On this post we have given Vab Somprosaron ‘যে স্বভাব গঠনের চেষ্টা করে , চিন্তা কর, সে এবাদত করে’ for our students of Bengali medium. For any problems to understand during the time of learning or reading please comment us. Our Bengali Teacher will assist You.
মূলভাব: মানুষ সমাজে ভগবানের সৃষ্টি করা শ্রেষ্ঠ জীব ।আর তার মানবিক গুণগুলি তাকে বাকি জীবেদের থেকে আলাদা করে শ্রেষ্ঠত্বের পর্যায়ে আসীন করেছে।
সম্প্রসারিত ভাব: মানবিক গুনসম্পন্ন ব্যক্তি এ পৃথিবীর বুকে আশীর্বাদ স্বরূপ। যারা সৎকর্ম সৎ চিন্তা আর ধ্যান ধারণায় আজও সমাজ সভ্যতাকে টিকিয়ে রেখেছে। তাদের চিন্তাশক্তি গোটা বিশ্বকে আশীর্বাদ প্রদান করছে । এরূপ ব্যক্তি সমাজ তথা গোটা দেশের ভবিষ্যৎ ।যাদের উন্নত চরিত্র এবং চারিত্রিক দৃঢ়তা এক অসীম শক্তির সঞ্চার করে পথ চলার পাথেয় হয়ে দাঁড়ায় ।তাদের অধ্যাবসায়, স্বভাব চরিত্র গঠনের পরিশ্রম তাদেরকে যথাযথ মূল্য দিয়ে থাকে ।নিজের আভ্যন্তরীণ গুণাবলী বিকাশ করবার জন্য যেকোনো ব্যক্তিকে সৎকর্ম চিন্তা ও ধ্যান ধারণার পথ অনুসরণ করতেই হবে। মানব জন্মের পরেই নিজের চরিত্র গঠনের যে সময়কাল সেই সময়কালের ওপরে কাজ করতে হবে। তবেই একটা পরিণত মানুষ গড়ে উঠবে। মানুষের ব্যক্তিত্বের প্রকাশ পায় তার কর্মে চরিত্রে ।মানুষের কর্মই পরবর্তীকালে তার পরিচিতি বহন করে । সুকর্মের ফল সর্বদা ইতিবাচক এবং কুকর্মের ফল সর্বদা নেতিবাচক হয়। তাই মানুষের স্বভাব গঠনের কাজের এই মহাযঞ্জ শুরু হয় ঘর থেকেই, কৈশোর থেকেই । মনে রাখতে হবে যে ব্যক্তি সৎ কর্মের দ্বারা মানুষের কল্যাণ সাধন করে। সে আসলে ঈশ্বর সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছে। কারণ সকল মানবের অন্তরে ঈশ্বরের বসবাস। যে ব্যক্তি সঠিক কর্মের মধ্য দিয়ে মানবের তরে নিজের স্বার্থকে উৎসর্গ করে সে নিজের বদ গুণ যথা ক্রোধকে ঈশ্বরের পায়ে সমর্পিত করে , সেই দৃঢ় চরিত্র ও স্বভাব গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। মানব জন্মের সঠিক সার্থকতা সেখান থেকেই শুরু।
মানুষকে যেহেতু তার কর্মের দ্বারাই পরিচিতি গঠন করতে হয় তাই নিজের স্বভাব গঠনের কাজটা তাকে আগেই সেরে ফেলতে হবে কারণ স্বভাব সঠিকভাবে গঠন হলে সঠিক কর্ম সাধন হবে এবং সঠিক কর্ম সাধনের মধ্য দিয়ে সুপরিচিতি লাভ সম্ভব।