জাতীয় জীবনে সন্তোষ এবং আকাঙ্ক্ষা দুইয়ের মাত্রা বেড়ে গেলে বিকাশের কারণ ঘটে
মূলভাব: উন্নতির নেপথ্যে চাহিদার হাতছানি একান্ত অবশ্যক। অল্পেতে সন্তুষ্ট অথবা কোন রকমে দিনযাপন করলে কোন চেষ্টা না থাকলে সমাজ সভ্যতা জাতি সবই পিছিয়ে থাকে।
সম্প্রসারিত ভাব: যুগ যুগ ধরে মানবজাতির অজানাকে জানবার অচিনাকে চেনার অদেখাকে দেখার আগ্রহ। সে কোন কিছুতেই সন্তুষ্ট হয়নি। আরো আরো বেশি পাওয়ার আকাঙ্ক্ষায় জানার ইচ্ছায় একের পর এক বিস্ময়কর আবিষ্কার করে চলেছে সে। তার অনুসন্ধিৎসু মন কোন কিছুকেই বাঁধ দিয়ে রাখতে পারেনি। সে অল্পতে থেমে থাকে নি সে অল্পতে নিজেকে মানিয়ে নিতে শেখেনি। সে অপার অজস্র সমুদ্র সমান জ্ঞান আহরণ করার ইচ্ছা নিয়ে পাড়ি দিয়েছে জ্ঞান সমুদ্র। দুচোখে অকূল জিজ্ঞাসা তার জ্ঞান ভান্ডার কে সঞ্চারিত করেছে। তার মধ্যে আকাঙ্ক্ষা আছে বলেই সে জ্ঞানকে পাথিয়ে বানিয়ে এগিয়ে চলেছে। তারমধ্যে আকাঙ্ক্ষা আছে বলেই অল্পতেই থেমে না থেকে বিস্তর লাভের আশায় অগ্রসর হয়েছে। সে জীবনে অল্পতে সন্তুষ্ট নয়। অলসতা নয় বরং দুর্বার গতিতে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে গিয়ে কিভাবে যুদ্ধ জয় করা সম্ভব সেই ইতিহাস সে রচনা করেছে। চিন্তা চরিত্র ধ্যান ধারণায় আমূল পরিবর্তন ঘটিয়ে রচনা করেছে এক নতুন সমাজ। এক নতুন জগত। আকাঙ্ক্ষা এবং সন্তোষ এ দুটিকে কোন জাতির প্রতিরোধ করা উচিত নয়। এই দুটি গুণাবলী কে যত উস্কানি দেওয়া যায় তত প্রবল ভাবে কোন জাতির উন্নতি সম্ভব। আকাঙ্ক্ষা এবং সন্তোষের অপরিমেয় মাত্রার কারণ একটি দেশের এবং জাতির বিকাশ।
Important Link: