NIOS Class 12 Bengali Chapter 5 Solution – প্রশ্ন
NIOS Class 12 Bengali Solution Chapter 5 প্রশ্ন. NIOS Class 12 Bengali Chapter 5 Question Answers Download PDF. NIOS Class 12 Bengali Notes.
Board |
NIOS |
Class |
12th (Higher Secondary) |
Subject |
Bengali |
Topic |
Question Answer, Solution, Notes |
পাঠ গত প্রশ্ন:৫.১
১) ঠিক উত্তরে টিক চিহ্ন দিন
ক) বরণীয় কারা? উঃ ভগবানের দূতেরা।
খ)তারা কাদের ক্ষমা করতে ও ভালোবাসতে বলেছেন? উঃ সব মানুষকে।
২)ক) কারা কেমন ভাবে বরনীয় ও স্মরণীয়দের নির্দেশে সাড়া দিয়েছিল?
উঃ সমাজের স্বার্থান্বেষী লোভী আত্মকেন্দ্রিক মানুষেরা যুগ যুগ ধরে ভগবান প্রেরিত যে দূত-রূপী মানুষের যে সতর্ক বাণী তা অগ্রাহ্য করে চলেছেন। তাদের সমস্ত ন্যায় নির্দেশ বিন্দু মাত্র কর্ণপাত না করে তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। ভালোবাসার মূল মন্ত্রকে পাথেয় না করে তারা আপন স্বার্থতে মগ্ন।
খ) সংসার কে দয়াহীন বলা হয়েছে কেন?
উঃ সংসারের রচনা হয়েছে মনুষ্য দ্বারা। কিন্তু আমাদের এই সমাজ সংসারে বেশ কিছু মানুষ রয়েছে যারা ক্রমাগত দুর্বলের ওপর নিজেদের অত্যাচার অবিচল রেখেছে। স্বার্থমগ্ন হয়ে তারা অপরের মুখের গ্ৰাস কেড়ে নিতে বিন্দুমাত্র দ্বিধাবোধ করে না। আর এ কারণেই কবিতায় সংসারকে দয়াহীন বলা হয়েছে।
পাঠগত প্রশ্ন ৫.২
১) ঠিক উত্তরে টিক চিহ্ন দিন
ক)’ কপট রাত্রি ছায়ে ‘কাকে আঘাত করা হয়েছে?
উঃ নিঃসহায়কে।
খ) কে উন্মাদ বালককে যন্ত্রণায় ছুটতে দেখেছেন?
উঃ কবি।
২) একটি বাক্যের উত্তর দিন:
ক ) শক্তের অপরাধের কোন প্রতিকার হয় না কেন?
উঃ শক্ত কথাটা এখানে শক্তি অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে। এ সমাজে যার ক্ষমতার প্রতিপত্তি রয়েছে, তারা শত দোষ করলেও তার বিচার হয় না। কারণ সে আপন ক্ষমতাবলে আইন আর শাসনব্যবস্থাকে সহজেই প্রভাবিত করতে পারে। সহজেই রাতকে দিন আর দিনকে রাত বানাতে পারে , অর্থাৎ অসাধ্য সাধন তাই তারা শত অপরাধ করলেও তাদের অপরাধের কোন বিচার বা প্রতিকার হয় না।
খ) তরুণ বালকের নিষ্ফল মাথাকুটার দৃশ্য দিয়ে কাদের জীবন যন্ত্রণার ছবি আঁকা হয়েছে?
উঃ তরুণ বালকের নিষ্ফল মাথা গোটা দৃশ্যটি এখানে প্রতিনিধিত্ব করছে সমাজের একটি বিশেষ গোষ্ঠীর প্রতি। যারা দুর্বল ।সবলের কাছে নিজেদের সামান্যতম অধিকারটুকু দাবি করতে পারেনা। সবলের ভয়ে সর্বদা ভীত সন্তস্ত্র হয়ে থাকে।
পাঠগত প্রশ্ন ৫.৩
১)ঠিক উত্তরের টিক চিহ্ন দিন
ক) কার কন্ঠ রুদ্ধ?
উঃ কবির
খ) কারা তোমার বায়ু বিষাচ্ছে?
উঃ লোভী স্বার্থপররা।
২) প্রশ্ন কালে কবির চোখে জল কেন?
উঃ দুর্বলের জন্য কবি হৃদয় সর্বদা ব্যতীত। সেই সমস্ত মানুষের কথা কবি কখনোই ভুলতে পারেন না যারা নিঃস্বার্থভাবে সমাজের মঙ্গল কামনা করে গেছেন। অথচ তারা গরিব হওয়ায় বিন্দুমাত্র প্রতিদান পাননি। এই নিষ্ঠুর সমাজ বারংবার তাদের ঠকিয়ে স্বার্থসিদ্ধি করে গেছে। ভালোবাসার নামে গোপনে ষড়যন্ত্রের ফাঁদ পেতেছে। কবি এরূপ নানান আত্মবিদারক দৃশ্য পরিদর্শন করে মর্মাহত। তাই সে আজ ভগবানের কাছে প্রশ্ন রেখেছেন এবং আবেগে আপ্লুত হয়ে তার চোখে জল এসেছে।
পাঠান্ত প্রশ্ন:৫.৬
১) কবির ব্যথিত হবার কারণ পাঁচটি বাক্যে উত্তর করুন।
উঃ সমাজের এই অন্যায় অবিচার অবিচল ভাবে অব্যাহত। কবি বারংবার স্বার্থপর লোভী হিংসাত্মক মানুষের ব্যবহার দ্বারা আক্রান্ত। শুধুমাত্র স্বার্থসিদ্ধির নেশায় মত্ত হয়ে মানুষ একে অপরের প্রতি নির্মমভাবে অত্যাচার করে চলেছে। এ সমস্ত কিছুর দৃষ্টিগোচর করে কবি ব্যথিত।
কবি কাদের দেখে ব্যথিত যারা দলবদ্ধভাবে একদল দুর্বল মানুষের প্রতি নির্মমভাবে ক্রমাগত হৃদয়হীন আচরণ করে চলেছে। ভালোবাসার নামে প্রতারিত করে ষড়যন্ত্রের ফাঁদ নির্মাণ করছে। স্বার্থসিদ্ধির জন্য হিংসাত্মক হয়ে উঠছে। আর অন্যায় শক্তিকে আশ্রয় করে নিজেদের প্রভাবশালী আখ্যা দিচ্ছে। প্রতিনিয়ত জঘন্য থেকে জঘন্যতর অপরাধমূলক কর্মকান্ডে লিপ্ত রেখে নিজেকে ক্ষমতাশালী প্রমাণ করার চেষ্টায় রত। মানুষ এখন শত শত অনুনয় বিনয় করলেও সঠিক বিচার পায় না । বিচার এখন তাদের পক্ষেই রায় দেয় যাদের ক্ষমতার প্রাচুর্যতা রয়েছে। এসব দেখে কবি ব্যথিত হয়ে উঠছে।
২) রাতের অন্ধকারে অসহায় মানুষকে আক্রমণের যে ঘটনা কবির সময়ে ঘটেছিল তা দশটি বাক্যের মধ্যে লিখুন।
উঃ রাতের গভীর অন্ধকারে অত্যাচার অনিয়ম আর দুষকর্মের পরিমাণ যেন ঘন হয়ে ওঠে। দুর্বল মানুষেরা হয়ে ওঠে অসহায় আর সবল অত্যাচারীরা হয়ে ওঠে অপরিসীম শক্তিশালী। তারা নির্দ্বিধায় নিজেদের দুষ্কর্মের বাত পতাকা উড্ডীয়মান করে চলে, দুর্বলেরা শত মিনতির পরেও নিজেদের সত্য প্রমাণিত করতে পারেনা। রাতের অন্ধকার মূলত দুষ্কর্মের প্রতীক সে সময় অন্যায় অপরাধ এর মাত্রা বাড়ে। দিনের আলোতে অত্যাচারীরা ভীত সন্ত্রস্ত থাকলেও রাতের অন্ধকারে তাদের সমস্ত ভীতি কেটে যায়। শক্তির দাপটে তারা অসহায় দুর্বল মানুষের জীবন যন্ত্রণাময় করে তোলে।
ক্ষমতাকে পাথেয় করে অবৈধ শক্তির প্রয়োগে তারা বিচারের দরগা বসায়। সেই দরগাতে কোন সুবিচার মেলে না। সৎ আর সহনশীল ব্যক্তিদের সঠিক বিচারকে রুদ্ধশ্বাস করে খুন করা হয়।
৩) শক্তের অপরাধের বিরুদ্ধে কেন প্রতিকার পাওয়া যায় না তা পাঁচটি বাক্যে উত্তর দিন।
উঃ আলোচ্য কবিতায় শক্তের অপরাধের অর্থ শক্তির সমাবেশে গঠিত সাম্রাজ্যে নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী কর্মকান্ডকে প্রশ্রয় দেওয়া, নির্দ্বিধায় একের পর এক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে নিজেকে নিযুক্ত রাখা। অপরাধ এতটাই শক্তিশালী হয়ে ওঠে যে সেই অপরাধের বিরুদ্ধে প্রতিকার করার উপায় থাকে না। এর পেছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে। অশান্ত বিপন্ন পৃথিবীতে মানব সমাজ আজ সংকীর্ণতায় জরাজীর্ণ। সবলেরা দুর্বলের ওপর ক্ষমতা লাভের আশায় ক্রমাগত অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে। স্বার্থপরতা আর স্বার্থ মগ্নতা এতটাই তীব্র যে মানুষ হৃদয়বিদারক কাজ করতে বিন্দুমাত্র ভাবেনা। সমাজের শক্তিমানদের এতটাই দাপট যে তারা বিচার ব্যবস্থার ওপর নিজেদের আধিপত্য কায়েম করেছে। দুর্বলেরা নির্দোষ হলেও তারা সুবিচার পায় না। সমাজে ছল ,চটুলতা, কপটতা বঞ্চনা অত্যাচারের পরিমাণ ক্রম বর্ধমান। ক্ষমতা শক্তি এতটাই সবল হয়ে উঠেছে যে তাদের অপরাধের বিরুদ্ধে প্রতিকার করার ক্ষমতা কারও নেই।
Also See: গদ্যপাঠ Chapter Question Answer