NIOS Class 12 Bengali Chapter 4 Solution – কাশীরাম দাস
NIOS Class 12 Bengali Solution Chapter 4 কাশীরাম দাস. NIOS Class 12 Bengali Chapter 4 Question Answers Download PDF. NIOS Class 12 Bengali Notes.
Board |
NIOS |
Class |
12th (Higher Secondary) |
Subject |
Bengali |
Topic |
Question Answer, Solution, Notes |
1) কাশীরাম দাস কবিতাটি গঠনের দিক দিয়ে কি জাতীয় কবিতা?
উঃ কাশীরাম দাস কবিতাটি মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের লেখা। বিদেশে থাকাকালীন ইটালি কবি প্রেত্রার্কের কবিতার গঠনশৈলী অনুকরণে লেখা ‘কাশীরাম দাস’ কবিতাটি গঠনের দিক থেকে চতুর্দশপদী কবিতাবলীর অন্তর্গত। ইংরেজি ভাষায় এই গঠন শৈলী কে বলা হয় সনেট। এই কবিতায় একটি বিশেষ ধরনের বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায় তা হল বাংলা ভাষার প্রাচীন শব্দের সঙ্গে আধুনিক শব্দের সংমিশ্রণ। কবিতাটি হয় ১৪ টি পংক্তি বিশিষ্ট।
2)কবিতাটির নাম কাশীরাম দাস রাখা হয়েছে কেন?
উঃ কবি মধুসূদন খুব সন্তর্পনে আর অসাধারণ গুণ শৈলীর পরিচয় বহন করে কবিতার নাম ‘কাশী রাম দাস’ রেখেছেন। কাশীরাম দাস বাংলা মহাভারতের শ্রেষ্ঠ অনুবাদক। মহাকবি বেদব্যাস সংস্কৃত ভাষায় যে মহাভারত রচনা করেছিলেন তা সম্পূর্ণ ভাবে একটি বিশেষ মাত্রা বহন করে। কিন্তু সেই মহাভারত সংস্কৃত না জানা বাঙালি কখনোই পড়তে পারেনি। তার যে সুধা রস তার থেকে তারা বঞ্চিত ছিল । ফল স্বরূপ এই মহাকাব্য সম্বন্ধে তারা অজ্ঞ থেকে গেছে। সাহিত্যের বিপুলতার যে আধার তা থেকে তারা বঞ্চিত ছিল। অতঃপর মহাকবি কাশীরাম দাস সুললিত পয়ার ছন্দে বাংলা ভাষায় অসাধারণ বর্ণনা এবং উপমার সাহায্যে এই মহাভারত কে আমাদের সামনে পাঠযোগ্য করে তোলেন। অসাধারণ লেখনি গুনে সুললিত পয়ার ছন্দে সমগ্র মহাভারত বাংলায় রচনা করেছিলেন। ‘কাশীরাম দাস ‘কবিতায় কবি মধুসূদন দত্ত কবিতাটিতে কাশীরাম সম্বন্ধীয় নানান কীর্তি বর্ণনা করেছেন। এই কবিতাটির মূল চরিত্র কাশীরাম দাস। এবং তাকে ঘিরেই সমগ্র কবিতার বাতাবরণ । তাই কবিতাটির নাম কাশীরাম দাস রাখা হয়েছে।
3)কাশীরাম দাস কে ভগীরথ এর সাথে তুলনা করা হয়েছে কেন?
উঃ ভগীরথ হলো মহাভারতের একটি চরিত্র।। পৌরাণিক আখ্যান অনুযায়ী সগর রাজার ষাট হাজার পুত্র ছিল। তারা কপিল মুনির অভিশাপে ভষ্মীভূত হয়। পরবর্তীকালে অনেক বছর বাদে সেই বংশের সন্তান রাজা ভগীরথ সেই ভষ্মীভূত হওয়া প্রাণকে মুক্তি দেওয়ার উদ্দেশ্যে গভীর তপস্যায় মগ্ন হন। তার তপস্যায় গঙ্গা দেবী সন্তুষ্ট হন এবং মর্তে আসতে রাজি হন। কিন্তু দেবী গঙ্গার যে বিশালতা এবং স্রোতের প্রবলতা তা ধারণ করার মত আধার ছিল না তখন স্বয়ং মহাদেব গঙ্গার মর্তে আসার সময় প্রবল স্রোতকে নিজের জটা জালে আবদ্ধ করেছিলেন। ভগিরথ তার কঠিন তপস্যা দ্বারা মহাদেবকে সন্তুষ্ট করে গঙ্গা কে পৃথিবীতে নিয়ে আসতে পেরেছিলেন। গঙ্গাকে মর্তে নিয়ে আসার জন্য দীর্ঘ যাত্রাপথকে খুড়ে রাস্তা তৈরি করেছিলেন। ঠিক তেমনভাবেই কাশীরাম দাস বেদ ব্যাস দ্বারা সংস্কৃত ভাষায় রচিত সেই কঠিন কাব্য কে তার নিজস্ব লেখনি গুনে যথাযথ বিশ্লেষণ ও রসধারা সমন্বয়ে বাংলা ভাষার মাধ্যমে পাঠকের কাছে পৌঁছে দিতে পেরেছেন। তাই কাশীরাম দাস কে ভগিরথের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
4) দ্বৈপায়ন কে? তিনি বিখ্যাত কেন? তিনি কি নামে বিখ্যাত ছিলেন?
উঃ দ্বৈপায়ন ছিলেন পরাশর মুনি ও সত্যবতীর পুত্র।
তিনি বিখ্যাত কারণ হিন্দু ধর্মের মহাকাব্য ‘মহাভারত’ গ্রন্থটি তার রচনা।
তিনি বেদব্যাস নামে বিখ্যাত ছিলেন।
5 ) কিসের তৃষ্ণায় বঙ্গবাসী আপন ভাবে রোদন করেছেন?
কিভাবে তিনি সে তৃষ্ণা মিটিয়েছেন?
উঃ অমৃত সুধা যেমন সকলের কাছে কাম্য। প্রত্যেকেই অমৃত সুধার রস আস্বাদন করে নিজের জীবনকে ধন্য করতে চায়। দেবতা অসুর মানব প্রত্যেকেরই অমৃত সুধার প্রতি প্রবল তৃষ্ণা রয়েছে।
এখানে কবি অমৃত সুধাকে মহাভারতের সাথে তুলনা করা হয়েছে। মহান কবি কাশীরাম দাস মহাভারত কে সংস্কৃত ভাষা থেকে বাংলা ভাষায় অনুবাদ করে বাঙালির সেই অমৃত সুধার তৃষ্ণা নিবারণ করেছেন। অর্থাৎ বাঙালি মহাভারতের মতো এমন মহান মহাকাব্যের স্পর্শ থেকে বঞ্চিত ছিল কেবলমাত্র তার সংস্কৃত ভাষায় লিখিত ছিল বলে। কারণ সে সময় অনেকেই সংস্কৃত ভাষা সম্বন্ধে অজ্ঞাত ছিল। মহাকবি কাশীরাম দাস মহাভারত কে, বাংলা ভাষায় অনুবাদ করে সেই সমস্যাকে নস্যাৎ করেছেন। অমৃত সুধা কে মানবকূলে যেন সহজ পেয় করে দিয়েছেন। বাঙালি পাঠক বাংলায় মহাভারত পাঠ করে তৃষ্ণা নিবারণ করেছেন।
6.) মহাভারতের কথা অমৃত সমান বলে কেন মনে করেছেন মধুকবি।
কাশীরাম দাস কে কবিদের মধ্যে পূন্যবান বলেছেন কেন?
উঃ মহাভারত হল হিন্দু সনাতন ধর্মের মহাকাব্য। এর বৈশিষ্ট্য এবং রচনা শৈলী একে অন্যান্য কাব্যের থেকে সম্পূর্ণ ভিন্নমাত্রায় পরিচয় প্রদান করেছে। বেদব্যাস দ্বারা সংস্কৃত ভাষায় রচিত এই মহাকাব্য সার্বিকভাবে প্রত্যেক বাঙালির কাছে পৌঁছতে পারেনি। এ আমাদের দুর্ভাগ্য। কিন্তু মহাকবি কাশীরাম দাস সংস্কৃত ভাষা থেকে বাংলা ভাষায় মহাভারতকে অনুবাদ করার পর প্রত্যেক বাঙালি এই গ্রন্থটির রস আস্বাদনে পারগ। গ্রন্থটিতে সত্য প্রেম ভালবাসা ধর্ম শান্তি মনুষ্যত্ব এর বিবরণ যেমন পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পাওয়া যায় অন্যদিকে হিংসা লোভ মোহ ধ্বংস যুদ্ধ মানুষকে কিভাবে নিঃশেষ করে দিতে পারে তার বিবরণও রয়েছে। অসাধারণ কাব্যিক ভাষা ছন্দ ও অলংকারে বর্ণিত কাব্যটি পঠন করার পর পাঠকের হৃদয় এক অসাধারণ আত্মতৃপ্তি অনুভূত হয়। ঠিক যেন অমৃত পান স্বরূপ। এইজন্য মহাভারত কে অমৃত সমান তুলনা করা হয়েছে।
কাশীরাম দাস মহাভারত কে সংস্কৃত ভাষা থেকে বাংলা ভাষায় রচনা করে পাঠক কূলে এই অসাধারণ একটি গ্রন্থের নতুন ভাবে আবিষ্কার করেছেন। অসাধারণ কাব্য ছন্দ অলংকারে বর্ণিত গ্রন্থটি পাঠক হৃদয় শ্রেষ্ঠ আসন দখলের দাবি রাখে। তিনি গ্রন্থটির অনুবাদ করে যেন পূর্ণ কর্ম করেছিলেন। তার এই প্রতিদান এর কথা কখনোই ভুলবে না বাঙালি। তথা গোটা পাঠক কূল। তাই কবিতায় কাশীরাম দাস কে কবিরের মধ্যে পূন্যবান বলা হয়েছে।
7) কবিতাটির অন্য কি শিরোনাম দেওয়া যায়?
উঃ বেদব্যাস দ্বারা লিখিত সংস্কৃত মহাকাব্য মহাভারতকে কবি কাশীরাম দাস বাংলায় অনুবাদ করে নতুন ভাবে রূপ দিয়েছেন। যা বাঙালি হৃদয়ে মননে এক বিশাল স্থান দখল করে নিয়েছে। বাঙালি আরো বেশি জানতে পেরেছে ।রসধারার আস্বাদন করতে পেরেছে।
উক্ত কবিতাটিতে কাশীরাম দাসের সেই গুন কীর্তির কথা বর্ণনা করা হয়েছে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে।
কবিতাটির শিরোনাম দেওয়া যেতে পারে-‘ পুণ্যবান কাশীরামের গুণকীর্তি’
8) সংস্কৃত হ্রদ কে মহাদেবের জটার সঙ্গে এবং জাহ্নবির সঙ্গে মহাভারত কাব্যের তুলনা কি যুক্তিযুক্ত হয়েছে সংক্ষেপে লিখুন।
উঃ মহাভারতের অপূর্ব কাহিনী বাঙ্গালীদের কাছে অধরাই থেকে যেত যদি না কাশীরাম দাসের উদ্যোগে তা সংস্কৃত থেকে বাংলায় অনুবাদ হতো। মধুকবি মাইকেল খুব সুন্দর ভাবে উপমার দ্বারা বুঝিয়েছেন ভগিরথ যেমন তপস্যার দ্বারা গঙ্গা দেবীকে তুষ্ট করে মর্তে আসতে বাধ্য করেছেন কিন্তু তার প্রবল স্রোতকে সামাল দেওয়া মুশকিল ছিল। পরে মহাদেবকে সন্তুষ্ট করে গঙ্গার স্রোতকে মহাদেবের জটা জালে আবদ্ধ করে ধীরে ধীরে পথ প্রস্তুত করেছেন। ঠিক তেমনভাবেই অবোধ্য সংস্কৃত ভাষা কে অসাধারণ ছন্দ-বর্ণ ভাষা অলংকারের দ্বারা সুসজ্জিত করে সঠিক উপায়ে বাঙালি পাঠকের কাছে সহজলভ্য করে দিতে পেরেছেন কবি কাশীরাম দাস ।এক্ষেত্রে এদের উভয়ের তুলনা যুক্তিযুক্ত এবং গ্রহণযোগ্য।
8) সংস্কৃত হ্রদ কে মহাদেবের জটার সঙ্গে এবং জাহ্নবির সঙ্গে মহাভারত কাব্যের তুলনা কি যুক্তিযুক্ত হয়েছে সংক্ষেপে লিখুন।
উঃ মহাভারতের অপূর্ব কাহিনী বাঙ্গালীদের কাছে অধরাই থেকে যেত যদি না কাশীরাম দাসের উদ্যোগে তা সংস্কৃত থেকে বাংলায় অনুবাদ হতো। মধুকবি মাইকেল খুব সুন্দর ভাবে উপমার দ্বারা বুঝিয়েছেন ভগিরথ যেমন তপস্যার দ্বারা গঙ্গা দেবীকে তুষ্ট করে মর্তে আসতে বাধ্য করেছেন কিন্তু তার প্রবল স্রোতকে সামাল দেওয়া মুশকিল ছিল। পরে মহাদেবকে সন্তুষ্ট করে গঙ্গার স্রোতকে মহাদেবের জটা জালে আবদ্ধ করে ধীরে ধীরে পথ প্রস্তুত করেছেন। ঠিক তেমনভাবেই অবোধ্য সংস্কৃত ভাষা কে অসাধারণ ছন্দ-বর্ণ ভাষা অলংকারের দ্বারা সুসজ্জিত করে সঠিক উপায়ে বাঙালি পাঠকের কাছে সহজলভ্য করে দিতে পেরেছেন কবি কাশীরাম দাস ।এক্ষেত্রে এদের উভয়ের তুলনা যুক্তিযুক্ত এবং গ্রহণযোগ্য।
১:পাঠগত প্রশ্ন ৪.১
ক) চন্দ্রচুড় জটাজালে আছিলা যেমতি (জাহ্নবী)।
খ)ঢালি (সংস্কৃত হ্রদে) রাখিলা যেমতি।
গ)কঠোরে গঙ্গায় পূজি (ভগীরথ) ব্রতী,
ঘ)পবিত্রিলা আনি (মায়ে) এ তিন ভুবন।
২: একটি বাক্যে উত্তর লিখুন:
ক) ‘ভারত রস’ বলতে কী বোঝায়?
উঃ ভারত কথাটির ব্যবহৃত হয়েছে হিন্দু মহাকাব্য মহাভারত কে বোঝাতে ।আর রস কথাটির উত্থাপন করা হয়েছে মহাকাব্যটির কাব্যিক আঙ্গিক ছন্দ অলংকার আর শব্দের ব্যবহারের সৌন্দর্যতা বোঝাতে।
খ) সগর বংশের অভিশপ্ত সন্তানদের মুক্তি সাধন করলেন কে?
উঃ সাগর বংশের অভিশপ্ত সন্তানদের মুক্তির সাধন করলেন সগর বংশের রাজা ভগিরথ
গ) কিসের তৃষ্ণায় আকুল বঙ্গ রোদন করত?
উঃ মহাকাব্য মহাভারত সংস্কৃত ভাষায় রচিত থাকার জন্য তার রূপ রস অলংকার ছন্দ থেকে বঞ্চিত ছিল বাঙালি। কারণ বেদব্যাস তা সংস্কৃত ভাষায় রচনা করেছিলেন এবং সেই ভাষা পড়া সকল বাঙালির পক্ষে সম্ভব ছিল না । সেই কারণেই সাহিত্য তৃষ্ণায় আকুল বঙ্গ রোদন করত।পরবর্তীকালে কাশীরাম দাস বাংলায় মহাভারত রচনা করে সেই তৃষ্ণা নিবারণ করেন।
ঘ) কাশীরাম দাস কবিতার কবির নাম কি?
উঃ কাশীরাম দাস কবিতার কবির নাম মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
ঙ) সংস্কৃত হ্রদের সঙ্গে কিসের তুলনা হয়েছে?
উঃ সংস্কৃত হ্রদের সাথে মহাদেবের জটা মণ্ডলের তুলনা করা হয়েছে।
৩) প্রতিশব্দ দিন
ক) জাহ্নবী / মা গঙ্গা
খ) চন্দ্রচূড়। / মহাকাল
৪) বাঁদিকের সঙ্গে ডান দিকের বিষয়ের মধ্যে সঠিক সম্পর্কটির সংখ্যা শূন্যস্থানে লিখুন।
ক )সংস্কৃত মহাদেবের জোটা
খ) ভগীরথ জাহ্নবী
গ)মহাভারত মহাকাব্য। কাশীরাম দাস
পাঠগত প্রশ্ন:৪.২
১) শূন্যস্থানে ঠিক শব্দ বসানো
ক) সংস্কৃতে লেখা মহাভারত মহাকাব্যের রচয়িতা ছিলেন (ঋষি দ্বৈপায়ন)
খ ) গৌড়ভূমি কার ধার শোধ করতে পারবে না ?
(কাশীরাম দাস)
গ)।জুড়াতে গৌড়ের তৃষ্ণা সে ( বিমল )জলে ।
ঘ) ‘হে কাশি’ এখানে কাশি হলেন কাশীরাম দাস।
২) ভারতরসের স্রোত: আনিয়াছো তুমি ভারত রস বলতে কবি যা বুঝিয়েছেন তা বোঝাতে নিচের খোপটিতে টিক চিহ্ন দাও।
উঃ মহাভারত মহাকাব্যের স্বাদ।
৩) গৌড় ভূমি বলতে বোঝায়।
উঃ বঙ্গভূমি।
৪) নিচের শব্দগুলির প্রাচীন রূপের জায়গায় আধুনিক রুপ লিখুন:
যেমতি :যেমন
তেমতি :তেমন
পুঁজি: পূজা করে
পবিত্রিলা :পবিত্র করলেন
খননি :খনন করে
নারিবে :পারবেনা
Also See: প্রশ্ন Chapter Question Answer Solution