কোথায় স্বর্গ কোথায় নরক কে বলে তাহা বহুদূর মানুষের মাঝে স্বর্গ নরক মানুষেতে সুরাসুর।
মূলভাব: ঈশ্বর সৃষ্ট এই পৃথিবী রূপ রস গন্ধে পরিপূর্ণ। ঠিক যেমনটা আমরা স্বর্গ নগরীর কল্পনা করে থাকি মনে মনে। আবার আমরা কল্পনার জগতে একটি স্থানের কল্পনা করেছি যাকে নরক নামকরণ করা হয়েছে।
সম্প্রসারিত ভাব: ইশ্বর প্রদত্ত এই জীবন অপূর্ব যার প্রতিটি অধ্যায় রয়েছে জীবনকে উপভোগ করার এক অনাবিল আনন্দ। রূপে রসে গন্ধে সর্বত্র পরিপূর্ণ। মানুষ হয়ে জন্মগ্রহণ করাটা যেন এক আশীর্বাদ স্বরূপ। নয়তো এক জীবনে পৃথিবীর এত সৌন্দর্য উপভোগ করা সম্ভব হতো না। তবে বলাই বাহুল্য এই স্বর্গ এবং নরক দুই রয়েছে মহীতে। এত আনন্দ এত অনাবিলতার মাঝেও বেশ কিছু খামতি রয়ে গেছে। কিছু মানুষ পৃথিবীতে সেই নরক নামক স্থানের সৃষ্টি করেছে। ঈশ্বর সৃষ্ট এই সুন্দর ভুভাগে কিছু মানুষ নিজেদের স্বার্থপরতার ললুপোতা লোভ কামনা বাসনার মোহ মায়া জাল নির্মাণ করেছে। মানব জন্ম লাভ করার পর মানুষকে আলাদা করে স্বর্গ নরক দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হয় না বরং সে গভীরভাবে জীবন দিয়ে উপলব্ধি করতে পারে ,এই স্বর্গ নরকের অবস্থান। যুগ যুগ ধরে নানান মনীষ ী তাদের সুকর্মের দ্বারা এই ভুভাকে স্বর্গে পরিণত করেছে। আর অপর ক্ষেত্রে কিছু স্বার্থপর মানুষ নিজেদের অন্যায় অবিচার আর পাপের দ্বারা এই ভূস্বর্গ কে নরকে পরিণত করেছেন। তাদের হৃদয় ক্রোধ মোহ লোভ ঈর্ষা কামনা বাসনা দিয়ে পরিপূর্ণ। সর্বদা নেতিবাচক পরিস্থিতির সৃষ্টিকর্তা তারা। কিন্তু যারা সৎপবিত্র তারা তাদের ইতিবাচক ধ্যান-ধারণা আর চিন্তাভাবনার বিকাশের মধ্য দিয়ে এই পৃথিবীকে সুন্দর করে তুলেছে। আর তাই স্বর্গ নরক পরিদর্শন করার জন্য আলাদা করে কোন কল্পনার জগত নির্মাণ করতে হয় না, তা আমাদের এই পৃথিবীর মাঝেই রয়েছে।