তুমি বসন্তের কোকিল শীত বর্ষার কেহ নও
মূলভাব: এই অদ্ভুত মায়াময় পৃথিবীতে মোহ আর লোভের বশবর্তী হয়ে এক শ্রেণীর মানুষের উদ্ভব হয়েছে যাদের কেবলমাত্র বিশেষ সময় বিশেষ ক্ষনে দৃষ্টিগোচর হয়ে থাকে।
সম্প্রসারিত ভাব: অদ্ভুত এই পৃথিবী। তার চাইতে বড় অদ্ভুত আমাদের এই সৃষ্টি। স্রষ্টা তার শ্রেষ্ঠতম সৃষ্টি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন। মানুষ নিজের হাতে সেই স্রষ্টার সৃষ্টিকে অপমানিত করেছে। এ পৃথিবীতে যেমন উদার মহৎ ব্যক্তির বিচরণ রয়েছে ঠিক তেমনভাবেই রয়েছে স্বার্থপর আত্মসচেতন ব্যক্তির। যারা সর্বদা সমাজে থেকে শুধুমাত্র আত্মসাৎ করে চলেছে। সমাজের প্রতি এদের কোন দায়বদ্ধতা নেই। নিজেদের স্বার্থ টুকু লব্ধ করার পর এরা বিমুখ হতে বিন্দুমাত্র বিলম্ব করে না। সমাজে পিছিয়ে পড়া দুস্থ নিঃস্ব রিক্ত ব্যক্তিদের পাশে এদের কখনো দেখা যায় না। সমাজের ধনী ক্ষমতাশালী ব্যক্তিদের আশপাশে এদের প্রচুর ভিড় দেখা যায়। নিজেদের স্বার্থ টুকু চরিতার্থ করার অভিপ্রায় এরা কখনো কখনো মুখোশ ধারণ করে ভালো মানুষের। সাধারণ মানুষ তখন এদের মুখোশের আড়ালে কুৎসিত বীভৎস্য মুখ ভুলে যায়। স্বার্থচরিতার্থ হওয়ার পর মুহুর্তে এরা পুনরায় এদের মুখোশ খুলে ফেলে। এরা সংকীর্ণ মনোভাবাপন্ন ব্যক্তি। কপট ও ছল চাতুরিতে প্রখর হয়ে থাকে। মানুষের বিপদে আপদে এদের কখনোই দেখা যায় না এরা বসন্তের কোকিলের মত নির্দিষ্ট সময়ের জন্য আবির্ভাব হয় আবার স্বার্থ পূরণ হয়ে গেলে ডুমুরের ফুলের মতো অদৃশ্য হয়ে যায়। এদের উপস্থিতি সর্বদা স্বার্থপরতার জানান দেয়। এ সমস্ত ব্যক্তি সমাজ তথা গোটা দেশের পক্ষে অভিশাপ স্বরূপ।
Important Link: