On this post we have given Vab Somprosaron ‘পাখিরা আকাশে উড়ে দেখিয়া হিংসায় ।পিপীলিকা বিধাতার কাছে পাখা চায়। বিধাতা দিলেন পাখা দেখো তার ফল ।আগুনে পুড়িয়া মরে পিপীলিকার দল’ for our students of Bengali medium. For any problems to understand during the time of learning or reading please comment us. Our Bengali Teacher will assist You.
মূলভাব: সৃষ্টিকর্তা বড় নিপুণতার সহিত সমস্ত জীবকুলকে নির্মাণ করেছেন। তার নির্মাণ কার্যের ওপর বিন্দুমাত্র সন্দেহ করা মুর্খামি ছাড়া আর কিছু নয়। এত নিখুঁত বৈচিত্রশালী প্রতিভা দেখে হয়রান হতে হয়।
সম্প্রসারিত ভাব: সৃষ্টিকর্তা সৃষ্টি করলেন বটে কিন্তু তার সৃষ্টির মধ্যে কোন কোন সৃষ্টি নিজের রূপে খুশি নয়। ঠিক যেমন আমাদের সমাজের কিছু কিছু মানুষ রয়েছেন যারা বড়ই পরশ্রীকাতরএবং সেই পরশ্রীকাতরতার বশে কখনো কখনো এমন কিছু আবদার করে বসে যা তার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। সৃষ্টিকর্তা তার সৃষ্টিতে বিন্দুমাত্র ভুল করেননি, যাকে যা প্রয়োজন যতটুকু প্রয়োজন তাকে ঠিক ততটুকু দিয়ে পরিপূর্ণ করে এই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। কিন্তু অনেকেই সৃষ্টিকর্তার উপর থেকে সেই বিশ্বাস হারিয়ে ফেলে ।নিজেকে আরও বেশি সুন্দর এবং মোহময়ী করার জন্যে নানা উপায় অবলম্বন করে। এতে তার রূপের পরিবর্তন হলেও আখেরে ক্ষতিটা তারই হয়। তার পরিবর্তনের সাথে সাথে চারিপাশের পরিবেশ তার জন্য ভিন্ন রূপ ধারণ করে ।ফলস্বরূপ সে সেই পরিবেশের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারেনা। এবং অস্তিত্ব বিলুপ্ত হওয়ার পথে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যায়। তাই মনুষ্যজাতির উচিত, যে রূপ নিয়ে সে জন্মগ্রহণ করেছে সেই রূপ তার শ্রেষ্ঠ রূপ ।ঈশ্বর প্রদত্ত সেই রূপের উপর পুনর্বার কেরামতি করলে তার ফল ভোগ করার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। আবার যদি ধন-সম্পদের কথা বলা যায় তাহলে বলতে হয় ঈশ্বর যাকে যেমন অবস্থায় যতটুকু দয়া করে দিয়ে পাঠিয়েছেন তার ততটুকু নিয়ে সন্তুষ্ট থাকা উচিত অতিরিক্ত ধন-সম্পদ উপার্জনের আশায় বিপথে গিয়ে নিজের বর্তমান পরিস্থিতিকে উশৃংখল না করে তোলাই বুদ্ধিমানের কাজ।
ঈর্ষা নয় বরং যার কাছে যতটুকু আছে ততটুকু নিয়ে সন্তুষ্ট থাকাই সর্বশ্রেষ্ঠ উপায়। ঈর্ষা অনুকরণ পরশ্রীকাতরতা, এই সমস্ত কিছু বিপদ আনে। তাই এই সব থেকে দূরে থাকা উচিত। যে ব্যক্তি অল্পেতেই সন্তুষ্ট তার জীবনে শান্তির বাতাবরণ সর্বদাই বিরাজমান।
Important Link: