Tripura Board (TBSE) Class 6 Bengali Question Answer solutions Chapter 2 তালগাছ
Complete solutions for the chapter 2 of class 6 Bengali of Tripura state education board (TBSE) Tripura Board of Secondary Education is given in this post. The solutions are made by our team of expert teachers. This will help the students in getting maximum scores in examination.
তালগাছ
শব্দার্থ লেখো:
১। দাঁড়িয়ে দন্ডায়মান হয়ে।
২। সব- সকল
৩। গাছ- বৃক্ষ
৪। ছাড়িয়ে- ছেরে গিয়েছে
৫। উঁকি- লুকিয়ে লুকিয়ে দেখা
৬। উড়ে- ভেসে
৭। কোথা- কোথায়
৮। পাখা -ডানা
৯। মাথাতে- ওপরে
১০। গোল গোল-
১১। পাতা- পত্র
১২। ইচ্ছা- আকাঙ্খা
১৩। মেলে- ছড়িয়ে
১৪। ভাবে- মনে করে
১৫। বাসাখানি- ঘরখানি
১৬। ফেলে- রেখে
১৭। সারাদিন- সবসময়
১৮। থখর – কাঁপা
১৯। কাঁপে- নড়ে
২০। তারাদের- নক্ষত্রদের
২১। এড়িয়ে- দূরে থাকা
২২। যেই – যে
২৩। মা- মাতৃ
২৪। পৃথিবী – ধরণী
২৫। কোনটি- প্রান্তটি
১। অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর লেখো:
ক) ‘তালগাছ’ কবিতাটি কার লেখা?
উত্তর: ‘তালগাছ’ কবিতাটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা।
খ) ‘তালগাছ’ কবিতাটি কোন্ কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে?
উত্তর:’তালগাছ’ কবিতাটি ‘শিশু ভোলানাথ’ কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে।
গ) ‘একপায়ে দাঁড়িয়ে’ কে একপায়ে দাঁড়িয়ে আছে?
উত্তর:’একপায়ে দাঁড়িয়ে’ – কবিতাটিতে তাল গাছ একপায়ে দাঁড়িয়ে আছে।
ঘ) তালগাছ কোথায় উঁকি মারে?
উত্তর:তালগাছ আকাশের দিকে উঁকি মারে।
ঙ) কার মনে, কী সাধ রয়েছে?
উত্তর:তালগাছের মনে, কালো মেঘ ফুরে তারার দেশ এড়িয়ে যাওয়ার সাধ জাগে।
চ) তালগাছ উড়তে পারে না কেন?
উত্তর:তাল গাছের ডানা নেই তাই তালগাছ উড়তে পারে না ।
ছ) তালগাছের পাতা কোথায় থাকে?
উত্তর: তালগাছের পাতা গাছের সবচেয়ে উপরে গাছের মাথায় থাকে ।
জ) ‘ইচ্ছাটি মেলে তার”-‘তার’ বলতে কার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: ‘ইচ্ছাটি মেলে তার”-‘তার’ বলতে তাল গাছের কথা বলা হয়েছে।
ঝ) কার, কী ইচ্ছাটি মেলার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর:এই কবিতায় তালগাছের ইচ্ছার কথা বলা হয়েছে। তালগাছের ইচ্ছা যে সে কালমেঘ ভেদ করে তারাদের দেশে যাবে।
ঞ) তালগাছ মনে মনে কাকে ডানা ভাবে?
উত্তর: তালগাছ মনে মনে তার পাতাগুলোকেই ডানা ভাবে ।
ট) “ভালো লাগে আরবার”- কার, কী ভালো লাগে?
উত্তর: এখানে তালগাছের আবার পৃথিবীর কোনটিকেই ভালো লাগে।
ঠ) ‘তালগাছ’ কবিতায় কাকে মায়ের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে?
উত্তর:’তালগাছ’ কবিতায় মাটিকে মায়ের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
ড) “ফেরে তার মনটি”- কখন এই অবস্থা হয়?
উত্তর:যখন হাওয়া চলছিল তখন সে নিজেকে তারাদের দেশে ঘুরতে নিয়ে গেছিল মনে মনে কিন্তু হাওয়া কমে যাওয়ায় আবার সে মাটির বুকে ফিরতে চায়।
ঢ) “ফেরে তার মনটি” কার মন কোথায় ফিরতে চায়?
উত্তর:”ফেরে তার মনটি” হাওয়া কমে গেলে তালগাছের মনটি আবার তার মায়ের বুকে ফিরতে চায়।
ন) “হাওয়া যেই নেমে যায়”-হাওয়া কমে গেলে কী হয়?
উত্তর:”হাওয়া যেই নেমে যায়”-হাওয়া কমে গেলে তালগাছের আকাশচারী মনটি আবার মাটির বুকে ফিরে যায়।
ত) তালগাছ কাদের এড়িয়ে অন্য কোথাও উড়ে যাবে?
উত্তর: তালগাছ তারাদের এড়িয়ে অন্য কোথাও উড়ে যাবে ।
থ) “কাঁপে পাতা পত্তর”- কখন পাতা কাঁপে?
উত্তর:যখন ঝড় আসে তখন পাতা কাঁপে।
দ) “বাসাখানি ফেলে তার”-এখানে কার বাসার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর:এখানে তালগাছের বাসার কথা বলা হয়েছে। যখন তালগাছ তার নিজের গোল গোল পাতা গুলোকে ডানা ভাবে তখন সে তার বাসা ফেলে উড়ে যাবার কথা ভাবে ।
ধ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কবে, কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর:রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৬১ খ্রিস্টাব্দের ৭ই মে কলকাতার জোড়াসাঁকোতে ঠাকুর পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন।
২। রচনাধর্মী প্রশ্ন:
ক) “কালো মেঘ ফুঁড়ে যায়;
একেবারে উড়ে যায়-“
অ) লাইনটি কোন্ কবিতার?
আ) কবির নাম কি?
ই) কোন্ সময় তালগাছের আকাশে উড়ার সাধ হয়?
ঈ) তালগাছ উড়তে না পারলেও একথা বলার কারণ কী?
উত্তর: অ) লাইনটি ‘তালগাছ’ কবিতার অংশ।
আ) কবিতাটির কবির নাম হল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
ই) আকাশ যখন কালো মেঘে ছেয়ে যায় এবং প্রবল বাতাস বইতে থাকলে তালগাছের আকাশে ওড়ার সাধ হয়।
ঈ) বাস্তবিক পক্ষে তালগাছ আকাশে উড়তে পারে না। এখানে কবি বলেছেন, প্রবল বাতাসে তালগাছের মাথার ওপরের কাঁপতে থাকা পাতাগুলিকে তালগাছ ডানা হিসেবে কল্পনা করে। এই ডানা মেলে সে কালো মেঘ ফুঁড়ে তারার দেশ এড়িয়ে আকাশে বেড়াতে চায়।
খ)”উড়ে যেতে মানা নেই বাসা খানি ফেলে তার।”
অ) কার, কোন্ কবিতার অংশ?
আ) কে, কেন বাসা ফেলে উড়ে যেতে চায়?
উত্তর:অ)”উড়ে যেতে মানা নেই বাসা খানি ফেলে তার।” লাইনটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘তালগাছ’ কবিতার অংশ।
আ)এখানে তালগাছের উড়ে যাবার কথা বলা হয়েছে। যখন প্রবল বেগে বাতাস বইতে থাকে তখন সে তার গোল গোল পাতাগুলোকে ডানা ভাবে এবং তালগাছের ইচ্ছা হয় সে বাসা ফেলে উরে যাবে আকাশে।
গ) হাওয়া যেই নেমে যায়,
পাতা কাঁপা থেমে যায়,”
অ) কার লেখা, কোন কবিতার অংশ?
আ) হাওয়া থেমে গেলে তালগাছের ওড়াও থেমে যায় কেন?
উত্তর: অ) ওপরের লাইনটি কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘তালগাছ’ কবিতার অংশ।
আ) যখন আকাশ কালো মেঘে আচ্ছন্ন হয়ে থাকে এবং প্রবল বেগে বাতাস বইতে থাকে তখন তাল গাছের গোল গোল পাতাগুলি কাঁপতে থাকে, এই অবস্থায় তালগাছ উরে যেতে চায় আকাশ পানে কিন্তু যখন ঝর কমে যায় তখন পাতার কাঁপুনির সঙ্গে সঙ্গে যেন তালগাছের ওড়াও থেমে যায় ।
ঘ) “ভালো লাগে আরবার পৃথিবীর কোণটি।”
অ) উদ্ধৃতাংশটি কোন্ কবির, কোন্ কবিতার অংশ?
আ) কার কাছে, কেন আরবার পৃথিবীর কোণটি ভালো লাগে?
উত্তর:অ)উদ্ধৃতাংশটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের, ‘তালগাছ’ কবিতার অংশ ।
আ) এখানে তালগাছের কথা বলা হয়েছে। ঝর চলাকালীন তালগাছের যে মনটি দূরদূরান্তে তারাদের ভেদ করে আকাশে উড়ে যাওয়ার ইচ্ছা মনে পুষেছিল আবার সেই তাল গাছই ঝর কমে যাওয়ার সাথে সাথে তার মাতৃভূমি পৃথিবীর কোনটিতেই থাকতে চায় ।
ঙ) “সারা দিন ঝরঝর থখর কাঁপে পাতা পত্তর।”
অ) আলোচ্য অংশটি কোন্ কবিতার, কবির নাম কি?
আ) এখানে তালগাছ কোনদিনের কথা ভাবছে?
উত্তর:অ) আলোচ্য অংশটি ‘তালগাছ’ কবিতার, কবির নাম হল – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
আ) এখানে তালগাছ সেদিনের কথা ভাবছিল যেদিন খুব ঝড় হয়েছিল। হাওয়ায় তাল গাছের পাতাগুলো থর থর করে কাঁপছিল । তার মনে সাধ জেগেছিল পাখির মত উড়ে যাওয়ার ।
৩। পাঠ্যাংশের ব্যাকরণগত প্রশ্নের উত্তর লেখো:
ক) পদ পরিবর্তন করো:
কাঁপা – কম্পন
আকাশ- আকাশি
ভাব- ভাবিত
এক- একক
কোণ- কৌণিক
সাধ- সাধিত
মাটি- মেটে
খ) বিপরীত শব্দ লেখো:
থামা -চলা
ঠিক- ভুল
সারাদিন- সারারাত
আকাশ- পাতাল
দাঁড়িয়ে- বসে
তারপরে- পূর্বে
পায়ে- হাতে
নেমে-উঠে
যায়- আসে
কালো- সাদা
গ) বাক্য রচনা করো:
ইচ্ছা : আমার ইচ্ছা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হবো।
কোণ: সে এক কোণে দাড়িয়ে আছে।
পাখা: মন চায় পাখা মেলে উড়ে যাই বহুদূরে।
বেড়িয়ে:চল বেড়িয়ে আসি পাহাড় থেকে।
কালো:ঘন কালো মেঘে আকাশ ছেয়ে গেল।
মেঘ: মেঘের অনেক আকৃতি দেখতে পাওয়া যায় ।
ইচ্ছা:তালগাছটির ইচ্ছা ছিল সে পাখির মত উড়ে যাবে।
তারা:আকাশে তারায় ভরে গেছে।
সাধ:আমার ছোট বেলার সাধ আমি পাহাড়ে ঘুরতে যাব ।
একপায়ে: আমরা এক পায়ে অনেক্ষন দাড়িয়ে থাকতে পারি না ।
আকাশে: আকাশে নানা রঙের পাখি উড়তে দেখা যায় ।
মনে মনে:মনে মনে আমি অনেক কিছুই ভাবি।
তারাদের:জোনাকি তারাদের মত জ্বল জ্বল করে ।
সারাদিন:রাম সারাদিন বই পড়ে ।
ঘ) শুদ্ধ রূপটি লেখো:
মাটী / মাটি/ মাঠি
=মাটি
ইচ্ছা / ইচ্ছা / ইচ্ ছা
=ইচ্ছা
ঝরজর / ঝর্ঝর্ / ঝরঝর
= ঝর্ঝর্
আড়বার / আরবার/আরবার
= আরবার
দাঁড়িয়ে/ দারিয়ে/ দাঁড়ীয়ে
= দাঁড়িয়ে
বাসাখানী / বাসাখানি / বাযাখানি
= বাসাখানি
আকাশ / আকাস/আকাষ
= আকাশ
ঙ) পদ নির্ণয় করো:
আকাশ- বিশেষ্য
তালগাছ-বিশেষ্য
মা-বিশেষ্য
ভালো- বিশেষণ
কালো-বিশেষণ
চ) পদান্তর করো:
সাধ- সাধ্য
কোণ- কৌণিক
দিন-দৈনিক
আকাশ – আকাশি
গাছ -গেছো
৪। পদ্যাংশটি পড়ো এবং নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও:
মনে মনে আকাশেতে বেড়িয়ে
তারাদের এড়িয়ে
যেন কোথাও যাবে ও।
তারপরে হাওয়া যেই নেমে যায়,
পাতা-কাঁপা থেমে যায়,
ফেরে তার মনটি
যেইভাবে, মা যে হয় মাটি তার,
ভালো লাগে আরবার
পৃথিবীর কোণটি।।
ক) একটি বাক্যে উত্তর দাও:
১। “ভালো লাগে আরবার পৃথিবীর কোণটি।।”- কোন্ কবিতার অংশ?
উত্তর:রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘তালগাছ’ কবিতার অংশ।
২। তালগাছের মন কখন ফিরে আসে?
উত্তর: তালগাছের মন ঝড় থেমে গেলে ফিরে আসে।
৩। তালগাছের কী ভালো লাগে?
উত্তর:তালগাছের পাখির মত উড়ে যেতে ভাল লাগে ।
৪। ‘মা’ কাকে বলা হয়?
উত্তর:এই কবিতায় মা বলতে মাটিকে বোঝানো হয়েছে।
৫। পাতা-কাঁপা থেমে যাওয়ার কারণ কী?
উত্তর:ঝড় থেমে যাওয়ার কারনে পাতা- কাঁপা থেমে যায়।
৬। কাদের এড়িয়ে তালগাছ আকাশে বেড়াতে চায়?
উত্তর:তারাদের এড়িয়ে তালগাছ আকাশে বেড়াতে চায় ।
খ) সঠিক উত্তর নির্বাচন করো:
১। ভালো লাগে আরবার
(ক) পৃথিবীর কোণটি
(খ) ঘরের কোণটি
(গ) দেশকে
(ঘ) তালগাছ
উত্তর:(ক) পৃথিবীর কোণটি
২। ‘মাটি’ কে হয়?
(ক) পিতা
(খ) পুত্র
(গ) মা
(ঘ) ভ্রাতা
উত্তর:(গ) মা
৩। হাওয়া যেই –
(ক) থেমে যায়
(খ) নেমে যায়
(গ) চলতে থাকে
(ঘ) দ্রুত গতিতে প্রবাহিত হয়
উত্তর: (খ) নেমে যায়
গ) শূন্যস্থান পূরণ করো:
১। …………..কাঁপা থেমে যায়।
উত্তর: পাতা ।
২। মা যে হয় ………….তার।
উত্তর: মাটি ।
৩। …………..কোণটি।
উত্তর: পৃথিবীর ।
ঘ) শুদ্ধ ও অশুদ্ধ বাক্যটি নির্বাচন করো:
১। তারাদের এড়িয়ে যেন কোথা যাবে ও।
উত্তর:শুদ্ধ।
২। যেইভাবে পিতা যে হয় মাটি তার।
উত্তর:অশুদ্ধ ।
৩। আকাশেতে বেড়িয়ে তারাদের এড়িয়ে।
উত্তর:শুদ্ধ।
৫। নীচের অনুচ্ছেদটি পড়ো এবং প্রশ্নগুলির উত্তর লেখো:
১৯০১ খ্রিস্টাব্দে রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনে ‘ব্রহ্মচর্য বিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীকালে এই প্রতিষ্ঠানটি পরিণত হয় ‘বিশ্বভারতী বিদ্যালয়’-এ। ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে ‘গীতাঞ্জলি’ কাব্যের ইংরেজি অনুবাদের জন্য তিনি ‘নোবেল’ পুরস্কার লাভ করেন। জালিয়ানওয়ালাবাগের নির্মম হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে রবীন্দ্রনাথ ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ সরকারের দেওয়া ‘নাইট’ উপাধি ত্যাগ করেন। তাঁর কয়েকটি উপন্যাসের নাম ‘চোখের বালি’, ‘নৌকা ডুবি’, ‘যোগাযোগ’, ‘চার অধ্যায়’ ইত্যাদি।
ক। রবীন্দ্রনাথ কবে, কোথায় ‘ব্রহ্মচর্য বিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তর:১৯০১ খ্রিস্টাব্দে রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনে ‘ব্রহ্মচর্য বিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠা করেন।
খ। রবীন্দ্রনাথ কবে, কোন্ কাব্যের জন্য’ নোবেল’ পুরস্কার লাভ করেন?
উত্তর:১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে ‘গীতাঞ্জলি’ কাব্যের ইংরেজি অনুবাদের জন্য রবীন্দ্রনাথ ‘নোবেল’ পুরস্কার লাভ করেন।
গ। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কেন ব্রিটিশ সরকারের দেওয়া ‘নাইট’ উপাধি ত্যাগ করেন?
উত্তর: জালিয়ানওয়ালাবাগের নির্মম হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে রবীন্দ্রনাথ ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ সরকারের দেওয়া ‘নাইট’ উপাধি ত্যাগ করেন।
ঘ। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা দুটি উপন্যাসের নাম লেখো।
উত্তর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা দুটি উপন্যাস হল ‘চোখের বালি’, ও ‘নৌকা ডুবি’।
ঙ।’ব্রহ্মচর্য বিদ্যালয়’ পরবর্তীকালে কি নামে পরিচিতি লাভ করে?
উত্তর:’ব্রহ্মচর্য বিদ্যালয়’ পরবর্তীকালে ‘বিশ্বভারতী বিদ্যালয়’ নামে পরিচিতি লাভ করে ।
Text Book Solutions
১। অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নঃ
ক। ‘তালগাছ’ কবিতাটি কার লেখা?
উত্তর: ‘তালগাছ’ কবিতাটি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা।
খ। তালগাছ কোথায় উঁকি মারছে?
উত্তর: এই কবিতায় তালগাছ আকাশে উঁকি মারছে।
গ। তালগাছের পাতা থর্থর্ করে কাঁপল কেন?
উত্তর:প্রবল বেগে ঝড় হওয়ায় তালগাছের পাতা থর্থর্ করে কাঁপল ।
ঘ। তালগাছের মনের ইচ্ছাটি কী?
উত্তর:তালগাছের মনের ইচ্ছাটি হল ঘন কাল মেঘ ভেদ করে তারাদের এরিয়ে সে আকাশে যাবে ।
৫। তালগাছের পাতার কাঁপুনি বন্ধ হয়ে গেল কেন?
উত্তর: ঝড় থেমে যাওয়ার কারনে তালগাছের পাতার কাঁপুনি বন্ধ হয়ে গেল ।
চ। ‘পৃথিবীর কোণটি’কে শেষপর্যন্ত তালগাছের কেমন লাগল?
উত্তর: ‘পৃথিবীর কোণটি’কে শেষপর্যন্ত তালগাছের আশ্রয়দাত্রি মায়ের মত লাগলো ।
ছ। তালগাছ কোথায় বেড়াতে চেয়েছিল?
উত্তর:তালগাছ তারাদের এড়িয়ে মহাকাশে বেড়াতে চেয়েছিল ।
জ। তালগাছের কীসে মানা নেই?
উত্তর: তালগাছের উড়ে যেতে মানা নেই ।
ঝ। তালগাছ কী ফুঁড়ে উড়ে যেতে চেয়েছে?
উত্তর: তালগাছ কালো মেঘ ফুঁড়ে উড়ে যেতে চেয়েছে ।
ঞ। তালগাছ ক-পায়ে দাঁড়িয়ে আছে বলে কবিতায় লেখা হয়েছে?
উত্তর:তালগাছ এক-পায়ে দাঁড়িয়ে আছে বলে কবিতায় লেখা হয়েছে।
২। রচনাধর্মী ও বিষয়মুখী প্রশ্নঃ
ক। “গোল গোল পাতাতে ইচ্ছাটি মেলে তার”
– কবি ও কবিতার নাম লেখো।
– গোল গোল পাতাতে কার কী ইচ্ছাটি মেলা হয়েছে?
উত্তর:- উদ্ধৃতাংশের কবির নাম রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর; কবিতার নাম ‘তালগাছ’।
গোল গোল পাতাতে তালগাছের ইচ্ছাটি মেলা হয়েছে।
তালগাছের ইচ্ছে হল পৃথিবীর বুকে তার বাসাখানি ফেলে সে অসীম আকাশে উড়ে যাবে। আকাশের বুকে ভাসমান কালোমেঘ তার পথের বাধা হতে পারবে না। সে এই মেঘ ফুঁড়েই একেবারে উড়ে যাবে। সে আকাশের নক্ষত্রমণ্ডলকে এড়িয়ে অনেক দূরে অজানা ঠিকানায় পাড়ি দেবে।
খ। “ওড়ে যেন ভাবে ও,”
কোন্ কবিতায় কার সম্পর্কে এই কথা বলা হয়েছে?
– সে কী ভেবেছে?
উত্তর:- ওপরের লাইনটি রবিন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘তালগাছ’ কবিতার অংশ। এই কবিতায় তালগাছ সম্পর্কে এই কথা বলা হয়েছে।
এখানে তালগাছ মনে মনে ভাবে সে যদি উড়তে পারত তাহলে সে ঘন কালো মেঘকে ভেদ করে নক্ষত্রমণ্ডল কে ফাঁকি দিয়ে অজানা উদ্দেশ্যে পারি দিত। মহাকাশে বেড়াতে যেত সে।
গ। “মা যে হয় মাটি তার, মাটি কী করে মা হয় তা সংক্ষেপে লেখো।
উত্তর: “মা যে হয় মাটি তার, এই লাইনটি রবিন্দ্রনাথ এর ‘তালগাছ’ কবিতার অংশ । মা আমাদের সকলের জন্মদাত্রী। মায়ের থেকেই সকলে আমরা সৃষ্টি হয়েছি। আমাদের সকলের সৃষ্টি যেমন মায়ের থেকেই হয় ঠিক তেমনই এই পৃথিবীতে সকল প্রানের উৎসই হল মাটি। এই কবিতার তাল গাছটির জন্ম সেই মাটি থেকেই । তাই এই কবিতায় মাটির সাথে মাকে তুলনা করা হয়েছে।
ঘ। ‘তালগাছ’ কবিতাটির বিষয়বস্তু সংক্ষেপে লেখো।
উত্তর: ‘তালগাছ’ কবিতাটি কবিগুরু রবিন্দ্রনাথ এর লেখা। এই কবিতায় কবি তালগাছের মনের ইচ্ছাকে তুলে ধরেছেন। কবিমন তালগাছের গোলপাতাগুলোকে তার ডানা মনে করেছেন। তালগাছের যদি ওরার ক্ষমতা থাকত তাহলে সে কালো মেঘের বাধাকে অতিক্রম করত। নক্ষত্র মণ্ডল কে ফাঁকি দিয়ে সে দূর দূরান্তে পাড়ি দিত । কিন্তু বাস্তব জগতে তালগাছের ওড়ার ক্ষমতা নেই। তাই তার একমাত্র ঠিকানা মাটির বুকে পৃথিবীর এক প্রান্তে। সেখানেই সে ভালবেসে কাটিয়ে দেয় বছরের পর বছর ।
ঙ। ‘তালগাছ’ কবিতায় তালগাছের মনের সাধ ও ভাবনাগুলি সংক্ষেপে লেখো।
উত্তর: ‘তালগাছ’ কবিতাটি কবিগুরু রবিন্দ্রনাথ এর লেখা। কবি এই কবিতায় তালগাছের মনের সাধকে তুলে ধরেছে। তালগাছের মনের সাধ যে সে কালো মেঘকে অতিক্রম করে আকাশে উড়ে যাবে । কিন্তু সে কিভাবে উড়ে যাবে তার তো আর ডানা নেই । তাই সে তার মাথার ওপরের গোল গোল পাতাগুলোকেই ডানা হিসাবে ব্যবহার করবে। এবং তখন সে তার বাসা ফেলে উড়ে যাবে নির্দ্বিধায় । তারাদেরকে অতিক্রম করে গভীর মহাকাশে বেড়াতে যাবে সে । কিন্তু যখন হাওয়া থেমে যায় তখন তার ইচ্ছার এবং ভাবনার ও পরিবর্তন ঘটে । সে তখন ভাবে তার মায়ের বুকে পৃথিবীর একপ্রান্তে থাকাই অনেক শ্রেয় ।
৩। পাঠ্যাংশের ব্যাকরণগত প্রশ্ন:
ক। পদ পরিবর্তন করো:
১) মাটি মেটে
২) মেঘ- মেঘলা
৩) ইচ্ছা- ইচ্ছুক
৪) মন- মানসিক
৫) পৃথিবী- পার্থিব
৬) গাছ- গেছো
খ। বিপরীত শব্দ লেখো:
১) কালো -সাদা।
৩) ইচ্ছা- অনিচ্ছা
৪) নামা- ওঠা
৫) ভালো- খারাপ
গ। বাক্য রচনা করো:
১) পৃথিবী বৈচিত্র্যময় আমাদের পৃথিবী খুবই সুন্দর।
২) ঝরঝর্- ঝরঝর্ করে বৃষ্টি পরছে ।
৩) মাটি- মাটি আমাদের মায়ের মতন ।
৪) হাওয়া- আজ খুব হাওয়া চারিদিকে।
৫) কাঁপা – ঝড়ে পাতাগুলো খুব কাঁপছিল ।
ঘ। শুদ্ধ রূপটি লেখো:
১) রবিন্দ্রনাথ/রবীন্দ্রনাথ/রোবিন্দ্রনাথ
শূদ্ধ – রবীন্দ্রনাথ
২) পৃথিবি/পৃথীবী/পৃথিবী
শূদ্ধ -পৃথিবী
৩) ফুঁড়ে/ফুরে/ফুড়ে
শূদ্ধ -ফুঁড়ে
৬। পদ নির্ণয় করো:
১) কালো -বিশেষণ
২) তালগাছ-বিশেষ্য
৩) ভালো-বিশেষণ
৪) মা-বিশেষ্য
৫) আকাশ-বিশেষ্য
Chapter 1 : লব-কুশের রামায়ণ গান