On this post we have given Vab Somprosaron ‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলো রে তবে একলা চলো একলা চলো রে’ for our students of Bengali medium. For any problems to understand during the time of learning or reading please comment us. Our Bengali Teacher will assist You.
মূলভাব: এ পৃথিবীতে মায়ের হাত ধরে সৃষ্টির রস আস্বাদন করার সুযোগ পাই আমরা। তার ছত্রছায়ায় নিজেকে বড় করে তুলি জীবনের একটা সীমিত সময় পর্যন্ত। তারপরে শুরু হয় কর্মজীবন যে জীবন মানুষকে নিজের পরিচিতি গঠনের সুযোগ দেয়।
সম্প্রসারিত ভাব: মানুষ তার জীবনে কর্ম সম্পাদনের মধ্য দিয়ে নিজস্বতা গঠন করে কর্ম দু প্রকারের হয়ে থাকে এক প্রকার সৎ কল্যাণময় সৃষ্টাত্মক। যে কর্মে মানুষ নিজেকে নিয়োজিত করে সমাজের সকল কলুষতাকে দূরীভূত করার আপ্রাণ চেষ্টা করে। এ পথে বাধা-বিপত্তি প্রবল। এ পথে স্বার্থের কোন মোহ থাকে না। সকল কর্ম অপরের উদ্দেশ্যে সাধিত হয়, অপরের স্বার্থসিদ্ধি নিজের মঙ্গলময়তার বাণী বয়ে নিয়ে আসে। আর অপর পক্ষের মানুষেরা যারা নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করার প্রচেষ্টায় সর্বদা আত্ম নিয়োজিত করে থাকে। তাদের কর্ম কোনো না কোনো উদ্দেশ্যের জন্যই সাধিত হয়। যারা শুধু নিজেদের ভালো আর সুবিধার কথা ভাবেন। অসৎ পথে খুব তাড়াতাড়ি সফলতার বার্তা আসে কিন্তু সেই সফলতা চিরস্থায়ী হয় না। অল্প আঘাতেই সে ব্যক্তির বানানো রাজপ্রাসাদ ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। এ পথে অনেক ভিড় বহু মানুষ চারিপাশে লক্ষ্য করা যায় কিন্তু তারাও কোন না কোন স্বার্থের উদ্দেশ্যেই কেন্দ্রীভূত হয়। সৎ পথে ভিড় কম হয়তো কখনো কখনো পরিমাণ শূন্য। কিন্তু সেই মুহূর্তে পিছিয়ে এনে চলবে না কারণ সৎপথে চলার জন্য আভ্যন্তরীণ শক্তির প্রয়োজন যে শক্তির প্রবণতায় সকল প্রকার নেতিবাচক প্রভাব দূরীভূত হবে। সৎকর্মের জন্য নিজের পাশে যদি কোন মানুষ না থাকে তবে সেই কর্মযজ্ঞে একা নিরলস ভাবে যোগদান দেওয়াই মহানতার লক্ষণ। সৎ ব্যক্তির পাশে খুব কম মানুষ এসে দাঁড়ায় বেশিরভাগ সময়ই তাদের একা পথ চলতে হয়।
তা বলে তারা কখনোই কর্মযজ্ঞ থেকে বিরতি নেন না নিশ্চুপ থেকে নিজেদের কাজ করে চলেছেন অবিরত। তাই আজও সমাজ সভ্যতা অক্ষুন্ন। কখনো কখনো চলার পথে তাদের বহু বিপর্যয় ধরা দেয় তারা কখনো সেই বিপর্যয়কে বাধা স্বরূপ না দেখে অভিজ্ঞতার সঞ্চয় ঘটান এবং আগামীতে পথ চলার জন্য পুনর্বার উঠে দাঁড়ান।