অর্থই অনর্থের মূল | Vab Somprosaron
In this post we have given Vab Somprosaron ‘অর্থই অনর্থের মূল’ for our students of Bengali medium. For any problems to understand during the time of learning or reading please comment us. Our Bengali Teacher will assist You.
মূলভাব: মানুষ লোভ মোহ মায়া কামনা বাসনার মিশ্রণে তৈরি এক জীবন্ত আত্মা। মানব শরীর মানে ভোগ প্রিয়। কিন্তু শুধুমাত্র নিজস্ব সুখ ভোগ দ্বারা জর্জরিত ব্যক্তি প্রবল স্বার্থান্বেষী হয়। শুধুমাত্র ভোগ কাম্য মানুষ সমাজ তথা নিজের ক্ষতিসাধনে লিপ্ত থাকে। ভোগী ব্যক্তি কখনো অপরের কথা চিন্তা করে না। নিজের স্বার্থের কথা ষোলআনা চিন্তা করে আগে। এতে সে প্রকৃত সুখভোগী হতে পারে না। যে মানুষ অপরের কথা ভাবে অপরের জন্য নিজের সুখ ত্যাগ করতে সক্ষম সেই আসল সুখী।
সম্প্রসারিত ভাব: সমাজে বহু প্রকৃতির মানব আছে। এদের মধ্যে ভোগী মানব জাতি সমাজ তথা দেশের কলঙ্ক। মানুষ ভোগ করবে একথা সত্য তবে যে মানুষ সব সময় ভোগের চিন্তা করে এবং ভোগকে প্রাধান্য দেয় তারা সমাজের সংকীর্ণমনা জীব। মানুষ সমাজবদ্ধ জীব সমাজের প্রতি তার একটা দায়বদ্ধতা সব সময় থাকে সেই দায়বদ্ধতাকে এড়িয়ে সে যদি নিজের সুখ ভোগকে প্রাধান্য দেয় তবে তার মত নিম্ন মানসিকতার কাজ এর চেয়ে বেশি কিছু হয় না। সর্বদা নিজের ক্ষমতা অধিকার পদ এই সমস্ত কিছু আঁকড়ে আমার আমার করলে হয় না। জনগণের হিতে নিজের সিংহাসন নিজের অধিকার নিজের স্থান অপরের জন্য ছেড়ে দিতে হয়। শুধুমাত্র ভুগি না হয়ে একত্রিত মনোভাব নিয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে আসা উচিত। মানবহীতে সাড়া দেওয়া উচিত। জনকল্যাণমূলক কাজে নিজেকে নিয়োজিত করা উচিত। ভোগ মানুষকে উশৃংখলতার চরম শিখরে নিয়ে যায়। ভোগী মানুষ কখনোই মানুষের দুঃখ দুর্দশা বেদনার কথা শুনতে চায় না। সে শুধুই নিজেকে নিয়ে ভাবে। কোন কোন ব্যক্তি অধিক সুখ ভোগের আশায় অধিক অর্থ উপার্জন করার জন্য অন্ধকারাচ্ছন্ন কালো পথ বেছে নেয়। যেখান থেকে সে হয়তো আর কোনদিনও ফিরতে পারবে না। প্রবল স্বার্থান্বেষী হয়ে সে বিপথে যায়।
তারা বোঝেনা যে ভোগে নয় ত্যাগ এর মাধ্যমে আসল সুখ লুকায়িত আছে। তারা সর্বদা যা চায় তা পাওয়ার জন্য উদগ্রীব থাকে। তাদের কাছে বন্ধু-বান্ধব আত্মীয় স্বজন এই সমস্ত কিছু অর্থহীন। আবার সমাজে বেশ কিছু মানুষ আছে যাদের জন্মের পর থেকেই নিজেদের জীবন উৎসর্গীকৃত মানব কল্যাণে। মানবের স্বার্থে তারা নিজেদেরকে সম্পূর্ণভাবে বিলীন করেছে। সমাজের কঠিন থেকে কঠিনতর ও দায়িত্ব গুলি নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছে। দেশের দশের শীতের জন্য নিজের সুখ স্বাচ্ছন্দ অনায়াসে ত্যাগ করেছেন। এরাই আমাদের দেশের উজ্জ্বল রত্ন। এদের আত্ম বলিদান এর ইতিহাস ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে রচিত। এরা প্রকৃতির মাঝে নিজেকে লুটিয়ে দিয়ে সুখ খুঁজে পান। এদের থেকে আমাদের এই মৃত্যুঞ্জয়ী মন্ত্র শিখতে হবে। এরা অমর মৃত্যুকে জয় করেছে। এদের শরীরের মৃত্যু ঘটলেও এদের পরমাত্মার মৃত্যু ঘটে না। যুগ যুগ ধরে মানবের মাঝে এরা বেঁচে থাকে। তাই আমাদের প্রত্যেকের উচিত শুধুমাত্র নিজ স্বার্থের কথা না ভেবে প্রত্যেক এ প্রত্যেকের পাশে দাঁড়ানো, যতটা সম্ভব একে অপরের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এই জীবন সমুদ্র পাড়ি দেওয়া।
Important Link: