পতা , প্রোটিন ও শক্তির অভাবে হয় ম্যারাসমাস।এছাড়া খাদ্যে শক্তি উৎপাদক খাদ্য উপাদানগুলোর অভাব ঘটলে অপুষ্টির সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।তাই শিশুদের সুস্থ রাখতে হলে
বিভিন্ন রকমের পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিত।
(ঙ) পাহাড়িয়া অঞ্চলের লোকেদের গলগন্ড অসুখ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি ,কারণ : –
পাহাড়িয়া অঞ্চলের মাটিতে আয়োডিনের অভাব দেখা যায়। এবং আয়োডিনের অভাব জনিত রোগ হলো গলগন্ড বা গয়টার। তাই পাহাড়িয়া অঞ্চলের লোকেদের গলগন্ড বা গয়টার অসুখ
বেশি দেখা যায়। থাইরয়েড গ্রন্থির অস্বাভাবিক বৃদ্ধিকেই গলগন্ড বা গয়টার বা ঘ্যাগ বলে।
৪.) নিচে দেওয়া প্রত্যেক পোষকের জন্য দুটি খাদ্য পদার্থের নাম লিখি : –
(ক) পুষ্টিসার : – ডাল ঘি ।
(খ) ভিটামিন সি :- কামলা লেবু পেয়ারা ।
(গ) খনিজ লবন :- শাক সবজি সমুদ্রের মাছ ।
৫.) যদি সব গরু ও মহিষ লোপ পায় তবে দুধ ,দই , ঘি ,ছানা ব্যাতিত আর যে সব খাদ্য পদার্থ পাওয়া যাবে না সেগুলি হলো :- পানির , ননী।
৬.) একটি বর্ধিষ্ণু শিশুর ঠিক ঠাক ওজন বাড়া বা বেড়ে উঠার জন্য,সঠিক বুদ্ধি বিকাশের জন্য ,আজ কাল নানা রকমের রোগ ব্যধির থেকে রক্ষা পাবার জন্য সঠিক পুষ্টি যুক্ত খাবার যুক্ত খাবারের প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি। খাদ্যে কোনো রকম পোষকের অভাব ঘটলে এদের সাস্থের
অবনতি ঘটবে এবং রোগগ্রস্থ হয়ে পড়বে। এবং এতে ভবিষ্যতে এদের ফলাফল ভালো হবে না।
আর একজন বৃদ্ধ মানুষের শারীরিক শক্তি কমতে থাকে এবং হার ও পেশির সমস্যা বেশি হয়। তার জন্য কম ক্যালোরি যুক্ত খাবার খাওয়া দরকার। তবে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া দরকার। কারণ এদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী রাখতে ভিটামিন ও পুষ্টি বজায় রাখা দরকার।এবং তরল জাতীয় খাবার খাওয়া বৃদ্ধদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
You can also See other Chapters:
- Chapter 1 খাদ্যের উৎস
- Chapter 3 খাদ্য পদার্থের পরিষ্করণ
- Chapter 4 দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত বস্তু
- Chapter 5 বস্তুর প্রকার ভেদ
- Chapter 6 বস্তু ও পদার্থের পরিবর্তন
- Chapter 7 জীব ও নির্জীব
- Chapter 8 অবস্থান বা সংস্থা
- Chapter 9 উদ্ভিদের বিভিন্ন অংশের গঠন ও কার্য
- Chapter 10 দৈর্ঘ ও দূরত্বের মাপ
- Chapter 11 গতি