West Bengal Class 6 Bengali Solution Chapter 23
West Bengal Board Class 6 Bengali (বাংলা) Textbook Solution Chapter 23 কিশোর বিজ্ঞানী Question Answers by WBBSE Expert Teacher. West Bengal Board Class 6 Bengali Solution Chapter 23 প্রশ্ন ও উত্তর.
Board |
West Bengal Board |
Class |
Six (6) |
Subject |
Bengali |
Chapter |
23 |
Chapter Name |
কিশোর বিজ্ঞানী |
Topic |
প্রশ্ন ও উত্তর / Question Answer Solution / Notes |
কিশোর বিজ্ঞানী all Question Answer Solution
Solution By Another Teacher
কিশোর বিজ্ঞানী
১.১) অন্নদাশঙ্কর রায় প্রথম জীবনে ওড়িয়া ভাষায় সাহিত্য রচনা করতেন।
১.২) অন্নদাশঙ্কর রায়ের লেখা দুটি ছোটদের ছড়ার বইয়ের নাম ‘উড়কি ধানের মুড়ি ‘ ও রাঙা ধানের খই ‘.
২.১) অন্নদাশঙ্কর রায় রচিত ‘কিশোর বিজ্ঞানী ‘ কবিতায় কিশোরের খেলায় মন লাগে না।
২.২) অন্নদাশঙ্কর রায় রচিত ‘কিশোর বিজ্ঞানী ‘ কবিতায় ছুটি পেলেই কিশোর মন সমুদ্দুরের বেলায় যেতে চায়।
২.৩) অন্নদাশঙ্কর রায় রচিত ‘কিশোর বিজ্ঞানী ‘ কবিতায় অনুসন্ধ্যিৎসু কিশোরটি সাগরবেলায় নানা রঙের নকশা আঁকা ঝিনুক কুড়িয়ে তোলে।
২.৪) অন্নদাশঙ্কর রায় রচিত ‘কিশোর বিজ্ঞানী ‘ কবিতায় জ্ঞান পারাবারকে অনন্তপার বলা হয়েছে।
২.৫) দুজন প্রখ্যাত বাঙালি বিজ্ঞানীর নাম আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু ও আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়।
৩) আলো -আঁধার
ছোট -বড়ো
এখানে -সেখানে
তখন – যখন
৪) সুধায় (জিজ্ঞাসা করে )-মাঝি শুধায় আর কত পথ বাকি।
সুধায় (অমৃতে )-মায়ের স্নেহ সুধায় বিগলিত হয়ে উঠল।
পুরী (আলোয় )-পোড়ো বাড়িটাকে দেখে মনে হয় যমপুরী।
পুরী (জগন্নাথ ধাম )- গতবছর আমরা পুরী গিয়েছিলাম বেড়াতে।
বেলা (সময় )-অনেক বেলা হল এবার জলখাবার খেয়ে নাও।
বেলা (সমুদ্রতীর )-বালুকাবেলায় ঢেউ আসে যায়।
হেলা (অক্লেশে )-ছেলেটি হেলায় অংকটি সমাধান করেছিল।
হেলা (একদিকে কাত হওয়া )-গাছটি হেলে পড়েছে।
ভরা (পূর্ণ)-ভরা নদীতে মনু মাঝি নৌকা বায়।
ভরা (ভর্তি করা )- বোতলে জল ভরা হয়নি।
৫) ঘড়ি :- ১৫২৪ খ্রিস্টাব্দে জার্মান বিজ্ঞানী পিটার হেনলিন ঘড়ি আবিষ্কার করেন।
পিটার হেনলিন ই প্রথম কারিগরদের মধ্যে একজন যিনি ছোট শোভাময় বহনযোগ্য ঘড়ি তৈরি করেছিলেন যা প্রায়শই দুল হিসাবে পরিধান করা হতো বা পোশাকের সাথে লাগানো হতো।
এরোপ্লেন :- রাইট ভ্রাতৃদ্বয় , অরভিল রাইট এবং উইলবার রাইট এরোপ্লেন আবিষ্কার করেন।
তারা ছিলেন দুজন মার্কিন প্রকৌশলী। তারা ১৯০৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর প্রথম নিয়ন্ত্রিত, শক্তিসম্পন্ন এবং বাতাসের চাইতে ভারী সুস্থিত মানুষ বহনযোগ্য উড়ো জাহাজ তৈরি করেন।
রেডিও :- রেডিও আবিষ্কার করেন ইতালির গুলিয়েলমো মার্কোনি। দূরপাল্লার রেডিও ট্রান্সমিশন,এবং রেডিও টেলিগ্রাফ সিস্টেমের কাজের জন্য পরিচিত। মার্কোনিকে রেডিওর আবিষ্কারক হিসাবে কৃতিত্ব দেওয়া হয়, এবং তিনি বেতার টেলিগ্রাফির উন্নয়নে তাদের অবদানের স্বীকৃতস্বরূপ কার্ল ফার্ডিন্যান্ড ব্রাউনের সাথে ১৯০৯ সালে পদার্থ বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার ভাগ করেন।
দূরবীন :- প্রথম দূরবীক্ষণ যন্ত্রটি তৈরি করেছিলেন হ্যান্স লিপারশে, ১৬০৮ সালে। ১৬০৯ সালে দূরবর্তী তারা পর্যবেক্ষণের জন্য গ্যালিলিও গ্যালিলি একটি দূরবিন তৈরি করেন।
তিনি এই যন্ত্র তৈরির ধারণা লাভ করেছিলেন এক চশমা নির্মাতার কাছ থেকে। ওই চশমা নির্মাতা একদিন লক্ষ্য করেন তার দোকানে বসানো স্থির লেন্স পদ্ধতির মধ্য দিয়ে দেখলে দূরের বাতাসের দিকে নির্ধারক যন্ত্রটি বিবর্ধিত দেখা যায়। গ্যালিলি তার দূরবীনের মাধ্যমে বৃহঃস্পতির উপগ্রহ এবং শনির বলয় পর্যবেক্ষণ করেছিলেন।
টেলিভিশন :- ব্রিটিশ বিজ্ঞানী জন লগি বেয়ার্ড ১৯২৬ সালে প্রথম টেলিভিশন আবিষ্কার করেন। সাদা কালো ছবি দূরে বৈদ্যুতিক সম্প্রচারে পাঠাতে সক্ষম হন।
জন লগি বেয়ার্ড একজন স্কট ল্যান্ডীয় ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। বিশ্বের প্রথম কার্যক্ষম ইলেক্ট্রোম্যাকানিকাল টেলিভিশন আবিষ্কারের জন্য, তিনি বিশ্ব বিখ্যাত।
৬) ছুটি পেলে আমার মন শিকলে একটু বেশিক্ষন ঘুমোতে চায়। বন্ধুদের সাথে দিনভর খেলতে মন চায়। ছবি আঁকতে মন চায়। আমার পোষ্য কুকুরের সাথে সময় কাটাতে মন চায়। এছাড়াও আমার খুব শখের বাগান পরিচর্যা করতে মন চায়।
7) —–photo
৮.১) ‘এক যে ছিল কিশোর। ..’ এই ভাবে সাধারণত রূপকথার গল্পের শুরু হয়ে থাকে। রূপকথার গল্পের সাথে অন্নদাশঙ্কর রায়ের ‘কিশোর বিজ্ঞানী ‘ কবিতাটি সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য গুলি হলো –
