পথ পথিকের সৃষ্টি করে না পথিকই পথের সৃষ্টি করে | Vab Somprosaron
In this post we have given Vab Somprosaron ‘পথ পথিকের সৃষ্টি করে না পথিকই পথের সৃষ্টি করে ‘ for our students of Bengali medium. For any problems to understand during the time of learning or reading please comment us. Our Bengali Teacher will assist You.
মূলভাব: মনুষ্য জনম লব্ধ এই জীবনে চলার যে পথ তা মনুষ্যদ্বারাই সৃষ্ট। মানুষ নিজের প্রয়োজনে উত্তরোত্তর এই পথের সৃষ্টি করেছে।
সম্প্রসারিত ভাব: মনুষ্য জীবন গতিময় আর এই গতিময় জীবনে রয়েছে চলার ছন্দ এই গতিময় ছন্দ রণিত হয় একটি নির্দিষ্ট পথ ধরে। যে পথের নিয়ন্ত্রণ কর্তা স্বয়ং মানব। মানুষ নিজের স্বার্থে সর্বোপরি নিজের প্রয়োজন মেটাতে প্রতিনিয়ত নবনির্মাণ করে চলেছে বিভিন্ন পদ্ধতি এগুলি এক একটি পথস্বরূপ।। পথ কথাটি ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন অর্থ বহন করে। কোন ক্ষেত্রে পথ আসলে কোন পদ্ধতি অথবা সংকট মোচনের উপায় অথবা বিপদ মুক্তির উপায় ,উন্নতির শিখরে পৌঁছানোর উপায় ,সংকটময় পরিস্থিতি থেকে নির্গমনের উপায়। মনুষ্য জাতি সেই আদি যুগ থেকে নিজের ঐতিহ্য সংস্কৃতি পরিচয় কে বাঁচিয়ে রাখার তাগিদের প্রতিষ্ঠা করে চলেছেন ভিন্ন ভিন্ন পথের। বলাই বাহুল্য এই সমস্ত পথের সে ধারক এবং বাহক। পরিস্থিতি যেমনই হোক মানুষকে পথের হদিশ নিজেকেই করতে হয়। ভয় পেয়ে নয় বরং দৃঢ় হস্তে সকল পরিস্থিতিকে সামাল দিয়ে সংকটমোচনের পথ নির্মাণ করতে হয়। যা মানুষকে বিপদমুক্ত এবং আশাবাদী করে তোলে। আবার জ্ঞানীগুণী মানুষেরা বহুকাল থেকে মানুষকে তাদের ষড়রিপুর থেকে মুক্তির পদ্ধতির কথা বলে আসছেন সে পথ আবার ভিন্ন। বৃহত্তর ক্ষেত্রে আলোচনা করতে গেলে আমরা দেখতে পারি পথ আসলে পথিকেরই সৃষ্টি অর্থাৎ যে ব্যক্তি সেই পথ ধরে এগোবে তাকেই সেই পথের সৃষ্টি রচনা করে এগিয়ে চলতে হয়। প্রয়োজনীয়তা অনুসারে নিজের সুবিধা মত ঘাত প্রতিঘাত এর সম্মুখীন হয়ে একটি সুষ্ঠু পদ্ধতি আশ্রয় করতে হয়। পথ কখনোই পূর্ব নির্মিত থাকে না পথিক নিজের সুবিধামতো পথের রচনা বা সৃষ্টি করে থাকে।
Important Link: