NIOS Class 12 Bengali Chapter 2 Solution – রাধার কী হৈল অন্তরে ব্যথা
NIOS Class 12 Bengali Solution Chapter 2 রাধার কী হৈল অন্তরে ব্যথা. NIOS Class 12 Bengali Chapter 2 Question Answers Download PDF. NIOS Class 12 Bengali Notes.
Board |
NIOS |
Class |
12th (Higher Secondary) |
Subject |
Bengali |
Topic |
Question Answer, Solution, Notes |
১) শূন্যস্থান পূরণ কর :
ক) রাধার কি হইল অন্তরে ব্যথা।
বিরতি আহারে রাঙ্গা বাস পরে
যেমত যোগিনী পারা।।
২) ঠিক উত্তরের টিক দিন:
ক) রাধা কি অবস্থার মধ্যে বসে আছেন?
উঃ নির্জনে।
৩) একটি বা দুটি বাক্যে উত্তর দিন:
ক)রাধা কোন দিকে চেয়ে আছেন?
উঃ রাধা আজ কৃষ্ণ চিন্তায় মগ্ন। কারোর কথা সে কর্ণপাত করছে না ।একাকী নিজের মনে সে মেঘের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন।
খ)রাধা কেমন বস্ত্র পড়েছেন?
উঃ প্রতিনিয়তের ন্যায় রাধার বস্ত্রের বর্ণ আজ ভিন্ন প্রিয়বসন নীলবর্ণ ছেড়ে সে আজ অনুরাগের রঙে রাঙা হয়ে, রাঙা বসনে নিজেকে আবৃত করেছেন।
গ) রাধা কাদের মত বস্ত্র পরেছেন?
উ: রাধার অন্তরের যে ভাব তা যেন তার বস্ত্রেও পরিস্ফুট। আজ সে কৃষ্ণ চিন্তায় এতটাই মগ্ন যেমনভাবে যোগিনী ধ্যানমগ্ন অবস্থায় নিজেদের সাধনায় মত্ত থাকেন। তার বস্ত্রও আজ যোগিনী স্বরূপ। রাঙা তার বসন।
ঘ)কেন মনে হচ্ছে যে রাধা ধ্যান করছেন?
উঃ যোগিনী বা তান্ত্রিক সাধিকারা ধ্যান করবার সময় যেমন বাহ্যিক জ্ঞানশূন্য হয়ে থাকেন। রাধা কৃষ্ণের কথা স্মরণ করে সমভাবে বাহ্যিক জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছেন। তার দৃষ্টি স্থির অবিচল। বাহিরের বাস একেবারেই তান্ত্রিক সাধিকা স্বরূপ। তাই রাধাকে দেখে মনে হচ্ছে যেন রাধা ধ্যান করছেন।
পাঠগত প্রশ্ন:২.২
১)শূন্যস্থান পূরণ কর:
ক) এলাইয়া বেনী ফুলের গাঁথনি
দেখয়ে খসায়ে চুলি ।
খ) কন্ঠ করে নিরীক্ষণে
গ) চন্ডীদাস কয় নব পরিচয়।
২) ঠিক উত্তরে টিক দাও।
ক) রাধা হাসিমুখে চেয়েছেন কোন দিকে?
উঃ মেঘের দিকে।
৩) একটি বা দুটি বাক্যের উত্তর দাও:
ক) রাধা মেঘের দিকে দুহাত তুলেছেন কেন?
উঃ রাধা কৃষ্ণ প্রেমে বিভোর। বাহ্যিক জ্ঞানশূন্য হয়ে সে একান্ত ভাবে কৃষ্ণ চিন্তায় মশগুল। কৃষ্ণের সাথে সে নিজেই মিলেমিশে একাত্ম হয়েছেন। কৃষ্ণের বর্ণের সাথে কোন বর্ণের মিল খুঁজে পেলেই তিনি তাতেই কৃষ্ণের দেখা পাচ্ছেন। কখনো ময়ূরের চিকন শ্যামল কন্ঠ আবার কখনো নিজের কালো চুল সর্বত্রই যেন তার প্রাণ সখা কৃষ্ণের অস্তিত্ব। কৃষ্ণ যেন তার শরীরে একই সাথে বসবাস করেছেন। এতক্ষন যে মেঘের মধ্যেই কৃষ্ণের প্রতিচ্ছবি তিনি দেখছিলেন এখন তিনি দুহাত তুলে সেই মেঘকে বিদায় জানাচ্ছেন কারণ রাধিকা এখন নিজেকে কৃষ্ণকে সমাঙ্গিকে ধারণ করেছেন।
খ) ময়ূর ময়ূরীর দিকে চেয়ে রাধা কি দেখছেন?
উঃ কৃষ্ণ রাগে বিভোর রাধা নিজ প্রাণ প্রিয় সখার অস্তিত্ব সর্বত্র অনুভব করেন। আকাশের মেঘ নিজের কালো চুল আর ধরায় ময়ূর ময়ূরীর যুগল সর্বত্রই কৃষ্ণের অস্তিত্ব বিরাজমান। ময়ূর ময়ূরীকে দেখা মাত্রই রাঁধার মননে কৃষ্ণ মূর্তি দৃশ্যমান। ময়ূর ময়ূরীর যুগলবস্থার সৌন্দর্য দেখে তার হৃদয়ে নিজের আর প্রাণ প্রিয় সখার যুগলবন্দির অবস্থা, কল্পনায় সে মত্ত। মনে মনে তারই প্রতিচ্ছবি এঁকে চলেছে সে।
গ) ভনিতা কাকে বলে?
উঃ ভনিতা হল সাহিত্যের একটি চারু বৈশিষ্ট্য।
পূর্বে কাব্য সাহিত্য রচনা একটি বিশেষ রীতি বা পদ্ধতি আমরা লক্ষ্য করতে পারি, কবিতা চলাকালী ন কবি কবিতার মধ্য অংশে অথবা উপান্তে সন্তর্পনে নিজের নাম পরিচয় জ্ঞাপন করেন। কবিতার এই অংশের নাম ভনিতা।
ঘ) কালিয়া বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে?
উঃ কালিয়া কথার অর্থ কালো বর্ণ সম্বন্ধিত। কৃষ্ণের গায়ের রং কালো তাই তাকে কালিয়া নামে সম্বোধন করা হয়েছে।
ঙ) ব৺ধূ শব্দটির অর্থ কি?
উঃ বঁধু শব্দটির অর্থ বন্ধু বা সখা।
পাঠান্ত প্রশ্ন ২.৬:
১)রাধা কৃষ্ণ কাহিনী কে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠিত হয় এমন দুটি ধর্মীয় উৎসবের নাম লিখুন।
উঃ রাধা কৃষ্ণ কাহিনী কে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠিত হয় দোলযাত্রা এবং রাস পূর্ণিমা।
২) রাধার কি আচরণের জন্য তাকে যোগিনী বলে মনে হচ্ছে?
উ: কৃষ্ণ পরিচিতি লাভের পর থেকেই রাধা অন্যমনস্কা। তার মননে শয়নে স্বপনে শুধুমাত্র কৃষ্ণের অস্তিত্ব। কৃষ্ণ প্রেমে কৃষ্ণ চিন্তায় সে এতটাই বিভোর যে নিজের আত্মিক অস্তিত্ব অদৃশ্য। প্রিয় বর্ণ পরিত্যাগ করে এসে আজ যোগিনীর ন্যায় রাঙা বাসে নিজেকে লিপ্ত করেছেন। যোগিনী যেমত উপবাস রেখে আধ্যাত্ম চিন্তায় নিজেকে মত্ত রাখে, সে রূপে বাহ্যিক জ্ঞান শূন্য হয়ে অভুক্ত অবস্থায় কৃষ্ণ চিন্তায় নিজেকে মত্ত রেখেছেন শ্রী রাধিকা। তার এই আচরণের জন্যই তাকে যোগিনী বলে মনে হচ্ছে।
৩) রাধা মেঘের দিকে স্থির দৃষ্টিতে চেয়ে আছেন কেন?
