West Bengal Board Class 9 Bengali Chapter 9 ঝোড়ো সাধু Solution
ঝোড়ো সাধু : Bengali Class 9 Chapter 9 Question and Answers. West Bengal Board Class 9 students can solve their Bengali textbook Question answers from this page.
Board |
Westbengal Board |
School |
High School |
Subject |
Bengali |
Class |
9 |
Chapter |
ঝোড়ো সাধু |
Topic |
Solution |
MCQ type question answer
1.) তথাগত ছোট সাধুকে প্রথম দেখেছিল –ট্রেনের কামরায়/ স্টেশনে/ লাইনের ধারে।
উ: ট্রেনের কামরায়।
2.) তথাগত ঝড়ের খবর পায় পুরি থেকে ফেরার সময়/ পুরীতে যাওয়ার সময়/ পুরীতে থাকার সময়।
উ: পুরি থেকে ফেরার সময়।
3.) ঝড়ে অনেক নৌকাডুবি/ জাহাজ-ডুবি /লঞ্চ ডুবি হয়েছিল।
উ: নৌকাডুবি।
4.) তথাগত তার মা বাবা /দাদাভাই /বন্ধুদের সাথে পুরী ঘুরতে এসেছিল।
উ: বন্ধুদের সাথে।
5.) তথাগত পুরীতে দিন চারেক/ পাঁচ সাতেক/ আট দশেক থেকেছিল।
উ: দিন চারেক।
6.) ঝোড়ো সাধুর দেশ বাংলাদেশে/ ময়ূরভঞ্জে/ নদীয়াতে।
উ: ময়ূরভঞ্জে।
7.) ঝড়ো সাধুর কাজ ছিল নৌকা তৈরি/ জাহাজ তৈরি/ নৌকা চালানো।
উ: নৌকা তৈরি।
8.) মোহন প্যাটেল একজন সাংবাদিক /খেলোয়াড়/ বৈজ্ঞানিক।
উ: সাংবাদিক।
9.) সুন্দরবনের প্রচন্ড ঝড় দেখা দিয়েছিল 1982/1986/1997 সালে।
উ:1982সালে।
10.) ঝোড়ো সাধুর –ঝড় তোলার মন্ত্র/ ঝড় কমানোর মন্ত্র /ঝড় থামানোর মন্ত্র জানা ছিল।
উ: ঝড় তোলার মন্ত্র।
Very short type question
1.) পুরি থেকে ফেরার সময় তথাগত কোন স্টেশনে ঝড় হওয়ার কথা শুনেছিল?
উ: পুরি থেকে ফেরার সময় চিলকার কাছে কোন একটা স্টেশনে ঝড়ের কথা শুনেছিল তথাগত।
2.) ঝড়ো সাধুর হাতে কি ছিল?
উ: পোঁটলা।
3.) চেকার বিড়বিড় করে কাকে অপয়া বলেছিল?
উ: ঝড়ো সাধুকে।
4.) ঝড়ো সাধু, কি খুঁজছিল?
উ: ঝড়ো সাধু একটি নির্জন দ্বীপ খুজছিল।
5.) তথাগত যখন পুরী বেড়াতে এসেছিল সে কোন শ্রেণীতে পড়ছিল?
উ: মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে ছিল।
6.) ঝড়ো সাধুর পেশা কি ছিল?
উ: নৌকা তৈরি।
7.) ঝোরো সাধু কার কাছ থেকে ঝড় তোলার মন্ত্র পেয়েছিল?
উ: ঝড়ো সাধু এক বুড়ো জেলের থেকে ঝড় তোলার মন্ত্র জানতে পেরেছিল।
8.) ঝরো সাধুর দাদা কোথায় থাকে?
উ: ক্যানিং এ।
9.) ঝড়ো সাধুর ভাইপো কোথায় মিষ্টির দোকান খুলেছে?
উ: গাইঘাটায়।
10.) তথাগত র মামা বাড়ি কোথায় ছিল?
উ: ডায়মন্ড হারবারে।
Short type question answer
1.) ট্রেনে তথাগতর ঘুম হচ্ছিল না কেন?
উ: তথাগত বেড়াতে এসেছিল। মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবার পর তথাগত আর তার কয়েকজন বন্ধু আরও এক বন্ধুর মামাবাড়িতে বেড়াতে এসেছিল। জায়গাটি ছিল পুরি। কিন্তু বেড়াতে এসে স্বস্তির বার্তা পেল না তথাগত। দিন চারেক পরেই সে খবর পায় তার মা খুব অসুস্থ। তাই তথাগত তড়িঘড়ি বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। মায়ের অসুস্থতা তার মনের মধ্যে দুশ্চিন্তার উদ্রেক করেছিল। আর সেই কারণেই তথাগত ট্রেনে ঘুমোতে পারেনি।
2.) ঝড়ো সাধু একটি নির্জন দ্বীপের খোঁজে ছিল কেন?
