On this post we have given Vab Somprosaron ‘নর কহে ধূলিকণা তোর জন্ম মিছে চিরকাল পড়ে রইলো চরণের নিচে ধূলিকণা কহে ভাই কেন কর ঘৃণা তোমার দেহের আমি পরিনাম কিনা’ for our students of Bengali medium. For any problems to understand during the time of learning or reading please comment us. Our Bengali Teacher will assist You.
মূলভাব: সমাজের প্রধানত দুই ধরনের মানুষের দেখা আমরা পাই। একদল যারা কৃতজ্ঞ উপকারীর উপকার কে স্বীকার করে এবং কখনোই তার উপকার ভুলে যায় না। আরেক দল যারা উপকারীর থেকে উপকার গ্রহণ করে আর অবলীলাক্রমে তা ভুলে গিয়ে নিজেকে অকৃতজ্ঞতার তকমায় পর্যভূষিত করে।
সম্প্রসারিত ভাব: সমাজে আজও উদার মানসিকতার মানুষজন রয়েছে বলেই সভ্যতা টিকে রয়েছে। কিছু মানুষ যারা বিনা স্বার্থে লোভে নিজেদের জীবনকে অপরের হিত কামনায় লিপ্ত। আর কিছু মানুষ শুধুমাত্র গ্রহণকার্যে মনোনিবেশ করে নিজের জীবনযাত্রাকে আরও বেশি সুবিধা জনক করে তোলার কাজে মত্ত। এই সমস্ত মানুষেরা কখনোই অপরের ভালো দেখতে পারে না। এরা স্বার্থপর লোভী সংকীর্ণমনা। বিপদগ্রস্ত হয়ে উপকারী থেকে উপকার গ্রহণ করে। বিপদগ্রস্ত অবস্থায় যেকোন মানুষের পদলেহন করতে এদের কোন আপত্তি থাকেনা। এবং উক্ত পরিস্থিতি থেকে নিষ্কৃতি পাওয়ার পর সেই উপকারী ব্যাক্তিকে সে মনে রাখে না। এরা এতটাই স্বার্থপর এবং নির্লজ্জ প্রকৃতির হয়ে থাকে যে কখনো কখনো উপকারী ব্যক্তিকে চিনতেও অস্বীকার করে। কারণ তারা মনে মনে ভাবে হয়তো সেই উপকারী ব্যক্তি উপকার করার জন্য প্রতিদানে কিছু চেয়ে থাকবেন। নিজেদের মানসিকতার সাথে সেই উদার মানসিকতার তালগোল পাকিয়ে ফেলে তারা। সেই উদারমনা ব্যক্তিকে নিজেদের দলের লোক মনে করে। কিন্তু একথা ভুল উপকারী ব্যক্তি কখনোই উপকার করে তার প্রতিদান চান না ।কারণ উপকারী ব্যক্তি উদার বলেই সে উপকার করতে এগিয়ে আসে। যারা মহৎ হয় তারা কখনোই প্রতিদানের আশা রেখে সাহায্যের হাত বাড়ায় না। এই সমাজে আমরা কেউই স্বয়ংসিদ্ধ নই বেঁচে থাকার জন্য প্রত্যেকেই একে অপরের ওপরে নির্ভরশীল।
এই সমাজে আমরা কেউই স্বয়ংসিদ্ধ নই। বেঁচে থাকার জন্য প্রত্যেকেই একে অপরের ওপরে নির্ভরশীল। কিন্তু এই নির্ভরশীলতা একে অপরের প্রতি অর্থাৎ উভয়েরই সমপরিমাণ প্রতিদান থাকা উচিত একে অপরের প্রতি কিন্তু সেই প্রতিদান যখন শুধুমাত্র একজনই বহন করে থাকেন তখনই স্বার্থপরতার চরম দৃষ্টান্ত সৃষ্টি হয়। একথা বললে চলবে না একজন সৎ মানুষ কখনোই উপকারীর উপকার অস্বীকার করে না। চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের উচ্চতর দৃষ্টান্ত স্বার্থপরতা অকৃতজ্ঞতা নয় বরং স্বার্থহীন হয়ে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন এর মাধ্যমে মানব জন্মের সার্থকতা।
Important Link: