West Bengal Board Class 9 Bengali Chapter 5 দাম Solution
দাম : Bengali Class 9 Chapter 5 Question and Answers.
পঞ্চম অধ্যায়
দাম
নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়
MCQ Type Question
1.) পৃথিবীতে যত কবিতা /ছড়া /অংক ওর মুখস্ত ছিল।
উ: অংক
2.)অংকে যারা ১০০ তে ১০০ /একশ তে কুড়ি /১০০ তে ৫০ তারা ওর ভয়ে তটস্থ থাকতো।
উ: যারা ১০০ তে ১০০ পেতো।
3.) তিনি ছাত্রদের ভয় দেখাতেন পা ধরে পুকুরে ছুড়ে ফেলে দেবেন/ রাস্তায় বসিয়ে দেবেন /বাড়ি পাঠিয়ে দেবেন বলে।
উ: পা ধরে পুকুরে ছুড়ে ফেলে দেবেন বলে ভয় দেখাতেন।
4.) হঠাৎ খড়ি ভেঙ্গে গেলে বিরক্ত হতেন/ আনন্দ পেতেন /রেগে যেতেন।
উ: বিরক্ত হতেন।
5.) ভেঙে যাওয়া খড়ি টেবিলে রেখে দিতেন /পকেটে রেখে দিতেন /ছাত্রদের দিকে ছুঁড়ে দিতেন।
উ: ছাত্রদের দিকে ছুঁড়ে দিতেন।
6.) ছাত্ররা রোমাঞ্চিত হয়ে/ ভয় পেয়ে/ আনন্দ সহকারে দেখতো বোর্ডে স্যারের অংক করা।
উ: রোমাঞ্চিত হয়ে।
7.) সুকুমার হল থেকে বের হয়ে হলের বাইরের মাঠে/ নদীর পাড়ে /রাস্তার ধারে স্যারের সাথে দেখা হল।
উ: হলের বাইরের মাঠে।
8.) কার বুদ্ধি ছুরির ফলার মতো ঝকঝক করতো, স্যারের /সুকুমারের /ছাত্রদের।
উ: স্যারের।
9.) স্যার বিজ্ঞান /কলা/বাণিজ্য বিভাগের ছাত্র ছিলেন।
উ: বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ছিলেন।
10.) শেষ অব্দি সুকুমার স্যারের কাছে লজ্জিত /অপমানিত /আনন্দিত হয়েছিল।
উ: লজ্জিত হয়েছিল।
Very Short Type Question Answer
1.) স্কুলের বিভীষিকা কে ছিলেন?
উ: স্কুলে বিভীষিকা ছিলেন অংকের মাস্টার।
2.) স্কুলের ছাত্ররা তার ভয়ে তটস্থ হয়ে থাকতো কেনো?
উ:তিনি রেগে গেলে হাতের প্রচণ্ড চড় খেয়ে মাথা ঘুরে যেত কিন্তু কাঁদবার উপায় ছিল না তাই তার ভয়ে সকলে তটস্থ থাকতো।
3.) মাস্টার মশাই কোন অঘটন কল্পনা করতে পারতেন না?
উ:পুরুষ মানুষ হয়ে অংক করতে পারে না এই ধরনের অঘটন কল্পনা করতে পারতেন না মাস্টারমশাই।
4.) মাস্টারমশাইয়ের ধারণা অনুযায়ী প্লেটোর দোরগোড়ায় কি লেখা ছিল?
উ: মাস্টারমশাই ধারণা অনুযায়ী প্লেটোর দোরগোড়ায় লেখা ছিল -“যে অংক জানে না এখানে তার প্রবেশ নিষেধ।”
5.) পত্রিকার থেকে কিসের ফরমাস এলো?
উ: পত্রিকা থেকে ফরমাস এলো ছেলেবেলার গল্প শোনাতে হবে।
6.) কোন ব্যাপারটা প্রীতির ব্যাপার পদমর্যাদার নয়?
উ:কয়েকটি ঘরোয়া মানুষের কাছে ঘরোয়া গল্প বলাটা প্রীতির ব্যাপার পদমর্যাদার নয়।
7.)সুকুমার হল থেকে বের হয়ে কোথায় তার স্যার এর দেখা পেলেন?
উ: সুকুমার হল এর বাইরে অন্ধকারে ঢাকা এক মাঠে তার স্যারের দেখা পেলেন।
8.) বেশ কয়েক বছর পর স্যারের চেহারা কেমন দেখতে হয়েছিল?
উ: বেশ কয়েক বছর পর শারীরিক চেহারা পরিবর্তন হয়েছিল কুজো ,লম্বা ,মাথার সাদা চুলগুলি চিকমিক করছিল।
9.) পত্রিকাতে লেখক কাকে নিয়ে লিখেছিলেন?
উ: পত্রিকাতে লেখক তার ছেলেবেলার সেই অংকের মাস্টারকে নিয়ে লিখেছিলেন
10.) কোথাও গন্তব্যস্থানে পৌঁছানোর সাথে সাথে কি ঘটেছিল?
উ: লেখক গন্তব্যস্থলে পৌঁছানোর সাথে সাথে চা খাবার আর আতিথেয়তার উচ্ছ্বাসে উচ্ছ্বসিত হয়ে উঠেছিল চারিদিক
Short Type Question:
1.) মাথার ওপরে ঘুরন্ত পাখা সত্ত্বেও লেখক ঘেমে নেয়ে জেগে উঠেছিলেন কেন?
উ: মাথার উপরে ঘুরন্ত পাখার সত্ত্বেও অংকের মাস্টারের বিভীষিকাময় দিনগুলি পার হয়ে গেলেও তার বিভীষিকার আতঙ্ক মন থেকে যায়নি ।তাই মেট্রিকুলেশনের গণ্ডি পার হয়ে এমএ পাস করার পরেও লেখক স্বপ্ন দেখেছেন ,পরীক্ষা লাস্ট বেঞ্চে বসে। বেল পড়ে গেছে অংক করতে করতে অংক মিলছে না। আর মাস্টার মশাই তার ভয়াবহ চেহারা নিয়ে গার্ড হয়ে সামনে দাঁড়িয়ে দুচোখ পাকিয়ে তার দিকে তাকিয়ে আছে। চোখ দিয়ে যেন আগুন ঝরছে আর দাঁতে দাঁত ঘষছেন।
2.) পত্রিকা থেকে গল্প শোনানোর ফরমাস এলে লেখক প্রত্যুত্তরে কি জানিয়েছিলেন?
উ: পত্রিকা থেকে গল্প শোনানোর ফরমাস এলে লেখক জানিয়েছিলেন যে তিনি সামান্য ব্যক্তি ।তার ছেলেবেলার গল্পে কারোর কোন কৌতুহল থাকার কথা নয়। তাছাড়া তার জীবনে এমন কোন স্মরণীয় ঘটনা ঘটেনি যে তা সর্বসম্মুখে প্রকাশ করতে হবে।
3.) লেখক বাংলাদেশ গিয়েছিলেন কেন?
উ: লেখক বাংলাদেশে গিয়েছিলেন তার কারণ একটি কলেজের বার্ষিক উৎসব উপলক্ষে সেখানে তিনি অতিথি হিসাবে আমন্ত্রণ ছিলেন এবং বক্তৃতা দেওয়ার কথা ছিল।
4.) সভায় পৌঁছানোর পর প্রত্যেকে তার সাথেই কি রকম ব্যবহার করেছিল?
উ: সভায় পৌঁছানোর পর প্রত্যেকেই তাকে নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছিল কিছুক্ষণ পরপর মানুষজন এসে তার সাথে বিনীতভাবে আলাপ চারিতা করে যাচ্ছেন। কেউ কেউ অটোগ্রাফের খাতা নিয়ে আসছে। এছাড়াও চা খাবারের কোন অভাব ছিল না। মোট কথা লেখক এর চারপাশে যেন এক জমজমাট পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছিল তাকে ঘিরে।
5.) লেখকের বক্তৃতায় সকলে কিভাবে মুগ্ধতা প্রকাশ করেছিল?
উ: এককের বক্তৃতা শুরু হওয়ার সাথে সাথে সকলেই প্রায় মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিল তার বচন শীলতায় বাক ভঙ্গিতে প্রিন্সিপাল মুগ্ধ হয়ে প্রশংসায় পঞ্চমুখ তার সুন্দর সুমধুর সারগর্ভ বক্তৃতার ধরন দেখে। তার বক্তৃ
Long Type Question Answers
1.) লেখক পত্রিকার পক্ষ থেকে ফরমাশে কি গল্প লিখেছিলেন তা নিজের ভাষায় বল।
উ: নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় লিখিত দাম গল্পে আমরা লেখকের কলমে এক এক মাস্টারমশায়ের পরিচয় পাই।। যার বিষয় ছিল অংক। তিনি বিজ্ঞানের ছাত্র এবং তার ছাত্রদের অংক শেখাতে যেন তেন উপায় প্রয়োগ করতেন। ছাত্রদের চড়চাপড় দেওয়া তার কাছে খুব সাধারণ ব্যাপার। ছাত্ররা তার ভয়ে সর্বদা তটস্থ থাকত। পড়াশোনা ও ক্লাস অতিক্রম করেও তার বিভীষিকাময় আতঙ্কের কথা ভুলে যেতে পারেনি। মাঝেমধ্যেই তারা স্বপ্ন দেখে উঠতো। আর তাদের মধ্যে লেখক ও একজন ছিলেন। লেখক বর্তমানে এম এ পাস করেছেন তিনি একটি বিদ্যালয়ের বাংলার শিক্ষক। একদিন এক পত্রিকার পক্ষ থেকে তাকে ছেলেবেলার গল্প শোনানোর জন্য বলা হলে সে সেই অংকের মাস্টার মশাই কে নিয়ে কিছু কথা বলেছিলেন। তার বক্তব্যে তিনি মাস্টার মশাই আর নিজের অংক প্রশিক্ষণের কথা তুলে ধরেছিলেন। তার মূল বক্তব্য ছিল পিটিয়ে কোন ছাত্রকে কোন কিছু শিখানো যায় না বরং তাতে ভালোর থেকে খারাপটাই হয় বেশি। নিজের আত্মবিশ্বাস কমে গিয়ে ছাত্র অহেতুক ভাবে প্রহারের শিকার হয়। তিনি উদাহরণ স্বরূপ বলেছিলেন “গাধা পিটিয়ে ঘোড়া করতে গেলে গাধা টাই পঞ্চত্ব পায়”। তিনি এভাবেই তার ছেলেবেলার ভয়ংকর স্মৃতিকে সকলের সামনে তুলে ধরেছিলেন। তার উদ্দেশ্য স্যারকে অপমান করা ছিল না স্যারের পদ্ধতি তার কাছে সঠিক মনে হয়নি তাই তিনি সেই পদ্ধতির বিশ্লেষণ করেছেন মাত্র।
2.) গল্পের পরিশেষে আমরা মাস্টার মশাই এবং ছাত্রের যে নিবিড় সম্পর্ক তার চরম নিদর্শন দেখতে পাই ।সমগ্র ঘটনাটি নিজের ভাষায় গুছিয়ে লেখ।
উ:অংকের মাস্টারমশাই ছেলেবেলা থেকেই এক বিভীষিকাময় পরিস্থিতি পরিবেশ সৃষ্টি করে ছাত্রদের শিক্ষিত করবার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তার উদ্যোগে বিন্দুমাত্র ত্রুটি ছিল না। তার পদ্ধতি কিছুটা পরিবর্তনযোগ্য হলেও ইচ্ছাটা ছিল সম্পূর্ণ খাঁটি। লেখক তার ছাত্রদেরই একজন। আজ এসে এক প্রতিষ্ঠিত বাংলার শিক্ষক। জীবনের এই প্রান্তে এসে সে নানান ঘটনা চড়াই উতরাইয়ের মধ্য দিয়ে পার করে এসেছেন। মাস্টার মশার সাথে পুনর্বার জীবনের এই সময়ে দেখা হওয়া তার স্নেহ মায়া মমতার স্পর্শে নতুন করে নিজেকে তিনি খুঁজে পেয়েছেন। সেদিনের সেই ভয়ংকর মানুষটা আজ নরম কোমল হৃদয়ের হয়ে উঠেছে স্নেহ মায়া মমতা এক মহাসমুদ্র যেন তার কাছে। কোটি কোটি মানিক্য দিয়েও তার এই মমতার পরিমাপ হবে না। ছাত্র এবং শিক্ষকের মধ্যে যে নিবিড় এবং পবিত্র সম্পর্ক তা অটুট অমূল্য অপরিমাপ যোগ্য তা এই গল্পের মধ্য দিয়ে খুব সুন্দর ভাবে লেখক তুলে ধরেছেন।
এখানে দাম গল্পের প্রশ্ন উত্তর অনুশীলনী বিস্তারিতভাবে দেওয়া হলো।
For any Questions Please comment us
For more Solutions Follow this page → West Bengal Board Solution