জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট মুক্তি সেখানে অসম্ভব
মূলভাব: সৃষ্টির আদি পর্যায়ে সমগ্র ব্যাপারটি ঠিক এমন ছিল না। আজকের বৃক্ষ পূর্বনির্ধারিত স্থানে। পশু পাখি সমপর্যায়ে। কিন্তু আজকের মানুষ পূর্ববর্তীতে সম্পূর্ণ ভিন্ন অবস্থায় অবস্থান করতো।
সম্প্রসারিত ভাব: মানব জন্ম বহু সাধনার ফল ।সৃষ্টিকর্তা তার শ্রেষ্ঠ সৃষ্টিকে এ পৃথিবীতে অবতরণ করেছেন মানুষ রূপে, একেবারে প্রথম দিকে মানুষ পশুবৎ আচরন করত। সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথেই নিজের মস্তিষ্ককে কাজে লাগিয়ে উন্নততর হয়ে উঠেছে সে। তার এই উন্নতির পিছনে একমাত্র কারণ চেষ্টা এবং চাহিদা। তবে একথা সত্য দুটি হাত এবং দুটি পা সহকারে মানুষের মতো দেখতে সব অবয়ব মানুষ হয় না। মানুষ তখনই সঠিক করতে মানুষ হয়ে উঠতে পারে যখন তার মধ্যে মান এবং হুশ সম্পর্কে যথাযথ ভারসাম্য থাকবে। বহু পরিশ্রম ধৈর্য সাহস চেষ্টা মধ্য দিয়ে আজ সে বর্তমান পরিস্থিতিতে নিজেকে আনতে সক্ষম হয়েছে। নিজেকে শ্রেষ্ঠতর যে হিসাবে আত্মপ্রকাশ করতে সক্ষম হয়েছে। তবে যে মানুষের মধ্যে মনুষ্যত্ববোধের বিন্দুমাত্র স্থিতাবস্থা নেই সে মানুষ নয়। মানবিক গুনগুলি মানুষকে অন্য পশুদের থেকে আলাদা করেছে। আর মানবিক গুণহীন সম্পন্ন মানুষ পশুর সমান। মনুষ্য জন্মের সার্থকতা অপরের তরে নিজেরকে উৎসর্গ করার মাধ্যমে। যে ব্যক্তি যত বেশি উদার উন্মুক্ত তার চারিত্রিক গুণাবলির বৈশিষ্ট্য তত বেশি উন্নত। সে সহজেই মানুষ রূপে সাধারণের হৃদয়ে জায়গা করে নিতে পারে। মায়া, মমতা ,ভালবাসা ,পরিশ্রম ,ধৈর্য সাহস, সহমর্মিতা এ সমস্ত কিছু একজন সঠিক অর্থে মানুষের গুণাবলী। মানুষ নিজ ক্ষমতা বলে সময়ের সাথে সাথে নিজেদের অস্তিত্বকে পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে শ্রেষ্ঠত্বের চরম শিখরে পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছে।
এই প্রাণপণ প্রচেষ্টার ফলস্বরূপ সে আজ জগত সংসারের শ্রেষ্ঠ জীব মানুষ হিসেবে নিজেকে প্রতিপন্ন করতে সক্ষম হয়েছে।
Important Link: