ভোগে সুখ নাই ,কর্ম সম্পাদনেই প্রকৃত সুখ | Vab Somprosaron
In this post we have given Vab Somprosaron ‘ভোগে সুখ নাই ,কর্ম সম্পাদনেই প্রকৃত সুখ’ for our students of Bengali medium. For any problems to understand during the time of learning or reading please comment us. Our Bengali Teacher will assist You.
মূলভাব: মানুষ মাত্রই ষড়রিপুর আস্তানা। আর যারা এই রিপু কে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে তারাই আসল মানব আত্মা। মানুষ মাত্রই লোভ মোহ মায়া এসবের সংমিশ্রণে তৈরি এক আত্মা। তবে শুধুমাত্র ভোগ কাম্য এই সকল মানুষ সমাজ তথা নিজের ক্ষতি সাধনে লিপ্ত। কিন্তু এই ভোগে কোন সুখ নেই বরং সকলের তরে নিজের জীবন কি সঠিক কর্মের দ্বারা উৎসর্গ করায় প্রকৃত সুখ
সম্প্রসারিত ভাব: মানুষ সমাজবদ্ধ জীব সমাজের প্রতি তার একটা দায় দায়িত্ব চিরকালের মতো বর্তায়। যারা শুধুমাত্র নিজেদের শোককে প্রাধান্য দিয়ে জীবন অতিবাহিত করেন তারা সংকীর্ণ মানুষ। আমাদের প্রত্যেকের উচিত সমাজের হিত সাধনে সকলকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে আসা। মানব হিতে সাড়া দিতে হবে ।সাড়া দিতে হবে জনকল্যাণ মূলক কাজে। ভোগ মানুষকে উশৃঙ্খলার তার চরম শিখরে নিয়ে যায়। ভোগের কারণে মানুষ উচ্চ থেকে উচ্চতর পর্যায় আসীন হওয়ার তাগিদে ক্রমশ অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়। মানুষ সুখ ভোগের তাগিদে নানান রকম পদ্ধতির অবলম্বন করে কেউ কেউ অল্প সময়ে অনেক অর্থ উপার্জনের অভিপ্রায়ে ভুল পথে চালিত হয়। স্বার্থান্বেষী হয়ে বিপথে যাই। বহুল বিলাসব্যসনে নিজের জীবনকে সুসজ্জিত করে। তারা ভুলে যায় এই সব কিছু তে প্রকৃত সুখ লাভ করা যায় না। প্রকৃত সুখ আসলে মানবের স্বার্থে নিজেদের জীবনের আত্ম বলিদান। মানুষের স্বার্থে মানুষের হয়ে মানুষের কাছাকাছি থাকার প্রচেষ্টা। আর্তের সেবা, গরিবের দুঃখ মোচন, দুঃখীর পাশে দাঁড়ানো হলো প্রকৃত কর্ম সম্পাদন। এই সমস্ত কার্য জীবনের প্রকৃত সুখের মূল রাস্তা। মানুষকে বুঝতে হবে ভোগে প্রকৃত সুখ নয় প্রকৃত সুখ দায়িত্ব মূলক কর্ম সম্পাদনের মাধ্যমে। অন্যের স্বার্থে নিজের স্বার্থ খোঁজা এ হল পরম আত্মার খোঁজ। মানুষ জন্মগ্রহণ করবার পর সাধারণ থাকে ।
কিন্তু তার কর্ম সম্পাদনের মধ্য দিয়ে সে অসাধারণ হয়ে ওঠার সুযোগ পায়। জন্মগ্রহণ করবার পর, কোন ব্যক্তি যদি কেবলমাত্র নিজের সুখ স্বার্থ আর মোহ নিয়ে ব্যস্ত থাকে। নিজের আত্ম সুখকে বড় করে দেখে। স্বার্থমগ্ন হয়ে জীবন অতিবাহিত করে। তবে সে ব্যক্তি এই বিশ্ব চরাচরে মৃত্যুর পর বিলীন হয়ে যায়। তাকে কেউ আর মনে রাখার কোন চেষ্টা করে না। কালের অন্তরালে সেও ধাবিত হয়। কিন্তু জন্মগ্রহণ করবার পর যে ব্যক্তি সদা সর্বদা গরিব-দুঃখীদের কথা ভাবে। তাদের দুঃখে পাশে দাঁড়ায় ।তাদের স্বার্থকে নিজের স্বার্থ বলে মেনে নেয় ।সে সমস্ত ব্যক্তিরা অমর। তাদের মৃত্যুর পর তারা মানব হৃদয়ে সিংহাসনে চির প্রতিষ্ঠিত থাকে। তাই প্রত্যেকের মনে রাখা উচিত ,উপকরণ থাকতেই সুখ আসে না সুখ আসে সঠিক কর্ম সম্পাদনের মধ্য দিয়ে।
Important Link: