জন্ম হোক যথা তথা কর্ম হোক ভালো | Vab Somprosaron
In this post we have given Vab Somprosaron ‘জন্ম হোক যথা তথা কর্ম হোক ভালো‘ for our students of Bengali medium. For any problems to understand during the time of learning or reading please comment us. Our Bengali Teacher will assist You.
মূলভাব: সৃষ্টির আদিকালে মানুষের কোন শ্রেণী ছিল না। মানুষের মনুষ্যত্ব বিচার করা হয় জন্মস্থান নয় তার কর্মের উপর নির্ভর করে। তার কর্মের উপর নির্ভর করেই তার মান নির্মাণ হয় ।মানব মূল্যায়ন ঘটে।
সম্প্রসারিত ভাব: মানব জন্ম মানে বহু সাধনার ফল। মানবজীব সমাজের শ্রেষ্ঠ জীব ।ঈশ্বরের শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি। এই শ্রেষ্ঠত্ব তার অস্তিত্ব নয় তার কর্মে। মানব হয়ে যদি মানব কল্যাণে নিজের জীবনকে উৎসর্গ করতে নাই পারলাম তবে সে মানব জন্ম বৃথা। কিছু কিছু মানুষ রয়েছে যারা বংশ আভিজাত্যে অহংকারী তারা ধরাকে সরা জ্ঞান করে। উচ্চ বংশে জন্ম লাভ করে বলে হিতাহিত জ্ঞান শূন্য হয়ে কেবল আত্ম অহংকারের পথ বেছে নেয়। যা তাকে নিম্নদিকে ধাবিত করে। মানব জন্ম যথা তথাস্থানে হতে পারে তা বলে নিজেকে ছোট বা নীচ মনে করার কোন কারণ থাকতে পারে না। ব্যক্তির মহত্ব প্রকাশ পায় জন্মের পর সে কোন ধরনের কর্মে নিজেকে লিপ্ত রেখেছে। ধনী ব্যক্তি বহুল পরিমাণে সম্পত্তির অধিকারী হয়েও চরম কৃপণ হতে পারে আত্ম স্বার্থমগ্ন হতে পারে। হতে পারে গরিব দুঃখীর পাশে সে কখনোই সে দাড়ায়নি। আবার এমন অনেক মানুষ আছেন যারা প্রচন্ড দরিদ্র। নুন আনতে পান্তা ফুরায় অথচ তারা নিজেদের সঞ্চয় থেকে কিছুটা অপরের হিতে খরচ করে। আর তখন তারা সমস্ত কিছুকে পেছনে ফেলে হয়ে ওঠে এক জলন্ত পূর্ণমানবতার অবয়ব। জন্মস্থান মানুষের নিয়ন্ত্রিত নয় কিন্তু কর্ম মানুষের নিয়ন্ত্রণে। কর্মের দ্বারাই মানুষ নিয়ন্ত্রিত করে তার ভাগ্যকে। কর্ম গুনে মানুষ উন্নতির চরম শিখরে নিজেকে আসীন করতে পারে। কর্ম হোক মানুষের হিত সাধনে দেশের দশের উন্নতির কল্পে। সঠিক মানুষ তার কর্মের দ্বারা নিজেকে মানব হৃদয়ের সিংহাসনে প্রতিষ্ঠিত করে চিরকাল অমর থাকে। তার মহৎ গুণের কথা সাধারণ মানুষ কখনোই ভুলে যায় না।
সুকর্ম যে ব্যক্তিরা করে থাকে তারা সর্বত্র প্রশংসনীয়। নীচ বংশ বা উচ্চ বংশ কখনোই কোন মানুষের মানবতার শ্রেষ্ঠত্বকে নিরূপণ করেনা। বংশ মানুষকে তার পরিচয় প্রদান করে না। মানুষের পরিচয় আর মানবত্বের শ্রেষ্ঠত্ব প্রকাশ পায় মানুষের কর্মের দ্বারা। পৃথিবীতে এমন বহু মানুষ আছে যাদের জন্ম অনেক নিচু বংশ মর্যাদার মানুষের মাঝে তা সত্ত্বেও তারা তাদের কর্মের দ্বারা আমাদের মনে সারা জীবন চির প্রজ্জ্বলিত থাকবে। কর্মই মানুষের পরিচয় বহন করে ,কর্মই মানুষকে নতুন পথের দিশা দেখায়, কর্ম মানুষকে মানব তার জয়গান শেখায়। তাই পরমাত্মার ওপর বিশ্বাস রেখে নিজ কর্মে সদা সর্বদা ব্যস্ত থাকতে হবে।
Important Link: