On this post we have given Vab Somprosaron ‘যাহারা এ পৃথিবীতে হয়েছেন ধন্য নিজের জন্য ভাবেনিকো ভেবেছেন পরের জন্য’ for our students of Bengali medium. For any problems to understand during the time of learning or reading please comment us. Our Bengali Teacher will assist You.
মূলভাব :মানব জন্ম বহু সাধনার ফল। বহু কৃচ্ছ্ব্বসাধনের পর মানুষ এই জন্ম লাভ করে থাকে। তাই মানব জন্মকে যথাযথ ভাবে কাজে লাগানো একান্ত প্রয়োজন। এ পৃথিবীতে অমর ব্যক্তি সর্বদা নিজের কার্যের মধ্যে দিয়ে নিজের পরিচিতি স্থাপন করেন। আর তাই কর্মই নিরূপণ করে ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব।
সম্প্রসারিত ভাব: পরের জন্য নিজের জীবন প্রবাহের গতিকে নির্ধারিত করা এক মহত্বের কাজ। মানুষ মাত্রই তার মধ্যে লোভ, কামনা-বাসনা ,হিংসা -বিদ্বেষ থাকবেই। নিজের আত্ম পরিশুদ্ধির মধ্য দিয়ে এ সমস্ত কিছুর ঊর্ধ্বে গিয়ে অপরের স্বার্থে নিজের জীবন কে উৎসর্গ করা মানব ধর্মের মূল মন্ত্র হওয়া উচিত ।পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের গতিকে যে সংযম করতে জানে, সে কখনোই জীবন যুদ্ধে হেরে যায় না ।আত্মস্বার্থ মানুষকে বারংবার বিপথে টানার চেষ্টা করে ।কিন্তু মহৎ ব্যক্তি সেই প্রবৃত্তির দ্বারা পরিচালিত হন না। যারা মহৎ তারা পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়েছেন দরিদ্র দলিত দীন মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের উপকার করার স্বার্থে। অপরের তরে নিজের প্রাণকে বিসর্জিত করার মধ্য দিয়ে আসল বেঁচে থাকার আনন্দ। বেঁচে থাকার আনন্দকে তীব্রভাবে উপভোগ করতে গেলে অপরের তরে নিজের কর্ম ,পূণ্য, মঙ্গল এ সমস্ত কিছু উৎসর্গ করা উচিত। আর যে সমস্ত মানুষেরা দ্বিতীয়বার না ভেবে অপরের বিপদে ঝাঁপিয়ে পড়েন তাদের সমাজ সভ্যতা কখনোই ভুলে যায় না। যুগের পর যুগ অতিক্রান্ত হয় ,সময় তার নিজের গতিতে চলমান। তবে সৎ মানুষের মৃত্যু নেই। যুগ যুগ ধরে যারা মানুষকে মুক্তির পথে হাঁটতে শিখিয়েছে, অশিক্ষিত কে শিক্ষাদানের মধ্য দিয়ে করেছে অস্ত্রদান। ক্ষুধার্তের মুখে জুটিয়েছে অন্নের দানা। বিপদগামী ব্যক্তির পাশে দাঁড়িয়েছে ঢাল তরোয়ালের মতো। বঞ্চিতদের জন্য অধিকারের আওয়াজ তুলেছেন।
তাদেরকে কখনোই সাধারণ মানুষ ভুলবে না ।যারা জাতি ধর্ম-বর্ণ এ সমস্ত কিছুর ঊর্ধ্বে গিয়ে মানুষের পাশে কাঁধে কাঁধে মিলিয়ে দাঁড়িয়েছেন তারা অমর। স্বার্থের জন্য এরা কখনোই কিছু করেনা ।তাই সাধারণ মানুষ ও নিঃস্বার্থভাবেই তাদের ভালোবেসে যায় ।আর যুগ যুগ ধরে তাদের অস্তিত্বকে বাঁচিয়ে রাখে। অপরপক্ষে যারা শুধুমাত্র নিজের স্বার্থ সুখে বিভোর থাকেন নিজের সুখ টুকু নিংড়ে নিতে জঘন্য থেকে জঘন্যতর কাজে নিজেদেরকে লিপ্ত রাখেন। স্বার্থ ফুরিয়ে গেলে মানুষকে অবহেলা আর অবজ্ঞার চাদরে মুড়িয়ে দেয়, আর যাই হোক তারা মানুষ বলে গণ্য হয় না। তাদের মধ্যে এমন কোন প্রকার মানবিক গুণ নেই যে তারা মানুষ বলে নিজেদের দাবি করতে পারবেন। আর তাই কালের প্রবাহে তারা ধ্বংস হন ।এই সমাজ তাদের চায় না। সৎ নিঃস্বার্থ ব্যাক্তিদের এই পৃথিবীতে আসার ফলে পৃথিবী ধন্য হয়েছে। কারণ তাদের প্রতিটি কাজে মানব স্বার্থ লুক্কায়িত, আত্মস্বার্থ নয়।
Also See: More Topic like this