কর্তব্যের কাছে ভাই বন্ধু কেউ নেই | Vab Somprosaron
In this post we have given Vab Somprosaron ‘কর্তব্যের কাছে ভাই বন্ধু কেউ নেই’ for our students of Bengali medium. For any problems to understand during the time of learning or reading please comment us. Our Bengali Teacher will assist You.
মূলভাব: কর্তব্য এমন একটি পথ যা জীবনের সকল কর্মের ঊর্ধ্বে। কর্তব্যের কাছে যেকোনো সম্পর্কই তুচ্ছ। কর্তব্যই মানব ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ অধ্যায়।
সম্প্রসারিত ভাব: মানবের শ্রেষ্ঠত্ব তার কর্ম গুনে। জন্মের পর থেকে জ্ঞান হওয়া অবধি মানুষের কর্ম থাকে নিষ্পাপ। জ্ঞান হওয়ার পরবর্তীতে মানুষ তার জীবনে যত কর্ম করে তা পাপ পুণ্যের দাঁড়িপাল্লায় মাপা হয়। জ্ঞান হওয়ার পর থেকেই সে পরিবারের ছোট ছোট কর্তব্য সাধনের মধ্য দিয়ে একজন দায়িত্বপূর্ণ নাগরীকে পরিণত হয়। তারপর সমাজ তথা রাষ্ট্রের কর্তব্য গুলো সে পালন করতে শুরু করে। সঠিক কর্ম তথা কর্তব্য সাধনের মধ্য দিয়ে জীবনের সার্থক পরিণতি পাওয়া যায়। সবার আগে কর্তব্য সাধন। কর্তব্য কে পরিত্যাগ করে একজন মানুষ কখনোই তার মনুষ্যত্বের বিকাশ করতে পারেনা। সেই মানুষই শ্রেষ্ঠ যে সকল সম্পর্কের ঊর্ধ্বে গিয়ে নিজের কর্তব্য কে প্রকট করে দেখে। তুমি যেই আসনেই আসীন হও না কেন তোমার ব্যক্তিত্ব তখনই প্রকাশ পাবে যখন তুমি কর্তব্য সাধনে নিরপেক্ষতা অবলম্বন করবে।নিরপেক্ষভাবে কর্তব্য সাধন করা এক বিশাল মানবতার পরিচয়। স্বার্থ এবং লোভের মোহে সঠিক কর্তব্য পালন না করা সঠিক বিচার দান না করা মহাপাপ ।মনুষ্যত্বের মানবতার অপমান। এ অবমাননা কখনোই মেনে নেওয়ার যোগ্য নয়। মানুষ মাত্রই লোভ মোহে পরিপূর্ণ। তবে এই সমস্ত মানুষ কর্তব্যের কথা ভুলে গিয়ে নিজের ক্ষতিসাধনে লিপ্ত হয়। সেই ক্ষতি শুধু তার নিজের নয় গোটা সমাজের ।সঠিক কর্তব্য সম্পাদনের দ্বারা জীবনে প্রকৃত সুখের সন্ধান পাওয়া যায়। মানুষ সমাজবদ্ধ জীব হওয়ার দরুন সমাজের প্রতি তার দায়িত্ব ও কর্তব্য চিরকালের মতোই থাকে। তাই নিজের কর্ম কর্তব্য কে প্রাধান্য দেওয়ার সাথে সাথে অপরের কথা চিন্তা করতে হবে।
অপরের হিতে মঙ্গল সাধনে নিজের কর্তব্য কে পরিচালিত করতে হবে। সারা দিতে হবে জনকল্যাণমূলক কর্তব্যে। এমনভাবে কর্তব্য কে পর্যায়ে ভুক্ত করতে হবে যাতে জীবন সংকীর্ণ হয়ে না পড়ে। কর্তব্য সাধন করতে গিয়ে লোভের বশবর্তী হয়ে জীবনকে অন্ধকারে নিমজ্জিত না করতে হয়। মানব বৈশিষ্ট্য গুলিকে আত্মপ্রকাশ করতে হলে কর্তব্যই একমাত্র উপায়। কর্তব্যের মাধ্যমে মানব গুণগুলি প্রস্ফুটিত হয়। কর্তব্যের মাধ্যমে মানুষ নিজের জীবনের সকল দুঃখ কষ্টের সমাধান করতে সক্ষম হয়। মানব জীবনের কর্তব্য সাধনে মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। কর্তব্যকে সঠিকভাবে পালন করতে হলে সেই ব্যক্তিকে চারিত্রিক দিক থেকে সুঠাম এবং মনোবল সুগঠিত হতে হবে। বিবেকের দংশনে সর্বদা দংশিত হলে সঠিক কর্তব্য পালন করা যায় না। কর্তব্য পালন করতে হয়। জীবনে কর্তব্য পালন করতে গিয়ে অনেক দুর্বলতা আসে কিন্তু সেই দুর্বলতাকে প্রাধান্য না দিয়ে দৃঢ় হস্তে তা এড়িয়ে যেতে হয়। অটল থাকতে হয় নিজের বাক্যে। বিরোধিতা করতে হয় নিজের মানুষের সাথে। তাতে থেমে যেতে নেই মনে রাখতে হবে সঠিক কার্যসম্পাদন করার পূর্বে অনেক বাধা-বিপত্তি সম্মুখ পথ রোধ করে সেই বাধাকে নস্যাৎ করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার নাম জীবন।
Important Link: