NIOS Class 12 Bengali Chapter 6 Solution – গদ্যপাঠ
NIOS Class 12 Bengali Solution Chapter 6 গদ্যপাঠ. NIOS Class 12 Bengali Chapter 6 Question Answers Download PDF. NIOS Class 12 Bengali Notes.
Board |
NIOS |
Class |
12th (Higher Secondary) |
Subject |
Bengali |
Topic |
Question Answer, Solution, Notes |
পাঠগত প্রশ্ন:৬.১
ক) একটি বাক্যে উত্তর দিন
১) বাংলা গদ্যের লিখন রীতি কি কি?
উঃ বাংলা গদ্যের লিখন রীতি মূলত দুই প্রকার -সাধু ও চলিত।
২) কোন সময় পর্যন্ত সাধু গদ্য রীতি প্রধান ছিল?
উঃ উনবিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় ভাগ পর্যন্ত সাধু গদ্য রীতির প্রাধান্য ছিল
৩) চলিত গদ্যে কোন রীতি প্রাধান্য পায়? উঃ চলিত গদ্যে সাধারণত কথ্য ভাষা যে প্রচলিত রূপ এবং ভঙ্গি তার প্রকাশ্য প্রাধান্য পায়।
৪) চলিত গদ্য রীতিতে ক্রিয়াপদ ও সর্বনাম পদগুলির কেমন হয় দুটি উদাহরণ দিয়ে দেখান?
উঃ তাহারা (সাধু) তারা (চলিত)
বাধিত (সাধু) বাধা ( চলিত)
৫) চলিত গদ্য ভাষার একজন বিশিষ্ট লেখকের এর নাম করুন?
উঃ প্রমথ চৌধুরী।
খ) শূন্যস্থানে সঠিক শব্দ বসানো:
১) বাংলা গদ্যের সূচনা পর্বের লেখক গোষ্ঠীর মধ্যে আছেন প্যারিচাঁদ মিত্র কালীপ্রসন্ন সিংহ
২) আলালী ভাষা হচ্ছে আলালের ঘরের দুলাল গ্রন্থের ভাষা
৩) সাধু গদ্য ও চলিত গদ্যের একটি পার্থক্য হল সংস্কৃতির প্রাধান্য সাধু গদ্যে চলিত গদ্যের ভঙ্গি
৪) কালীপ্রসন্ন সিংহের চলিত গদ্যের রূপটি পাওয়া যায় হুতোম প্যাঁচার নকশা বইটিতে
পাঠগত প্রশ্ন ৬.২
ক) দুটি অংশ ঠিকমতো যুক্ত করুন :
১) বাংলা গদ্য সাহিত্যকে প্রধান/তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়।
২) কথার সাহিত্যের প্রধান একটি ধারা/ছোট গল্প
৩) প্রবন্ধ সাহিত্য/কথা সাহিত্যে একটি ভাগ ।
৪) বাংলা উপন্যাসের প্রথম সার্থক স্রষ্টা/বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
৫) বাংলায় একটি ঐতিহাসিক উপন্যাসের নাম/রাজ সিংহ
পাঠগত প্রশ্ন ৬.৩
ক) শূন্যস্থান পূরণ কর:
১) ছোট গল্পের জন্ম হয়-ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষ লগ্নে
২) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছোট গল্পের বৈশিষ্ট্যটি লিখেছেন-সোনার তরী কাব্যগ্রন্থের বর্ষা যাপন কবিতায়।
৩) কয়েকটি ছোট গল্পের নাম-পোস্টমাস্টার, কঙ্কাল ,নষ্টনীড়, ছুটি।
৪) ছোট গল্পে চরমক্ষন-একটি
খ) নিচের প্রশ্নগুলির দু-তিনটি বাক্যে উত্তর দিন:
১) শ্রেষ্ঠ ছোট গল্প সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথের সংজ্ঞা মূলক কবিতাটি লিখুন?
উ: শ্রেষ্ঠ ছোট গল্প সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথের সংজ্ঞা মূলক কবিতাটি নিম্নরূপ-
“ছোট প্রাণ ছোট ব্যথা ছোট ছোট দুঃখ কথা
নিতান্তই সহজ সরল ,
সহস্র বিস্মৃতিরাশি, প্রত্যহ যেতেছে ভাসি
তারি দু চারিটি অশ্রু জল।
নাহি বর্ণনার ছটা ঘটনার ঘনঘটা
নাহি তত্ত্ব নাহি উপদেশ ।
অন্তরে অতৃপ্তি রবে সাঙ্গ করি মনে হবে
শেষ হয়ে হইল না শেষ”
২) ছোট গল্পের দুটি বৈশিষ্ট্য লিখুন?
উঃ আধুনিক সাহিত্যচর্চায় ছোট গল্প এক নতুন ধরনের শিল্পকর্ম। এ ধরনের সাহিত্যে মানুষের বিচিত্র ভাব ভঙ্গি ও অনুভূতির যে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মূল্যবোধ তা নিয়ে গড়ে উঠেছে গল্পগুলির বিষয়।
পর্যায়ক্রমিকভাবে বিশ্লেষণ করলে এর বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য আমরা লক্ষ্য করতে পারি।
প্রথমত বলা যেতে পারে ছোট গল্প গুলি হঠাৎ করে আকস্মিকভাবে সূচিত হয়।
দ্বিতীয়তঃ আয়তন বা পরিসর কম হওয়ার কারণে সার্বিক রূপ তুলে ধরার বদলে খুব ক্ষুদ্র এবং অখন্ডিত একটি রূপের সন্ধান পাওয়া যায়।
তৃতীয়ত: গল্পের চরিত্রের সংখ্যা খুব সীমিত হয়ে থাকে।
চতুর্থত : স্বল্পপরিসর হওয়ার কারণে পাঠকের হৃদয়ের চরিত্র সম্পর্কে জানার কৌতূহল নিবৃত হয় না। গল্প পড়ে শেষ করার পরেও গল্পের পরিসমাপ্তির প্রতি অতৃপ্ততা থেকেই যায়।
৩) ছোট গল্পে কিসের ব্যঞ্জনা থাকে?
উঃ ছোট গল্পের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হঠাৎ করেই শুরু হয় আবার তার পরিসমাপ্তি ঘটে হঠাৎ করে এর মাঝে সময়টুকুতে যে বর্ণনা আমরা পেয়ে থাকি তা পাঠক হৃদয়ের কৌতূহলের ক্ষুধা নিবৃত করতে পারে না এবং এই ব্যক্তির মধ্যে একটি অতৃপ্তির ব্যঞ্জনা থেকেই যায় সেই ব্যঞ্জনার কথাই বলা হয়েছে।
খ) নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দিন:
১) প্রবন্ধের বৈশিষ্ট্য কি?
উঃ প্রবন্ধের বৈশিষ্ট্যগুলি নিম্নরূপ-
প্রথমত প্রবন্ধ স্বল্পায়তন সমৃদ্ধ হয় উপাদানের বাহুল্যে জর্জরিত না থেকে প্রবন্ধ গুলি মূলত যুক্তিযুক্ত সম্পন্ন হয়ে থাকে।
দ্বিতীয়তঃ প্রবন্ধের প্রকাশ রীতিতে যথেষ্ট গভীরতা ও গাম্ভীর্য থাকা দরকার।
তৃতীয়ত :প্রবন্ধ বিষয় যথেষ্ট বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্য প্রদায়ক এবং আলোচনা মূলক হওয়া উচিত।
চতুর্থত :সমস্ত বিষয় যুক্তির কাঠামোতে নির্ভরশীল থাকবে।
উঃ ২) বিষয় গত প্রবন্ধ কাকে বলে?
উঃ যে রচনার মধ্যে কোন বিষয়ের উপরে বিশেষ গুরুত্ব জ্ঞাপন করা হয় এবং বিষয় বা বস্তুকে প্রবন্ধের মধ্য দিয়ে উপস্থাপিত করা হয়। তাকে বলা হয় বিষয়গত প্রবন্ধ।
৩) ব্যক্তিগত প্রবন্ধের বৈশিষ্ট্যটি লিখুন?
উঃ ব্যক্তিগত প্রবন্ধে ব্যক্তির নিজস্ব চিন্তাভাবনা এবং কল্পনাকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়। যুক্তি ও তথ্যের এখানে কোন গুরুত্ব থাকে না বরং তার বদলে ব্যঙ্গ কৌতুক কল্পনা আত্মগত ভাবনা এই সমস্ত কিছুর প্রাধান্য পাওয়া যায়।৪) বিষয় গত এবং ব্যক্তিগত প্রবন্ধ ছাড়াও আর দুই প্রকার প্রবন্ধের উল্লেখ করুন?
উঃ ভ্রমণ সাহিত্যমূলক’ রাশিয়ার চিঠি’ এবং সাহিত্য আলোচনা মূলক ‘সাহিত্যপথে’।
৫) জীবনস্মৃতি কোন শ্রেণীর প্রবন্ধের অন্তর্গত?
উঃ স্মৃতি মূলক প্রবন্ধের অন্তর্গত।
পাঠগত প্রশ্ন ৬.৫
১) বাংলায় নাটকের জন্ম কোন সময় থেকে?
উঃ বাংলা নাটকের জন্ম উনবিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধ ভাগ থেকে।
২) নাটকের শ্রেণীবিভাগ গুলি লেখ? উঃ নাটককে মূলত সাতটি শ্রেণীতে ভাগ করা যায় সেগুলি হল যথাক্রমে কমেডি
প্রহসন
একাঙ্ক নাটক
পৌরাণিক নাটক
ঐতিহাসিক নাটক
সামাজিক নাটক এবং রূপক সাংকেতিক নাটক।৩) একটি ট্রাজেডি নাটকের উল্লেখ করো? উঃ বিজন ভট্টাচার্যের লেখা ‘নবান্ন’ একটি ট্রাজেডি নাটকের উদাহরণ।
৪) কমেডি কোন ভাষার শব্দ লিখুন? উঃ কমেডি গ্রিক ভাষার শব্দ থেকে নেওয়া হয়েছে।
৫) কমেডি নাটকের পরিণতি কি?
উঃ কমেডি নাটকের পরিণতি হয় মিলনান্তক।৬) বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রো এটি কোন ধরনের নাটক?
উঃ বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রো এটি প্রহসন মূলক নাটক।
৭) নীলদর্পণ কোন শ্রেণীর নাটক? উঃ নীলদর্পণ সামাজিক নাটক।
৮) পৌরাণিক নাটকটি কার লেখা কোন শ্রেণীর নাটক? উঃ পৌরাণিক নাটকটি দেবতাদের লেখা।৯) একটি ঐতিহাসিক নাটকের নাম লিখুন?
উঃ চন্দ্রগুপ্ত একটি ঐতিহাসিক নাটকের নাম।
১০) প্রফুল্ল নাটকটি কার লেখা- কোন শ্রেণীর নাটক?
উঃ প্রফুল্ল নাটকটি গিরিশচন্দ্র ঘোষের লেখা । এটি একটি সামাজিক নাটকের অন্তর্গত।
১১) রূপক সাংকেতিক নাটকের বক্তব্য বিষয়কে প্রকাশের জন্য নাট্যকার কিসের সাহায্য নেন?
উঃ রূপক সাংকেতিক নাটকের বক্তব্য বিষয়কে প্রকাশের জন্য নাট্যকার কোন একটি রূপক বা সাংকেতিকতার সাহায্য নেন।
খ) নিজের প্রশ্নগুলির দু তিনটি বাক্য উত্তর দিন:
১) নাটকে নাট্যকার কি ফুটিয়ে তোলেন?
উঃ নাটক আর জীবন ওতপ্রতো ভাবে একে অপরের সাথে বিজড়িত। জীবন কথার অর্থই সেখানে নাটকীয়তার চরম অস্তিত্ব। নাটক সৃষ্টি হয় জীবনের নাটকীয় দৃশ্যগুলিকে একত্রিত করে নাট্যকারের কল্পনা প্রসূত ভাবধারাকে কেন্দ্র করে।
একজন প্রতিভাশীল নাট্যকার তার নাটক রচনার মধ্য দিয়ে সমাজ সংসারের নানা কাহিনীর যে টানা পোড়েনের ঘটনা।
ঘাত সংঘাতের যে প্রতিদ্বন্দ্ব মানব জীবনে ঘটে চলেছে নিঃশব্দে, সংলাপের মধ্য দিয়ে অভিনয়ের অভিনব কায়দায় তার উন্মোচন ঘটান এবং তাতে অবশ্যই সুনিপুণ শিল্প দক্ষতা রয়েছে। বাস্তব থেকে হুবহু অনুকরণ না করে বরং তাতে নিজের চিন্তাশক্তি ও কল্পনাকে কাজে লাগিয়ে নানান ঘটনার সমাবেশে চরিত্র চিত্রণ করে থাকেন।
২) ট্রাজেডি চরিত্রের লক্ষণ গুলি লিখুন?
উঃ ট্রাজিটি কথাটির অর্থ হল দুঃখ প্রসূত। বিয়োগান্তক পরিণতি এইসব নাটকের মূল বিষয়। কিন্তু একথা মনে রাখতে হবে শুধুমাত্র বিভ্রান্ত হলেই যে ট্রাজেডি নাটকের অন্তর্ভুক্তি হবে তা নয় ট্রাজেরই চরিত্রের লক্ষণ গুলি নিম্নরূপ হলে তবে নাটকটির ট্রাজেডি নাটকের নামকরণে আখ্যায়িত হবে।
ট্রাজেডি নাটকের চরিত্রটির মধ্যে বিশ্বাসযোগ্যতা প্রকাশ পাবে, চরিত্রটি এমনভাবে চিত্রন করা হবে যাতে ভালো ও মন্দের মাঝামাঝি অবস্থান করে, চরিত্রটি হবে কোন কাল্পনিক ভাবধারা নয় বরং বাস্তবসম্মত এবং আচরণ হবে দ্বন্দ্বময়
৩) কমেডি ও প্রহসনের মধ্যে পার্থক্য লিখুন?
উঃ কমেডি এবং প্রহসন উভয়েই নাটক শিল্প শৈলীর রূপ হলেও দুটির মধ্যে একটি সূক্ষ্ম ব্যবধান রয়েছে।
কমেডির পরিণতি সুখদায়ক
কমেডির রস মূলত হাস্যরস কেন্দ্রিক
কমেডির উৎপত্তি গ্ৰীস দেশে।
কমেডি কথার মূল অর্থ আমোদকারীর গান।
কমেডিতে হাসির আড়ালে থাকে প্রচ্ছন্ন বেদনা।
‘বৈকুণ্ঠের খাতা ”শেষ রক্ষা’এগুলি হলো কমেডির যথার্থ উদাহরণ।
প্রহসনে হাস্যরসের প্রাধান্য থাকলেও পরিণতি প্রায় হাস্যকেন্দ্রিক হলেও পরিহাসের মধ্য দিয়ে সামাজিক দুর্নীতির ব্যাঙ্গাত্মমূলক প্রকাশ পরিলক্ষিত হয়।
প্রহসন মূলত স্বল্প আয়তনের মধ্যে লঘু হাস্য রসের প্রকাশ পরিলক্ষিত হয়।
প্রহসনে হাসির আড়ালে থাকে ব্যঙ্গাত্ম্যমূলক সামাজিক পঙ্গুতা।
‘একেই কি বলে সভ্যতা’ এবং ‘বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রো’এই দুটি হল যথার্থ প্রহসনের উদাহরন।
৪) ঐতিহাসিক নাটক কাকে বলে?
একটি সামাজিক নাটকের নাম লিখুন?
উঃ নাটকের বিভিন্ন পর্যায়ক্রমে কে ভাগ গুলির মধ্যে ঐতিহাসিক নাটক একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে থাকে, যা থেকে আমরা যথার্থ পরিমানে পূর্ব যুগীয় তথ্য সম্বন্ধে অবগত হয়ে থাকি। এই সমস্ত নাটকগুলির বিষয় মূলত ইতিহাস বিষয়ে সম্পর্কিত হয়ে থাকে যেখানে ইতিহাসের কোন চরিত্র অবলম্বন করে সম্পূর্ণ নাটকটি রচিত হয়। ঐতিহাসিক নাটকগুলিতে মানব সত্তা গুলিকে জীবন্ত রূপে অঙ্কন করা হয়। এবং সেখানে মানব রসের যথার্থ গুণাবলী বর্তমান থাকে।
‘শাজাহান’ ‘চন্দ্রগুপ্ত’ এগুলি হল ঐতিহাসিক নাটকের উল্লেখযোগ্য উদাহরণ।
৫) রূপক সাংকেতিক নাটক কাকে বলে উদাহরণ দিন?
উঃ নাটকের পর্যায়ক্রমিক ভাগ গুলির মধ্যে রূপক সাংকেতিক নাটক সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী একটি নাটকের অন্তর্গত। সাংকেতিক নাটকগুলি আপন গুণাবলীতে শ্রেষ্ঠ হয়ে ওঠে। নাটকগুলি রচনা হয় ভিন্নভাবে কারণ এই সমস্ত নাটকে বক্তব্য বা বিষয়কে প্রকাশ করার জন্য একটি সাংকেতিকতার সাহায্য নেওয়া হয়। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘রক্তকরবী’।
For more updates follow our net explanations homepage