উঃ কৃষ্ণ চিন্তায় বিহ্বল হৃদয় দিকবিদিক জ্ঞান শূন্য। কৃষ্ণের প্রতি তার যে প্রেম ভাব রাধার প্রত্যেকটি আচরণে তা প্রস্ফুটিত। শুধুমাত্র কৃষ্ণের নাম শুনে তার প্রতি যে ভাবের উদয় হয়েছে তা হলো পুর্বরাগ পর্যায়। কৃষ্ণ প্রেম বড় অদ্ভুত জনসমাগম ভালো লাগেনা তাই রাধা বিরলে বসে শুধুমাত্র তার কথা চিন্তা করছেন। বাহ্যিক কোন প্রকার উত্তেজনা তাকে সাড়া জাগাতে অক্ষম। তিনি কৃষ্ণ চিন্তায় এতটাই নিমগ্ন যে মেঘের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন স্থির দৃষ্টিতে। ওই নিষ্পলক স্থির দৃষ্টি দিয়ে তিনি কৃষ্ণকে উপলব্ধি করতে পারেন তার কল্পনার সাগরে।
৪) রাধার আচরণের পরপর যে পরিবর্তন ঘটেছে তার বর্ণনা দিন।
উঃ পঞ্চদশ শতকের কবি চন্ডীদাস তার কাব্য সাহিত্যের মধ্য দিয়ে রাধা কৃষ্ণের মত পৌরাণিক চরিত্রকে এক অসাধারণ লিখিত চিত্রে বর্ণনা দিয়েছেন। কৃষ্ণ প্রেমে বিহ্বল রাধা। কৃষ্ণ নাম শোনা মাত্রই সেই নামটি কেন্দ্র করে কৃষ্ণের প্রতি যে ভাব এবং অনুরাগের জন্ম হয়েছে তা হলো পূর্ব রাগ। কৃষ্ণ প্রেমে মগ্ন হয়ে সে আকাশের প্রতি স্থির দৃষ্টিতে চেয়ে রয়েছে। কোন কাজে তার মন বসে না বাহ্যিক জ্ঞান শূন্য হয়ে যোগীনি বেশে সে আজ রাঙা বাস পরিহিতা। অভুক্ত অবস্থায় কৃষ্ণ চিন্তায় বিভোর। কৃষ্ণের বর্ণ কালো হাওয়ায় কালো মেঘের প্রতি তার দৃষ্টি নিবন্ধ হয়েছে। কৃষ্ণকে তার জীবনের পরম ইষ্ট বানিয়েছে সে। কখনো তিনি মেঘ পানে চেয়ে আছেন স্থির দৃষ্টিতে, কারো কথা তিনি কর্ণপাত করছেন না, কৃষ্ণের বর্ণ কালো হাওয়ায় যে কোন কালো বর্ণের প্রতি তিনি সহজেই আকৃষ্ট হচ্ছেন। তার নয়ন তারা নিশ্চয় তিনি অভুক্ত ক্ষণে ক্ষণে তার হৃদয়ে অভ্যন্তরে কৃষ্ণের প্রতি ভাবের গভীরতা দৃঢ় হচ্ছে। ময়ূর ময়ূরীর যুগলবন্দির মধ্যে তিনি তার এবং কৃষ্ণের যুগল জীবনের প্রতিচ্ছবি দেখতে পাচ্ছেন। এ যেন এক অসামান্য প্রেমের প্রতিচ্ছবি। যা কবি রাধা আচরণে বারংবার পরিবর্তন ঘটিয়ে খুব সুন্দর ভাবে আমাদের সামনে বর্ণনা দিয়েছেন।
৫) মধ্যযুগে কবিতার লিখন বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আলোচনা করুন।
উঃ কবি চন্ডীদাস তার কাব্য সাহিত্যের মধ্য দিয়ে অসাধারণ মৌলিকত্বের দাবি রাখেন।
মধ্যযুগের কবিতা গুলি সাধারণত রোমান্টিকতায় ভরপুর হয়ে থাকে।
কবিতা গুলি একটি নির্দিষ্ট ছন্দ নির্ভর যা হৃদয়ে মননে গভীরভাবে দাগ কেটে যায়।
কবিতা গুলি মূলত পৌরাণিক ধর্মী এবং ধর্ম বিষয়ক বিষয়বস্তুর সাথে যোগাযোগ করে রচনা করা হয়েছিল।
কবিতায় কাল্পনিক রসের ব্যবহার কবিতার মানকে আরো উচ্চশীল পর্যায়ে আসীন করেছিল।
কবিতাগুলির মধ্যে পৌরাণিক বিষয়বস্তুর সাথে নাট্যরস ও গীতি রস যোগ হয়ে এক অসাধারণ নাট্যধর্মীতার সংযোজন ঘটিয়েছেন কবি।
কবিতা গুলিতে কমা ,সেমিকোলন ,প্রশ্নবোধক ইত্যাদি কোন যদি চিহ্নের ব্যবহার পরিলক্ষিত হয় না শুধুমাত্র এক দাঁড়ি ও দু দাঁড়ির ব্যবহার দেখতে পাই।
কবিতাগুলির বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে ,কবি কবিতার মধ্যে অথবা উপান্তে কুশলতার সহিত সন্তর্পনে নিজের পরিচয় জ্ঞাপন করে থাকেন ।পাঠকদের উদ্দেশ্যে। এই অংশটি ভণিতা নামে পরিচিত।