West Bengal Board Class 9 Bengali Chapter 2 ধীবর বৃত্তান্ত Solution
ধীবর বৃত্তান্ত : Bengali Class 9 Chapter 2 Question and Answers.
দ্বিতীয় অধ্যায়
ধীবর বৃত্তান্ত
কালিদাস
MCQ level question answer
1.) কার চিন্তায় শকুন্তলা আনমনা ছিলেন?
স্বামী। মা।
বাবা। ভাই।
উ: স্বামী।
2.) শকুন্তলা কে বিবাহ করে রাজা ফিরে গিয়েছিলেন দেশে/ রাজধানীতে/ শিকারে/ নৈশ ভোজে।
উ: রাজধানীতে।
3.) তপবনের কুটিরে উপস্থিত ছিলেন অজাত শত্রু/ দুর্বাসা/ বৈশ্য/ বৈশিষ্ঠ্য।
উ: ঋষি দুর্বাসা।
4.) রুক্মিণী /অনুসূয়া /প্রিয়ংবদার অনুরোধে সাপ মুক্তির উপায় বলে দিয়েছিলেন ঋষি দুর্বাসা।
উ: প্রিয়ংবদা
5.) আংটি প্রাপক পেশায় মুচি/ মেথর/ জেলে/ ধোপানি।
উ: জেলে।
6.) ধীবর কথার অর্থ-মুচি /ছুতোর /শিকারি/ জেলে।
উ: জেলে।
7.) রুই /শিঙি/ মাগুর/ বোয়াল মাছের পেটের ভেতরে মণিমুক্তা খচিত আংটিটি পাওয়া গিয়েছিল।
উ: রুই মাছ।
8.) শকুন্তলাকে বিবাহ করেছিলেন রাজা সুমন্ত/রামকুমার/দুষ্মন্ত
উ: দুষ্মন্ত।
9.) রাজা দুষ্মন্তের নগর রক্ষায় দায়িত্বে ছিলেন তার ভাইপো/ ভাগ্না /শ্যালক।
উ: শ্যালক।
10.) পাঠে আমরা দুজন/ চারজন/ পাঁচজন /সাতজন রক্ষীর উপস্থিতি লক্ষ্য করি।
উ: দুজন।
Very Short Type Level Question Answer
1.) দুষ্মন্তের দুজন রক্ষীর নাম কি?
উ: জানুক এবং সূচক।
2.) ধীবরের বাড়ি কোথায় ছিল?
উ: শক্রাবতারে।
3.) ধীবর বৃত্তান্তের তরজমা কে করেছেন?
উ।: সত্যনারায়ণ চক্রবর্তী।
4.) আংটিতে কার নাম খোদাই করা ছিল?
উ: রাজা দুষ্মন্তের নাম ।
5.) মহারাজা আংটি পাওয়ার পর ধীবর কে কিভাবে পুরস্কৃত করেছিলেন?
উ:মহারাজা আংটি পাওয়ার পর আংটির মূল্যের সমপরিমাণ অর্থ ধীবরকে দিয়ে তাকে পুরস্কৃত করেছিলেন।
6.) ধীবরকে কারা তাড়না করে নিয়ে আসছিল?
উ: বিবর্কে রাজার দুই রক্ষী তাড়না করে নিয়ে আসছিল।
7.)” এর গা থেকে কাঁচা মাংসের গন্ধ আসছে ”এই কথাটি কে কাকে বলেছিল?
উ: উপরিউক্ত উক্তিটি রাজার শ্যালক রক্ষী জানুক কে করেছিল।
8.) ‘গাঁট কাটা’ এটি কাকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছিল?
উ: ধীবর কে উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছিল।
9.) আংটি আর ধীবর সংক্রান্ত ঘটনাটি কে মহারাজের কাছে নিবেদন করতে গিয়েছিল?
উ: রাজার শ্যালক।
10.) ধীবর কিভাবে তার সংসার চালায়?
উ: ধীবর জাল বরশি ইত্যাদি নানা উপায় মাছ ধরে তার সংসার চালায়।
Short Level Question Answer
1.) শকুন্তলা স্বামী চিন্তায় অন্যমনা ছিলেন কেন?
উ: শকুন্তলা তার পালক পিতা মহর্ষি কর্ণের অনুপস্থিতিতে দুষ্মন্তের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন। দুষ্মন্ত বিবাহ করার পর শকুন্তলা কে তপোবনের কুটিরে রেখে রাজধানীতে ফিরে যাওয়ার দীর্ঘকাল অতিক্রান্ত হওয়ার পরেও ,যখন তার কোন খোঁজ খবর পাওয়া যাচ্ছিল না সে সময় স্বভাবতই শকুন্তলা তার স্বামী চিন্তায় সর্বদা অন্যমনা হয়ে থাকতেন।
2.) ঋষি দুর্বাসা অপমানিত বোধ হলেন কেন?
উ: শকুন্তলার কুটিরে আসার পূর্বে ঋষি দুর্বাসা কুটিরে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু স্বামী চিন্তায় বিভোর হওয়ার ফলে শকুন্তলা অনিচ্ছাকৃতভাবেই ঋষি দুর্বাসার উপস্থিতি অনুভব করতে পারেননি। অপরদিকে এরূপ অবহেলায় অপমানিত বোধ করেছিলেন ঋষি দুর্বাসা।
3.) রাজার আংটিটি দেখতে কেমন ছিল?
উ: দুষ্মন্ত গান্ধর্ব্য মতে যে আংটি বদল করে শকুন্তলার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন সেই আংটিটি ছিল মহা মূল্যবান। আংটিটি নানান মনি মুক্তা এবং রত্ন খচিত ছিল। আংটিতে রাজার নাম খোদাই করা ছিল যা আংটিটির বিশেষত্ব।
4.) পাঠ্যাংশে আমরা ধীবরের মুখে জীবিকা বা বৃত্তি সম্বন্ধে যে টুকু শুনতে পাই তা নিজের ভাষায় বল।
উ: ধীবর কে আমরা পাঠ্যাংশে সৎ ব্যক্তি হিসাবে চিনতে পারি। সে ধীবর এ বিষয়ে তার কোন লজ্জা নেই। কারণ সে জীবিকার ঊর্ধ্বে গিয়ে মানুষকে সম্মান করতে জানে। তার মতে যে বৃত্তি নিয়ে মানুষ জন্মেছে সেই বৃত্তি ঘৃণ্য হলেও তা কখনোই ত্যাগ করা উচিত নয়। পেশায় ধীবর হলেও তার কথাবার্তা জ্ঞানী স্বরূপ।
5.) ধীবর আংটিটি কিভাবে পেয়েছিল?
উ: ধীবর একটি রুই মাছকে যখন খন্ড খন্ড করে কাটছিল তখন সেই মাছের পেটের মধ্যেই এই আংটিটি পেয়েছিল।
Long Type Question Answer
1.) গল্পের সূত্র ধরে ধীবরের আংটি পাওয়ার ঘটনাটি পর্যায়ক্রমে বিবৃতি কর।
উ: মহর্ষি কন্ব শকুন্তলার পালক পিতা। সে শকুন্তলাকে নিজের হাতে মানুষ করেছেন।
মহর্ষি কন্বের অনুপস্থিতিতে একদিন রাজা দুষ্মন্ত শকুন্তলাকে গান্ধর্ব্য মতে বিবাহ করলেন। বিবাহ পর্ব সমাপ্ত করে রাজা পুনরায় রাজধানীতে ফিরে গেলেন। এদিকে মুনি দুর্বাসার অভিশাপে অভিশপ্ত হয়ে রইলেন শকুন্তলা, তীব্র অপমান বোধে দুর্বাসা অভিশাপ দিলেন, যার চিন্তায় শকুন্তলা আজ মগ্ন হয়ে রয়েছে সে তাকে সময় মত চিনতে পারবে না। এরূপ অভিশাপের কথা শুনে শকুন্তলার প্রিয় সখি প্রিয়ংবদা, অনেক অনুনয় বিনয় করে এই সাপ মুক্তির উপায় জেনে নিয়েছিলেন। শকুন্তলার এই শাপমুক্তির এক এবং অন্যতম উপায় বিবাহের সময় সেই আংটিটি। এই আংটি একমাত্র শকুন্তলাকে তার প্রিয় দুষ্মন্তের নিকট পৌঁছে দিতে পারে। কিন্তু ঘটনাচক্রে সচি তীর্থের স্নানের পর অঞ্জলি দেওয়ার সময় হাত থেকে খুলে পড়ে যায় সেই মূল্যবান রাজার নাম খোদাই করা আংটিটি। এবং সেটি একটি রুই মাছের পেটে চলে যায়। রাজসভায় সেই আংটি ছাড়াই শকুন্তলা রাজার কাছে গিয়ে নিজের পরিচয় দিলে রাজা শকুন্তলা কে চিনতে অস্বীকার করে। আবার এদিকে যেই রুই মাছটি রাজার আংটি গলর্ধো করেছিল সেটি ধরা পড়ে এক ধীবরের জালে এবং সেটিকে খন্ড খন্ড করে কাটার সময় রাজার সেই মহামূল্যবান আংটিটি পাওয়া যায়। সেই আংটিটিকে বিক্রয় করবার উদ্দেশ্য নিয়ে বাজারে আসলে ধীবরকে পাকড়াও করা হয়। এইভাবেই ধীবরটি রাজার সেই আংটিটি পেয়েছিল।
2.) ধীবর চরিত্রটি বর্ণনা কর।
উ: পাঠ্যাংশে কালিদাস বিরচিত ধীবর বৃত্তান্ত অংশে ধীবর প্রধান চরিত্র। কবি কালিদাস সরলতার লেখনীতে খুব সুন্দরভাবে ধীবর চরিত্রটি আমাদের সম্মুখে প্রস্ফুটিত করেছে। ধীবর পেশায় জেলে। সে জাল বড়শি ইত্যাদি সহযোগে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে। ঘটনাচক্রে রাজার নাম খোদাই করা আংটিটি সে পায়। সে চোর নয় তাই আগা গোড়ায় সে নিজের পক্ষে নিজের মতে অনড়। রক্ষিরা নানাভাবে তাকে কটুক্তি করলেও সে কখনোই অবভ্য ব্যবহার করেনি।। বরং বরাবর সে শান্ত এবং কোমল স্বরে নিজের বাক্যে অনড় থেকেছে। সে যথেষ্ট জ্ঞানী বৃত্তি সম্বন্ধে তার যে ধারণা তা আমাদেরকে অবাক করে। সে আংটিটি চুরি করেনি বরং মাছের পেট থেকে সে পেয়েছে এই সত্য সে স্বীকার করে গেছে। প্রথম থেকে। রক্ষীরা তাকে গাঁটকাটা,চোর, গোসাপ খাওয়া ইত্যাদি নানাভাবে অপমানিত করলেও ধীবর প্রত্যুত্তরে অসভ্যতা করেনি। যথেষ্ট ধৈর্য এবং শালীনতা বজায় রেখে সে অন্তিম বিচারের জন্য অপেক্ষা করেছে। তার চরিত্রে স্পষ্ট সে গরীব হলেও লোভী নয়। রাজার প্রতি তার সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে। এবং সেই আস্থা থেকেই সে নির্দোষ প্রমাণিত হয় এবং সাথে পায় প্রচুর পুরস্কার আর রাজকীয় আতিথেয়তা।
এখানে ধীবর বৃত্তান্ত নাট্যাংশের প্রশ্ন উত্তর অনুশীলনী বিস্তারিতভাবে দেওয়া হলো।
For any Questions Please comment us.
For more Solutions Follow this page → West Bengal Board Solution
শকুন্তলাকে কে? কেন অভিশাপ দিয়েছিলেন? অভিশাপটি কি ছিল? এর মুক্তির উপায়টি কি?
শকুন্তলা হলো মহর্ষি কম্বের পালিত মেয়ে কিন্তু তিনি তাকে নিজের হাতে মানুষ করে।
ঋষি দুর্বাসা শকুন্তলার কুটিরে আসার পূর্বেই তার নিজের কুটিরে উপস্থিত ছিল। কিন্তু শকুন্তলা তার স্বামী চিন্তায় বিভোর হওয়ায় অনিচ্ছাকৃতভাবেই ঋষি দুর্বাসার উপস্থিত অনুভব করতে পারেনি। অন্যদিকে এই অবহেলায় ঋষি দুর্বাসা অপমানিত করেন। এই কারণে তিনি শকুন্তলাকে অভিশাপ দেন।
শকুন্তলার তীর্থ স্থানের পর অঞ্জলি দেওয়ার সময় তার আঙ্গুল থেকে খুলে পড়ে যায়, রাজার নাম খোদাই করা আংটিটি। সেই আংটিটি যদি না পড়ে রাজার কাছে যায় তাহলে রাজা তাকে চিনতে অস্বীকার করবে কিন্তু শকুন্তলা যদি আংটি পড়ে রাজার কাছে যায় তাহলে তাকে চিনতে অস্বীকার করবে না। এটাই ছিল অভিশাপ মুক্তির উপায়।