সাদৃশ্য :- রূপকথার গল্পে রাজা , রানী অথবা বিশেষ কোনো ব্যক্তি সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়। তেমনি আলোচ্য কবিতায় বিশ্ব বিখ্যাত বিজ্ঞানী স্যার আইজ্যাক নিউটনের কথা বলা হয়েছে। রূপকথার গল্পের মতো এই কাহিনীও সমান আকর্ষক।
বৈসাদৃশ্য :-রূপকথার গল্পের কল্পিত কান্ডকারখানা থাকে। বাস্তবের সাথে যার মিল নেই। কিন্তু কবিতার কাহিনী সম্পূর্ণ বাস্তব। বহু মণিমাণিক্য, হিরে, জহরত থাকে রূপকথার গল্পে। আর আলোচ্য কবিতায় রয়েছে ঝিনুকরূপী বিদ্যা রতন।
৮.২) কার মন লাগে না :-
অন্নদাশঙ্কর রায় রচিত ‘কিশোর বিজ্ঞানী ‘ কবিতার কিশোরটির খেলায় মন লাগে না।
কিশোরদের পছন্দের খেলা :-
কিশোররা সাধারণত যে সমস্ত খেলায় ছুটোছুটি, হুড়োহুড়ি, চ্যাঁচামেচি, হইহুল্লোড় বেশি সেই সমস্ত খেলা পছন্দ করে।
ছড়ার কিশোরের পছন্দ :-
ছড়ায় কিশোরটি খেলার পরিবর্তে যখনই সময় পেতো সমুদ্রাবেলায় গিয়ে নানান রঙের ঝিনুক কুড়িয়ে আনতো। কিশোরটি যেন পৃথিবীরূপ জ্ঞান সমুদ্রের বেলাভূমি থেকে ঝিনুকরূপী বিদ্যা রতন আহরণ করত।
৮.৩) কাকে রত্নের সাথে তুলনা করা হয়েছে ?:-
অন্নদাশঙ্কর রায় ‘কিশোর বিজ্ঞানী ‘ কবিতায় জ্ঞান সাগরের বেলাভূমি থেকে কুড়ানো বিদ্যারূপ ঝিনুকের রত্নের সাথে তুলনা করা হয়েছে।
কেন এমন তুলনা :-
রত্ন দামি বস্তু। যে রত্নের অধিকারী হন তিনি সম্পদশালী। কিন্তু পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম রত্নবিদ্যা। একে কোনো পার্থিব মূল্যের মাপকাঠিতে মাপা যায় না। ঝিনুকরূপী বিদ্যারত্ন যেন রত্নের চেয়ে বেশি মূল্যবান।
চেনার প্রসঙ্গ কেন :-
যেমন রত্নকে সবাই চিনতে পারে না। একমাত্র জহুরি চেনে। তেমনি বিদ্যারত্নকে চেনা সবার পক্ষে সম্ভব না। যার জানার আগ্রহ থাকে জ্ঞানের ক্ষুধা থাকে সে নিজের তাগিদেই বিদ্যারত্নকে চিনে নেয়।
৮.৪) অন্নদাশঙ্কর রায় রচিত ‘কিশোর বিজ্ঞানী ‘ কবিতায় কিশোর বয়সে সমুদ্র তীরে নানা রঙে নকশা আঁকা ঝিনুক কুড়োনো ছেলেটি যখন বড়ো হয় তখন সে পৃথিবীর এই অগাধ জ্ঞান সমুদ্রের তীরে বিদ্যারত্ন কুড়িয়ে বেড়ায়। অর্থাৎ পরিণত বয়সে সেই কিশোরকে জ্ঞানবিজ্ঞানের চর্চায় নিয়োজিত থাকতে দেখা যায়। আহরণ করতে দেখা যায় বিদ্যারত্ন। যে বিদ্যারত্নকে অবহেলা করে মাড়িয়ে দেওয়া যায় না। আসলে কবিতার কিশোরটি পরিণত বয়সে হয়ে ওঠে পৃথিবীর সেরা বিজ্ঞানীদের মধ্যে একজন। তার নাম স্যার আইজ্যাক নিউটন।
৮.৫) আলোচ্য তাৎপর্যপূর্ণ বাক্যটি অন্নদাশঙ্কর রায় রচিত ‘কিশোর বিজ্ঞানী ‘ কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে।
এই পৃথিবী অগাধ জ্ঞানের এক মহাসমুদ্র স্বরূপ। আমাদের মধ্যে প্রবল জ্ঞানের ক্ষুধা থাকলেও সারা জীবনে আমরা কিঞ্চিৎ জ্ঞানই আহরণ করতে পারি। অনেকটা সমুদ্র তীরের রঙিন নকশা আঁকা ঝিনুক কুড়োনোর মতো।
আবার সব ঝিনুক মুক্ত থাকে না। কিছু কিছু ঝিনুক মুক্ত থাকে। আমরা জ্ঞান আহরণ করলেও সেই ঝিনুক এ যে অমূল্য বিদ্যারত্ন থাকবে তা নিশ্চিত নয়। তবে কিছু কিছু অনুসন্ধিতসু মানুষ এই পৃথিবীর জ্ঞান সমুদ্রের তীর থেকে ঠিক খুঁজে নেয় এমন ঝিনুক যাতে থাকে বহুমূল্য বিদ্যারত্ন যা পরবর্তী প্রজন্মকে নতুন দশা দেখায়। যেমন স্যার আইজ্যাক নিউটন। যিনি এই পৃথিবীর জ্ঞান তীরে আবিষ্কারের মুক্ত ভরা ঝিনুক কুড়িয়েছেন।
৮.৬) কে বৃদ্ধা :-
অন্নদাশঙ্কর রায় রচিত ‘কিশোর বিজ্ঞানী ‘ কবিতা থেকে নেওয়া বাক্যটির অংশে ‘বৃদ্ধ’ বলতে বিজ্ঞানী নিউটনকে বোঝানো হয়েছে।
লোকে কী জিজ্ঞাসা করে :-
লোকে তাঁর বাণী সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে। তাঁর বাণী কী তাই জানতে চায়।
নিউটনের উত্তর :-
নিউটন তাদের প্রশ্নের উত্তর জানালো, অন্তহীন এই মহাবিশ্ব জ্ঞানের এক সমুদ্র। যা বহু রত্নে পরিপূর্ণ। সেই জ্ঞান সমুদ্রের তীর থেকে তিনি কয়েক মুঠো নুড়ি কুড়িয়েছেন মাত্র। অর্থাৎ তিনি কেবলমাত্র কিছু জ্ঞানই আহরণ করতে পেরেছেন।
৮.৭) অন্নদাশঙ্কর রায় রচিত কিশোর বিজ্ঞানী কবিতায় বিশ্ব বিখ্যাত বিজ্ঞানী স্যার আইজ্যাক নিউটনের প্রসঙ্গ রয়েছে।
স্যার আইজ্যাক নিউটন জন্মগ্রহণ করেন ৪ জানুয়ারি ১৬৪৩ খ্রিস্টাব্দে। অনেকের মতে নিউটন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সবচেয়ে প্রভাবশালী বিজ্ঞানী। তিনি প্রথম দেখিয়েছিলেন , পৃথিবী এবং মহাবিশ্বের সকল বস্তু একই প্রাকৃতিক নিয়মের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে। ১৬৮৭ সালে স্যার আইজ্যাক নিউটন মহাবিশ্বের যে কোনো দুটি বস্তুর মধ্যকার আকর্ষণ বলকে একটি সূত্রের সাহায্যে ব্যাখ্যা করতে সমর্থিত হয়েছেন। একে সার্বজনীন আখ্যা দেওয়া হয়েছে। এটি নিউটনের মহাকর্ষ সূত্র নামে পরিচিত। তার গবেষণার ফলেই সৌর ক্রেন্দ্রিক বিশ্বের ধারণার পেছনে সামান্যতম সন্দেহও দূরীভূত হয় এবং বৈজ্ঞানিক বিপ্লব ত্বরান্বিত হয়।
Hope above Kishore Bigyani Question Answer will help students. You can share this page through Your Friend circle.