ভাষা :- মনোভাব প্রকাশের জন্য বাগযন্ত্রের সাহায্যে উচ্চারিত ধ্বনির দ্বারা সম্পাদিত ,কোনো ও বিশিষ্ট জনসমাজে প্রচলিত ,প্রয়োজন মতো বাক্যে প্রযুক্ত হওয়ার উপযোগী শব্দ সমষ্টিকে ভাষা বলে। আমাদের মানে সুখ-দুঃখ ,আনন্দ-বেদনা ,রাগ -অভিমান প্রভৃতি যে সমস্ত ভাব জাগে ,আমরা বিভিন্ন উপায়ে সেগুলি অন্যের কাছে প্রকাশ কর। মানুষ ,আমরা কথাবার্তার মধ্যে দিয়ে মনের ভাব প্রকাশের কাজটি সেরেনেই । এই কথাবার্তার নাম ভাষা। ভাষা কতগুলি ধ্বনির সমষ্টি হলেও যেকোনো রকমের ধ্বনিই ভাষা নয়। ভাষাকে অবশ্যই মানুষেরই বাগযন্ত্রের সাহায্যে উচ্চারিত ধ্বনি হতে হবে। পশু পাখিতো বিভিন্ন ডাকের মাধ্যমে নিজেদের মানের ভাব বোঝাতে পারে। এইভাবেই ক্রম বিবর্তনের পথে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন জনসমাজে নানান ভাষার সৃষ্টি হয়েছে। যেমন-ইংরেজি ,জার্মান,হিন্দি,অসমীয়া,রুমানিয়ান প্রভৃতি হলো একেকটি দেশের একেকটি ভাষা।আমরা বাঙালি। শৈশবে সুমধুর ‘মা ‘বুলির মধ্য দিয়ে যে ভাষার সঙ্গে আমাদের পরিচয় আরম্ভ হয়েছে ,সেই ভাষায় আমাদের মাতৃ ভাষা।
বাংলা ভাষা :- মনের বিচিত্র ভাব -প্রকাশের জন্য বাগযন্ত্রের সাহায্যে উচ্চারিত ধ্বনির দ্বারা সম্পাদিত,বাঙালি সমাজে প্রচলিত, প্রয়োজন মতো বাংলা বাক্যে প্রযুক্ত হওয়ার উপযোগী শব্দ সমষ্টির নাম বাংলা ভাষা।শুধু ভারতরাষ্ট্রের পশ্চিমবঙ্গেই নয়, পূর্ববঙ্গ (আধুনিকবাংলাদেশ), আসামের কিছুঅংশ, ত্রিপুরা, বিহারের সাঁওতাল পরগনা,মানভূম,সিংভূম,পূর্ব পূর্ণিয়া প্রভৃতি স্থানের প্রায় পনেরো কোটি লোকের মাতৃভাষা এই বাংলা। এই সম্পদশালিনী বাংলা ভাষার গতি – প্রকৃতি জানতে হলে বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ভালোভাবে আয়ত্ত করা দরকার। বাংলা ব্যাকরণ কাকে বলে ? যে শাস্ত্র পাঠে বাংলা ভাষার স্বরূপটি বিশ্লেষণ করে বুঝতে পারাযায় এবং লিখতে পড়তে ও আলোচনায় সেই বাংলা ভাষা শুদ্ধ রূপে প্রয়োগ করতে পারি সেই শাস্ত্রকে বাংলা ব্যাকরণ বলা হয়।ভাষা ও উপভাষার মধ্যে নানা পার্থক্য থাকলেও উভয়ের মধ্যে একটি অটুট নারীর যোগ আছে।
উপভাষা :- একই ভাষা সম্প্রদায়ের অন্তরগত অঞ্চলভেদে দৈনন্দিন ব্যবহারিক কাজে ও কথাবার্তায় ধ্বনিগত,রূপগত এবং বিশিষ্ট বাগধারাগত বৈশিষ্ট নিয়ে যে ভাষা প্রচলিত থাকে ,তাকে উপভাষা বলে। একই ভাষার অন্তরগত একেকটি বিশেষ অঞ্চলে প্রচলিত উপভাষা গুলির বিশেষ রূপের সাথে আদর্শ ভাষা বা সাহিত্যিক ভাষার ধ্বনি ,রূপ ও বাগধারার ব্যবহারে অনেক পার্থক্য থাকে। কারণ বৃহৎ ভূখণ্ডে এক অঞ্চলের মানুষের সাথে দূরবর্তী অন্য কোনো অঞ্চলের মানুষের মেলামেশা ও কথাবার্তার সুযোগ কম হাওয়ায় কালক্রমে উভয় স্থানের কথ্য ভাষার তফাৎ গড়ে ওঠে ,যা থেকে আঞ্চলিক ভাষা-গোষ্ঠী বা উপভাষার সৃষ্টি হয়।
উপভাষা গুলির ভৌগোলিক এলাকা ও ভাষা তাত্বিক পরিচয় :-
১.) রাঢ়ী উপভাষা –
ভৌগোলিক সীমা :- পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব বর্ধমান ,বাঁকুড়া (পূর্ব ),হুগলি ,হাওড়া ,কলকাতা ,উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা ,নদীয়া ও মুর্শিদাবাদ জেলায় এই উপভাষার প্রচলন লক্ষ করা যায়। এই উপভাষাকে ভিত্তি করে প্রমিত বাংলা করা হয়েছে।
বৈশিষ্ট :-
ক) শব্দের যেকোনো স্থলে ব্যবহৃত ‘অ’-এর ‘ও’ রূপে উচ্চারণ প্রবণতা। যেমন –
অতুল – ওতুল,মধু -মোধু ,পাগল -পাগোল,মত – মতো।
খ) শব্দে ব্যবহৃত ‘ন”ল ‘রূপে এবং’ল’ ‘ন ‘ উচ্চারণ লক্ষ করা যায়। যেমন –
নৌকা – লৌকা,নয়-লয়,লুচি- নুচি ,লেবু-নেবু।
গ) কতৃকারকের বহু বচনে ‘গুলি’ ‘গুলো’এবং অন্য কারকের বহু বচনে ‘দের ‘ বিভক্তি ‘প্রয়োগ।
যেমন-মেয়েগুলো,পাখিগুলি,রামেদের ।
২.) বাঙ্গালী উপভাষা –
ভৌগোলিক সীমা :- এটি অধুনা বাংলাদেশের প্রধান উপভাষা। ঢাকা বিভাগ ,ময়মনসিংহ বিভাগ,
খুলনা বিভাগ,বরিশাল বিভাগ বৃহত্তর কুমিল্লা -নোয়াখালী,এবং ত্রিপুরার বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে আছে এই উপভাষা। ভাষাভাষী সংখ্যা বিবেচনায় এই উপভাষাই সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত।
বৈশিষ্ট :-
ক) কেন > ক্যান ,মুলা>মোলা,দোষ>দুষ ,ঘর>ঘড় ধ্বনিতে পরিবর্তন ঘটে।
খ) গুল,গুলাইন দিয়ে বহু বচন পদ গঠিত হয়। যেমন-বাত গুলাইন খাও।
গ) গৌণ কর্মে ‘রে ‘ বিভক্তি প্রযুক্ত হয়। যেমন-আমারে মারে ক্যান।
৩.) বরেন্দ্রি উপভাষা –
ভৌগোলিক সীমা :- উত্তরবঙ্গের মালদহ ,দক্ষিণ দিনাজপুর এবং বাংলাদেশের রাজ্ শাহী বিভাগের লোকমুখের উপভাষা হল এটি।
বৈশিষ্ট :-
ক) অপ্রত্যাশিত স্থানে ‘র ‘আগম হয় বা লোপ পায়। যেমন-আম >রাম ,রস >অস।
খ) গৌণকর্মে ‘কে ‘ ,’ক ‘বিভক্তি দেখাযায়। যেমন- হামাক দাও।
৪.) ঝাড়খণ্ডী উপভাষা –
ভৌগোলিক সীমা :- পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া,বাঁকুড়া,ঝাড়গ্রাম,পশ্চিম মেদিনীপুর ,বীরভূম,পশ্চিম বর্ধমান জেলা ও ঝাড়খণ্ডের বোকারো,ধানবাদ,সরাইকেলা,পূর্ব ও পশ্চিম সিংভূম জেলা এবং ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলায় এই উপভাষা প্রচলিত।
বৈশিষ্ট :-
ক) প্রায় সর্বত্র ‘ও ‘কার লুপ্ত হয়ে ‘অ ‘ কারে পরিণত হয়েছে। যেমন-
লোক >লক,মোটা >মটা, ভালো >ভাল ,অঘোর >অঘর।
খ) ক্রিয়াপদে স্বার্থিক ‘ক’ প্রত্যয়ের প্রচুর প্রয়োগ। যেমন- যাবেক ,খাবেক ,করবেক।
গ) নাম ধাতুর প্রচুর ব্যবহার লক্ষ করা যায়। যেমন-জাড়াচ্ছে ,গধাচ্ছে।
৫.) রাজবংশী (কামরূপী) উপভাষা –
ভৌগোলিক সীমা :- পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর ,জলপাইগুড়ি ,কোচবিহার ;আসামের বঙাইগাঁও ,কোকরাঝাড় ,গোয়ালপাড়া,ধুবরিজেলা ও বাংলাদেশের রংপুর বিভাগ আর কিছু জেলায় এটি প্রচলিত। বরেন্দ্রি ও বাঙালি উপভাষার মিশ্রনে এই উপভাষা গড়ে উঠেছে।
বৈশিষ্ট :-
ক) ‘র ‘এবং ‘ড় ‘ও ‘ন’এবং ‘ল ‘-এর বিপর্যয় লক্ষ করাযায়। যেমন – বাড়ি > বারি,
জননী>জলনি।
খ) শব্দের আদিতে শ্বাসাঘাতের জন্য ‘অ’ ,’আ’ রূপে উচ্চারিত হয় ।
যেমন- অসুখ >আসুখ ,কথা >কাথা।
গ)’ও’ ধ্বনি কখনো ‘উ’ হয়ে যায় । যেমন- কোন > কুন ,বোন > বুন ।
ঘ) যৌগিক ক্রিয়া পদে ‘খোয়া’ ধাতুর ব্যবহার আছে। যেমন- রাগ করা >আগ খোয়া।
সাধু ভাষা ও চলিত ভাষা :-
পৃথিবীর সকল উন্নত ভাষার মতোই বাংলা গদ্যেরও দুইটি রূপ আছে – সাহিত্যিক রূপ ,মৌখিক রূপ। বাংলা ভাষার যেই রূপটির আশ্রয়ে ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথম থেকে বাংলা গদ্য-গ্রন্থাদি রচিত হয়েছে ,সেই সাহিত্যিক রূপটির নাম সাধুভাষা। আর বাংলা যে রূপটি শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে জনসাধারণের মুখে মুখে ফিরে দৈনন্দিন জীবনের সমস্ত প্রয়োজন মিটে থাকে ,সেই মৌখিক রূপটির নাম চালিত ভাষা। এই ভাষা একেবারে আমাদের মুখের ভাষা-মায়ের মুখ থেকে শেখা ভাষা। কিন্তু চলিত ভাষা ও কথ্য ভাষা কখনো এক নয়।
সাধু ভাষা :- বাংলা ভাষার যে বিশেষ রীতির আশ্রয়ে ক্রিয়াপদ ও সর্বনাম পদের পূর্ণাঙ্গতা অক্ষুন্ন থাকে ,তাকে সাধু ভাষা বলে। একমাত্র সর্বনাম ও ক্রিয়া পদের পূর্ণাঙ্গ রূপের দ্বারাই সাধু ভাষা নিজের অস্তিত্ব রক্ষা করছে। এবং সর্বনাম ও ক্রিয়া পদের পূর্ণ রূপের দ্বারাই আধুনিক বাংলা গদ্য- সাহিত্যের সাধু ভাষার জাতি নির্ণয় করা হয়।এই ভাষা সূচনা ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথম থেকে। এই ভাষায় বাংলা গদ্য-গ্রন্থাদি রচিত হয়।
চলিত ভাষা :- বাংলা ভাষার যে বিশেষ রীতির আশ্রয়ে ক্রিয়াপদ ও সর্বনাম পদ সংক্ষিপ্ত রূপ লাভ করে ,তাকে চলিত ভাষা বলা হয়। বাংলা সাহিত্যিক উপভাষার নবীন তরো রূপ এইচলিত ভাষা । এর সূচনা ঊনবিংশ শতাব্দীতে হলেও মূলত বিংশ শতাব্দীতে এর বিকাশ ঘটে। এবংস্বাধীনতা পরবর্তী সাহিত্যের প্রধান বাহন এই চলিত ভাষা।সংস্কৃত ভাষার অন্ধ আনুগত্যকে বর্জন করে মূলত ভাগীরথী নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে শিক্ষিত সম্প্রদায়ের মৌখিক রাঢ়ীভাষাকে ভিত্তি করে এই ভাষাটি সম্প্রতিকালে সাহিত্যের ভাষা রূপে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে।
সাধু ও চলিত ভাষার পার্থক্য :-
দুটি ভাষাই বাংলা সাহিত্যিক উপভাষা। লেখা উপভাষার সাধু রীতিটি প্রাচীনতরো রূপ এবং চলিত রীতিটি অপেক্ষাকৃত নবীনরূপ। এদের পার্থক্য গুলি হলো –
প্রথমত – সাধু ভাষার প্রধান বৈশিষ্ট সংস্কৃত ভাষার অন্ধ আনুগত্য। ফলে প্রচুর তৎসম শব্দ ব্যবহার হতে দেখা যায়। চলিতভাষা এই সংস্কৃত আনুগত্য থেকে সরে এল। তদ্ভব ,দেশি ,বিদেশী ও আঞ্চলিক শব্দের বহুল প্রয়োগ দেখা যায়। সন্নিকটে >কাছে ,সম্যক >যথেষ্ট,মানুষ্যসকল >মানুষেরা।
দ্বিতীয়ত – সাধু ভাষায় অলংকারের ব্যবহার হয় ভুল পরিমানে। বিশেষত উপমা রূপক অলংকার। চলিত ভাষা মুখের ভাষার কাছাকাছি বলে অলংকার প্রয়োগের প্রবণতা নেই।
তৃতীয়ত – সাধু ভাষায় সর্বনামের প্রাচীন ও পূর্ণ রূপ বর্তমান। কিন্তু চলিত গদ্যে তা সংক্ষিপ্ত ও বিবর্তিত হলো। যেমন-তাহাদের >তাদের ,যাহারা >যারা ,উহাদের >ওদের ,কেহ >কেউ।
চতুর্থত – সাধু ভাষায় ক্রিয়াপদের প্রাচীনতম রূপ ব্যবহৃত হয়। কিন্তু চলিত ভাষায় ক্রিয়াপদ গুলির বিবর্তিত ও অভিশ্রুতি- নির্ভর সংক্ষিপ্ত রূপ ব্যবহার করা হয়।
পঞ্চমত – সাধু ভাষায় প্রচুর পরিমানে যৌগিক ক্রিয়াপদ ব্যবহৃত হয়,কিন্তু চলিত ভাষায় তার রূপ সংক্ষিপ্ত।
ষষ্ঠত – কিছু কিছু শব্দ সাধু ভাষায় ব্যবহৃত হতো ,কিন্তু এখন চলিত ভাষায় আর হয় না। যেমন-
সন্নিকটে >কাছে ,সপ্তদশ >সতেরো,কিঞ্চিৎ >কিছু।
সপ্তমত – সাধু ভাষায় ধ্বন্যাত্মক শব্দ ও ক্রিয়ার ব্যবহার খুব কম ,চলিত ভাষায় তার ব্যবহার প্রবল। যেমন- গুনগুনিয়ে,হনহনিয়ে ,ঝকঝকে ,দগদগে।
সাধু থেকে চলিত ভাষায় রূপান্তর :-
১.) সাধু ভাষা – আমাদের এই ভীরুতা কি চিরদিন থাকিয়া যাইবে ?ভরসা করিয়া এইটুকু কোনো দিন বলিতে পারিব না যে,উচ্চ শিক্ষাকে আমাদের দেশের ভাষায় দেশের জিনিস করিয়া লইতে হইবে?
আমরা ভরসা করিয়া এই পর্যন্ত বলিতেই পাড়িলাম না যে বাংলা ভাষাতেই আমাদের উচ্চ শিক্ষা দিবো এবং দেওয়া যায় ,এবং দিলে তবেই বিদ্যার ফসল দেশ জুড়িয়া ফলিবে।
চলিত ভাষা – আমাদের এই ভীরুতা কি চিরদিনই থেকে যাবে ? ভরসা করে এটুকু কোনো দিন বলতে পারবো না যে,উচ্চ শিক্ষাকে আমাদের দেশের ভাষায় দেশের জিনিস করে নিতে হবে ?
আমরা ভরসা করে এই পর্যন্ত বলতেই পারলাম না যে বাংলা ভাষাতেই আমাদের উচ্চ শিক্ষা দেব এবং দেওয়া যায় ,এবং দিলে তবেই বিদ্যার ফসল দেশ জুড়ে ফলবে ।
২.) সাধু ভাষা – বোধ হইলো বঙ্গদেশ স্বাধীন হইয়াছে ও ইংরেজরা তথা হইতে চলিয়া গিয়েছিলো।
বঙ্গদেশ স্বাধীন হইবার কয়েক বৎসরের মধ্যেও এমন সুসভ্য হইয়াছে যে, পূর্বে পৃথিবীতে কোনো দেশ এমন সভ্য হয় নাই। আর ইংল্যান্ড বঙ্গদেশ হইবার সময় যে প্রকার সভ্য ছিল তাহাই রহিয়াছে।
চলিত ভাষা – বোধ হলো বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে ও ইংরেজরা সেখান থেকে চলে গিয়েছিলো।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার কয়েক বছরের মধ্যেও এমন সুসভ্য হয়েছে যে আগে পৃথিবীতে কোনো দেশ এমন সভ্য হয়নি। আর ইংল্যান্ড বাংলাদেশ হওয়ার যে রকম সভ্য ছিল তাই আছে।