উ: ঝড়ো সাধু এক বিদ্যা দ্বারা যেকোনো স্থানে ঝড় তোলার ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন। সে ঝড় সামান্য ঝড় নয় বিধ্বংসী বিনাশী ঝড়। কিন্তু তার ঝড় থামাবার বিদ্যে জানা ছিল না। আর সেই কারণেই সে সর্বদাই নিজে আর অন্যান্যদের বিপদে ফেলত। এই বিপদ থেকে মুক্তির জন্যই সে একটি ছোট নির্জন দ্বীপ খুজছিল। যে দ্বীপে কোন মানুষজন থাকে না।
3.) ঝোড়ো সাধু ঝড় তোলার বিদ্যে কোথা থেকে এবং তার কাছ থেকে শিখেছিল?
উ: ঝড়ো সাধু ময়ূরভঞ্জের বাসিন্দা। তার পেশা ছিল নৌকা তৈরি আর সেই পেশার সৌজন্যে সে ওড়িশা ও মেদিনীপুরের মাঝামাঝি কোন একটি জায়গায় থাকতো ।সেখানে সে এক বুড়ো জেলের সংস্পর্শে আসে। এই বুড়ো জেলের ছিল অসাধারণ এক ক্ষমতা । ঝড় তোলার ক্ষমতা ।তার জন্য প্রত্যেকেই সেই সেই বুড়ো জেলেকে সমীহ করে চলতো। এই কথা জানতে পেরে ঝড়ো সাধু সেই মন্ত্র শেখার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। এই বুড়ো জেলের অনিচ্ছাসত্ত্বেও ঝোড়োসাধুর প্রবল ইচ্ছা ও সাধ্য সাধনার পর বুড়ো জেলে তাকে মন্ত্র শেখাতে সম্মত হন।
4.) ঝড়ো সাধুর নাম ঝরো সাধু হল কেন?
ঝড়ো সাধু অনেক সাধ্য সাধনা করে এক বুড়ো জেলের কাছ থেকে ঝর তোলার বিধ্বংসী সর্বনাশা মন্ত্র শিখেছিল। কিন্তু ঝড় থামাবার মন্ত্রটি উত্তেজনার বশে আর তার শেখা হয়নি। ঝড় তোলার মন্ত্রটি শিখে ঝড় থামানোর মন্ত্রটি শেখার আগেই সে সেই মন্ত্রটির প্রয়োগ করে। আর সেই রাক্ষুসে ঝড় উঠে সমুদ্রের জল ফুলে ফেঁপে তাদের উপরে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে এ সমস্ত দেখে সাধু জ্ঞান হারিয়েছিল। সেই বুড়ো জেলেকে আর কোথাও দেখা যায়নি। এই ঘটনার কথা কেউ কেউ জেনে ফেলেছিল আর তখন থেকেই এই সাধুর নাম ঝড়ো সাধু হয়েছিল।
5.) নিম্নোক্ত ব্যক্তিত্ব গুলি কে কোন বিষয়ের সাথে যুক্ত লেখ?
উ: ডক্টর দেবেন্দু রায়-ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ
চিন্তামণি নরসিংহ-মেঘ বিশেষজ্ঞ
ডক্টর মণিময় দত্ত-আবহাওয়া বিশারদ।
মোহন প্যাটেল -তরুণ সাংবাদিক।
রবার্ট লুই স্টিভেনশন-লেখক।
Long type Question answer
1.) “অনেক তোয়াজ করার পর সে একটি অবিশ্বাস্য কাহিনী বলে” অবিশ্বাস্য কাহিনী নিজের ভাষায় লেখ।
উ: গল্পে আমরা এক ব্যক্তিত্বের সাথে পরিচিত হই যার নাম ঝড়োসাধু। কাহিনী প্রেক্ষাপটে আমরা জানতে পারি ঝড়ো সাধুর বাড়ি ময়ূরভঞ্জে ।তার নৌকা তৈরীর কাজ ছিল আর সেই কাজের সূত্রেই সে উড়িষ্যা ও মেদিনীপুরের মাঝামাঝি কোন এক জায়গায় থাকতো। সেখানে এসে এক বুড়ো জেলের সংস্পর্শে আসে। এই বুড়ো জেলের ক্ষমতা ছিল অনেক ।প্রায় সকলেই তাকে ভয় এবং সমীহ করে চলত। কারণ তার এক অদ্ভুত ক্ষমতা ছিল। সে মন্ত্র বলে ঝড় তুলতে পারতো ।ঝড়ের দানবেরা তার বসে ছিল। এ হেন কথা শোনার পর সাধু সেই জেলের পিছন পিছন ঘুরতে থাকে। সেই মন্ত্র শেখার অভিপ্রায়ে সদা সর্বদা আকুল থাকত সে। জেলে কিছুতেই সেই বিদ্যে শেখাতে রাজি ছিল না। অনেক অনুনয় বিনয় এবং সাধ্য সাধনার পর জেলে রাজি হল। স্থির হল সে তাকে এই মন্ত্র শেখাবে। ঝড় তোলার মন্ত্র শিখতে হলে ঝড় থামানোর মন্ত্র শিখতে হয় এই শর্তে তারা দুজনে এক নির্জন সমুদ্র তীরে এসে হাজির হয়েছিল। জেলে শর্ত রেখেছিল ঝড় থামানোর মন্ত্র শেখার আগে ঝড় তোলার মন্ত্র প্রয়োগ করা যাবে না। কিন্তু সাধুর আর তর সয় না। ঝড় তোলার মন্ত্র শেখার পরই, সে ঝড় থামানোর মন্ত্র না শিখেই সেই মন্ত্রের সত্যতা যাচাই করার জন্য ঝড় তোলার মন্ত্র মনে মনে উচ্চারণ করে ফেলে। সঙ্গে সঙ্গে চারিদিকে ভয়ংকর ঝরে ঢেকে যায়। সমুদ্রের জল ফুলেঁফেপে আছড়ে পড়ে। ভয়ের চোটে সাধু জ্ঞান হারায়। জ্ঞান ফেরার পর সে দেখতে পারে সে একাই পড়ে আছে নির্জন তীরে। এসব কথা জানাজানি হলে প্রাণ সংশয় হতে পারে এইভেবে সে সেইখান থেকে পালিয়ে যায়। আর তখন থেকেই মানুষজন জানতে পেরে তার নাম ঝোড়ো সাধু রাখে।
2.) “যা ঘটলো তা তথাগত জীবনে ভুলবে না” কি ঘটেছিল?
উ: ঝড়ো সাধুর এই অবিশ্বাস্য ক্ষমতার কথা শুনে প্রায় সকলেই হত চকিত। কিছু মানুষ মনে মনে এটিকে নেহাত ঠাট্টার বিষয় বলে মনে করলেও কিছু মানুষ একে এক ক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ বলে মনে করেছিল। তথাগত ঠিকানা মত ঝড়ো সাধু এসেছিল। সে নিজের ক্ষমতার বিধ্বংসী রূপের পরিচিত ছিল। তাই সে কোন বাড়িতে আসতে রাজি হয়নি ফাঁকা জায়গা নির্বাচন করেছিল। অবশেষে ঠিক হলো দক্ষিণ কলকাতার বিবেকানন্দ পার্কে সকলে উপস্থিত থাকবে। সেখানে মেঘ বিশেষজ্ঞ আবহাওয়া বিশারদ সাংবাদিক এবং ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ এবং বহু জ্ঞানীগুণী মানুষ উপস্থিত ছিলেন। সাধু পার্কে এসে বসলেন সে সময় নির মেঘ আকাশ। দক্ষিনে সাদার্ন এভিনিউ। তিনদিকে আলো ঝলমল কলকাতা। প্রত্যেকেই যেন অবিশ্বাস এর জাল বুনছেন। তার ক্ষমতাকে প্রায় অনেকেই তাচ্ছিল্য আর অবিশ্বাসের দৃষ্টিতে দেখছিলেন।এক সাংবাদিক তো উত্তেজনার বসেই বলেই ফেললেন সাধু ধাপ্পাবাজ।
এই কথা শোনা মাত্রই সাধু তথাগত হাত দুটো চেপে ধরে বললেন তাদের কে ছোট্ট একটা উদাহরণ দেখাবেন কিনা। এই কথা বলার সাথে সাথে চারিদিকে শান্ত পরিবেশ উত্তাল হয়ে উঠলো। গাছপালা দুলে উঠলো বাতাসের ধাক্কায় মানুষগুলি মাটিতে পড়ে গড়াতে লাগলো। তারপর সেই ঝড় দক্ষিণে দৌড় মারল। সবার চোখে তখন উৎসুকতা আর বিস্ময়ের ছাপ স্পষ্ট।