On this post we have given Vab Somprosaron ‘যৌতুক প্রথা এক সামাজিক ব্যাধি’ for our students of Bengali medium. For any problems to understand during the time of learning or reading please comment us. Our Bengali Teacher will assist You.
মূলভাব: মানুষ বড় স্বার্থপর প্রাণী নিজের সুবিধার্থে সে যুগ যুগ ধরে নানা প্রথা রীতি-নীতি সামাজিক আচার অনুষ্ঠান গুলিকে পরস্পর সাজিয়ে পালন করে আসছে। তার মধ্যে যৌতুক বা পন প্রথা একটি জঘন্যতম সামাজিক ব্যাধি। জঘন্যতর এক প্রথা যার জন্য বলি হয় হাজার হাজার প্রাণ। মানুষ দাবি রাখে সে সভ্য ।কিন্তু যথাস্থানে সে সভ্যতার মহিমাকে তুরি মেরে উড়িয়ে দিয়ে মধ্যযুগীয় বর্বরতার উস্কানি দেয়। তাই শিক্ষা হোক আভ্যন্তরীণ। যে শিক্ষার দ্বারা মানুষ সম্পূর্ণভাবে নিজেকে ঢেলে সাজানোর সুযোগ পাবে। এই অযৌক্তিক প্রথা রীতিনীতি আর আচার থেকে মুক্ত হয়ে গড়ে উঠবে এক উদার সমাজ।
সম্প্রসারিত ভাব: সমাজে আর পাঁচটা প্রচলিত প্রথার মত বিবাহ একটি প্রথা, যার মাধ্যমে নারী এবং পুরুষের মনের মিলন ঘটে। এতে একটি সংসার স্থাপনের মধ্য দিয়ে একে অপরের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি বদ্ধ হয়ে সারা জীবন প্রতিজ্ঞা বদ্ধ থাকে। একটি সংসার স্থাপনের মধ্যে নারীর যতটা ভূমিকা ঠিক সমপরিমাণ ভূমিকা পুরুষের থাকে। কেউ কারোর চাইতে কম নয় অথবা বেশি নয়। কারণ এক্ষেত্রে উভয়ই একে অপরের পরিপূরক। কিন্তু এক্ষেত্রে সমাজে বিবাহ কালে এক অদ্ভুত রীতি প্রচলিত রয়েছে ।যে রীতিতে কন্যাদায়গ্রস্ত পিতা মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে পাহাড় প্রমাণ অর্থ এবং যৌতুক দিয়ে থাকেন। নিজের অস্তিত্ব বিলীন করে শুধুমাত্র মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে।এতটুকু বুঝতে তাদের সারা জীবন লেগে যায় যে ,সংসারের ভিত্তি যৌতুক দ্বারা নয় সুখ দ্বারা স্থাপিত হয়। সম্পর্কের সূচনা যদি অর্থের মাহাত্ম্যকে প্রাধান্য দিতে থাকে তবে বুঝতে হবে সেখানে মানুষ নয় মনুষ্যত্ব নয় বরং সম্পর্কের কেনাবেচা হয়। আর এখানেই কন্যা দায়গ্রস্থ সেই পিতারা বারংবার ভুল করেন। নিজের মেয়ের সুখ টুকু কড়ি দিয়ে কিনতে চান। যা সঠিক নয়।
যা সঠিক নয়। ভালোবাসা কখনো টাকা পয়সা দিয়ে কেনা যায় না। ভালোবাসা এক নির্মল আনন্দ ।যার ছোঁয়ায় দুটি হৃদয় পরিপূর্ণতা লাভ করে ।বাহ্যিক কোন সুখ তাদেরকে স্পর্শ করার অনুমতি পায় না। যৌতুক প্রদান এক্ষেত্রে এক ভুল সিদ্ধান্ত। এই বন্য প্রথার কবলে পড়ে শত কোটি মুখ আজ অদৃশ্য। অত্যাচার আর নিপীড়নের বিভীষিকায় তারা ক্লান্ত হয়ে মিলিয়ে গেছে। আমাদের তাও শিক্ষা হয় না। এ জঘন্যতম অপরাধ আমরা তাও করে চলেছি ।অবুঝের মত ।মনে রাখতে হবে অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে তব ঘৃণা যেন তারে তৃণ সম দহে। পণ প্রথা তখনই উচ্ছেদ হবে যখন আমরা সক্রিয়ভাবে নিজেদেরকে এই প্রথা উন্মোচনের ব্যাপারে নিয়োজিত করব। পন দানকারী এবং গ্রহণকারী উভয় ব্যক্তির কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তি প্রদান করা উচিত। শুরুটা হোক নিজেদের ঘর থেকে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হোক প্রতিটি বাবা পণের একটি টাকা না দিয়ে মেয়ের শিক্ষা আর শখের প্রয়োজনে সেই টাকা ব্যয় করবেন। নারী স্বাবলম্বী হলে তবেই এই ঘৃণ্যতম অপরাধ কমতে বাধ্য ।সমাজ সচেতন না হলে এ বিষাক্ত করাল থাবা থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব নয়। তাই সামাজিক সচেতনতার সাথে সাথে ব্যক্তি সচেতনতা একান্তভাবে প্রয়োজন।
Also See: More Topic like this